পাহাড়ের রঙ নীল। আকাশ বাদামী। যে ছেলেটা এঁকে ফেলে ড্রয়িং খাতায়, বকো না ওকে। বলো না, এমন হয় না কখনো। নীহারিকা বা উল্কাপাতের নীচে সে যদি এঁকে ফেলে ব্যালকনি, ঝুলন্ত অর্কিড, ভেবো না অবাস্তব। আজও যে কবির শব্দে আমি হেমন্তের রোদ দেখতে পাই চান্দ্রেয়ী রাতে, তার কোন কবিতার বই নেই। তার না হওয়া কবিতা সব ছাদ ফুঁড়ে উড়ে যায় আকাশের দিকে। ধূসর, খয়েরি, বাদামী। কোত্থাও এতটুকু নীল নেই। অথচ, নীল তাঁর প্রিয় রঙ। সব নীলের মধ্যেই গোধূলি আর পাখির মৃত্যু। সবাই তো পাখি হতে শেখেনি। ডানা মুড়ে রেখেই তো কেটে যায় গোটা জীবন। ক্যানভাস পড়ে থাকে অবিক্রীত, অবিকৃত ও। হলুদ গমের ক্ষেত, মেটে আলু র ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে শিশু, কিশোর, যুবক, প্রৌঢ়…