ফার্স্ট স্টপ

ফার্স্ট স্টপ

প্রবাহের ছন্নছাড়ায় আমরা কতনা প্রলাপ বকে চলি। বকে চলি হাঁটতে চলতে, বকে চলি লাঙলে, রিক্সায়, রকে, ঠেকে। কলমে, তুলিতেও আমরা বকি কেউ কেউ কিছু গ্রাস সবুজ গিলে যেমন নীল নেশা করতে। আসলে নেশাটা বাঁচার কিনা জানি না, তবে বেঁচে আছি এ অনুভবের তাগিদতো বটেই। তাগিদ যদি নেশাই ধরায় তবে মানস থেকে নর্মদা তুমি আমার, জাপানের সব থেকে শেষমেশ উগরানো লাভার স্রোতেও আমারই পায়ের ছাপ, কিংবা এগুলো কিচ্ছুটি না হয়ে পড়ন্ত বিকেলে ছোট্ট গ্রাম্য বালকদের কাটা ঘুড়ি হয়ে খোঁচা খেতে পারি বুড়ো অশ্বত্থ গাছের পাঁজরে। যদি এতো কিছু হতে পারে তবে তাকে দ্রুম বলি না ডাচ্ শব্দে (Droom) স্বপ্নজাল বলি!

প্রতিটি বিভাগের নামকরণের কারণ বলার মানে নেই, ফুলকে কী নামে ডাকি তাতে ফুলের কিছু এসে যায় না। তবে পাখিদের কিছু এসে যায় কিনা তা জানার জন্য বিতানে সুর দিলাম, সুরে রাগ দিলাম। কান পেতে তাও শুনলাম দ্রুম। আসল বা নকল নয় নতুন কিছুর তাগিদে এ চলায় প্রশ্রয়ের নাম আশ্রয়। ঠিক যে ভাবে আমি খেয়ালখুশি মতো শব্দ সাজাচ্ছি আর আশা করছি অনেক কিছু বা কিচ্ছুটি না। এখানেই আমি বোধিসত্ত্ব শাক্য, আমি প্রথম বক্তা। পুরুষও পুরুষ নয় নারীত্ব ছাড়া- এই প্রকৃতিবাক্য বুকে নিয়ে আমিই প্রথম পুরুষ। আর এটাই আপনাদের ফার্স্ট স্টপ।

আমার সাহিত্য জীবনে তৃতীয় ম্যাগাজিনের সম্পাদনার আমি আজ মুখরাটা গাইলাম আমার মতো করেই, না, বরং বলি সময়ের মতো করে যে আমায় দিয়ে লিখিয়ে নিলো। যারা আমার লেখার আজ প্রথম পাঠক তাদের জন্যই প্রথম রাতে বেড়াল মেরে রাখি, মানে কিছু কথা বলে রাখি। সম্পাদনা বা এডিটরশিপ গোছের কিছুতে আমি বিশ্বাসী নই, বা বলতে পারেন বুঝে উঠতে পারি না। তার থেকে বরং সংগ্রাহক শব্দটা ধার করি, যা পাই চলতে পথে কুড়িয়ে আনি, সাজানোর চেষ্টা করি। শিব হোক বা বাঁদর দুইতো আমার ফুলদানিতে সাজানো লাল-সাদা গোলাপ। আর সেই গোলাপ সাজানো আছে কেউ আসবে বলে।প্রথম থামাতো এখানেই।তাই কোনো সম্পাদকীয় নয়, আমি লিখবো ফার্স্ট স্টপ।

শাল্যদানী

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।