সাতে পাঁচে কবিতায় সঙ্কর্ষণ

সত্ত্বা

মানুষ একা হ’য়ে যেতে পছন্দ করেনা।
অথচ যখন সে ভেতর থেকে একা হ’য়ে যায়…
পৈশাচিকভাবে এক চিৎকার ক’রে ওঠে,
“আমাকে একটু একা থাকতে দাও।”।
এদিকে যাদের উদ্দেশ্যে সে রাগে ফেটে পড়ে
আসলে তারাই তাকে একা ক’রে দিয়েছে…
কিন্তু সে’ও নিশ্চয় নিজেকে তখন একা ভাবছেনা,
ভাবলে সকলকে শুনিয়ে সে এ’কথা ব’লতোনা।
কিন্তু যারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনলো কিম্বা শুনলোনা
তাদের মধ্যেও কেউ একাই বুঝতে পারবে যে…
সে যা শুনলো তা আসলে হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
এখন সে প্রথমজনের দিকে এগিয়ে আসবে বা আসবেনা।
যদি এগিয়ে আসে তখন চিৎকার বন্ধ হ’য়ে যাবে
আর যদি না আসে, তখনও তা বন্ধই হ’য়ে যাবে।
শুধু একা থেকে থাকতে না চাওয়া প্রথমজন
একটি ছবি দেখতে শিখবে, যেখানে…
আলোর পথে একজন হাত বাড়িয়ে র’য়েছে
অথবা অন্ধকার থেকে হাতছানি দিচ্ছে কয়েকজন।
এদের সকলেরই চিৎকার সে নিশ্চিত শুনেছিলো…
যাওয়ার সময় তার মতো এরাও একাই চ’লে গেছে।
মানুষ কখনও একা থাকতে চায়না,
অথচ মুখে বলে, “আমাকে একা থাকতে দাও।”
আসলে সে যা বোঝেনা
আমরা তাকে একা থাকতে দেওয়ার কেউ ন’ই…
বলার সময় যখনই কেউ “আমরা” ব’লে ওঠে
তখনই তার মুক্তি ঘটে যায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।