সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে বিতস্তা ঘোষাল (পর্ব – ১৮)

কু ঝিক ঝিক দিন

১৮.

আমাদের ছোটো বেলা কেটেছে বিকেল হলে খেলার মাঠে কিংবা কোনো কারনে বাড়ির বাইরে যেতে না পারলে ঘরের মধ্যে বিছানাতেই।এই সেই বিছানা যেখানে প্রবল বৃষ্টিতে ঘরে জল ঢুকলে মা তোষক গুটিয়ে একপাশে স্টোভ জ্বালিয়ে চালে ডালে খিচুড়ি বসাতো অথবা ডিমের ঝোল আলু বেশি দিয়ে আর ভাত।আমরা তিনবোন বিছানার অন্য প্রান্তে বসে লক্ষ করতাম মায়ের কাজকর্ম।সেখান থেকেই ঘরের জমা জলে ভাসাতাম কাগজের নৌকা।কল্পনা করতাম ঘরের মধ্যে থেকে সেই নৌকা ভাসতে ভাসতে নদীতে পড়বে,সেখান থেকে সমুদ্রে। তখন হয়তো কোনো মাঝি বা জেলে সেটা দেখতে পাবে।তারা সেই নৌকা নিয়ে পাড়ি দেবে আরও গভীরে।এসব ভাবনা ভাবতে ভাবতেই হয়তো বোন বলল চল দিদি ইকিড় মিকিড় চামচিকির খেলি।
ব্যাস্ শুরু হয়ে গেল আঙুল মুড়ে রেখে ছড়া-
ইকিড় মিকিড় চামচিকির
চামে কাটা মজুমদার।
ধেয়ে এল দামোদর।
দামোদরের হাঁড়ি কুঁড়ি
দুয়ারে বসে চাল কুড়ি।
চাল কুড়িতে হল বেলা
ভাত খেয়ে যা জামাইশালা।
ভাতে পড়ল মাছি,
কোদাল দিয়ে চাঁছি।
কোদাল হল ভোঁতা
খা খ্যাঁকশিয়ালের মাথা।
কে কবে এই ছড়া লিখেছেন তা জানা হয়নি কখনো।কিন্তু বহু পরে জেনেছি
ছড়াটি ধরে রেখেছে বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্য বিস্তারের ইতিহাস।
মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁর সেনাপতি মানসিংহকে বাংলায় পাঠালেন বাংলার বারো ভুঁইঞাদের অন্যতম প্রতাপাদিত্যকে পরাজিত করতে। মানসিংহ জলঙ্গী নদী পেরিয়ে আসতে গিয়ে পড়লেন ঝড়ের কবলে। তখন তাকে সাহায্য করলেন তিনজন বিশেষ প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং তাঁদের প্রত্যেকেরই পদবি ছিল ‘মজুমদার’। তারা হলেন, ভবানন্দ মজুমদার, লক্ষীকান্ত মজুমদার  এবং জয়ানন্দ মজুমদার। এঁরা তিনজনেই মানসিংহকে সাহায্য করেছিলেন। এঁদের মধ্যে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা, হুগলির কানুনগো দপ্তরের মুহুরি ভবানন্দ মজুমদারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যায়। ভবানন্দ মানসিংহকে নৌকো দিয়ে নদী পার হতে সাহায্য করেন। নিজের বাড়িতে তাঁকে নিয়ে আসেন ও বিশাল সৈন্যবাহিনীকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে ‘চামচিকির’ কথাটার মানে যে বিশেষ সুবিধের নয় তা বোঝা সহজ। ‘চামে কাটা’ মানে যার ‘চামড়া নেই’ বা নির্লজ্জ–বেহায়া। আর ইঙ্গিতটি মানসিংহের সাহায্যকারী মজুমদারের প্রতি।
দামোদরের বন্যা তো একটা সময় প্রবাদে পরিণত হয়েছিল । তাই ঝড়বৃষ্টির রাতে ফুঁসে ওঠা জলঙ্গীকে এখানে দামোদরের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল।
মানসিংহ ও তাঁর বিশাল সেনাবাহিনীর খাওয়া-দাওয়ার যে বিপুল আয়োজন তা ভবানন্দ মজুমদার হাসিমুখে করলেও তার তাঁর পাকশালের কাজের লোকেদের অবস্থার কথাও হয়তো ধরা আছে  ছড়ায়। রান্নার ব্যবস্থা করতে তাদের বেলা গড়িয়ে যেত। আর বাংলার ভুঁইঞাকে আক্রমণ করতে আসা মানসিংহকে যে বাংলার মানুষ নেকনজরে দেখবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক।  আর ভারতসম্রাটের সেনাপতিকে যে ভবানন্দ ‘জামাই’ আদরে রেখেছিলেন এটাও তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। যেহেতু ছড়াগুলির উৎপত্তিকালের কোনও লিখিত ইতিহাস নেই, তাই এই বিশ্লেষণগুলি নিয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে। তবে প্রতাপাদিত্য, ভবানন্দ আর মানসিংহের এই সংঘাতের ঐতিহাসিক ভিত্তি  নিয়ে কোনও সংশয় আজ আর নেই।
আরেকটি খেলাও আমাদের বন্ধুদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় ছিল।বিশেষ করে যখন শুধু মেয়েরা খেলতাম।সে স্কুলে হোক কিংবা পাড়ায়।সমান সংখ্যক মেয়ে নিয়ে দু’টি দলে ভাগ হয়ে খেলা হত।
হয়তো অনেকেরই মনে আছে সেটা-
খেলার সময় প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বলা হত —
প্রথম পক্ষঃ এলাটিং বেলাটিং সইলো।
দ্বিতীয় পক্ষঃ কীসের খবর আইলো?
প্রথম পক্ষঃ রাজামশাই একটি বালিকা চাইলো।
দ্বিতীয় পক্ষঃ কোন বালিকা চাইল?
প্রথম পক্ষঃ অমুক বালিকা চাইল।
দ্বিতীয় পক্ষঃ কী প’রে যাবে?
প্রথম পক্ষঃ বেনারসী প’রে যাবে।
দ্বিতীয় পক্ষঃ কীসে ক’রে যাবে?
প্রথম পক্ষঃ পালকি ক’রে যাবে।
দ্বিতীয় পক্ষঃ কত টাকা দেবে?
প্রথম পক্ষঃ হাজার টাকা দেবে।
দ্বিতীয় পক্ষঃ নিয়ে যাও নিয়ে যাও বালিকা।
সেই সময় খুব মজা পেতাম রাজা মশাই বালিকা চেয়েছে আর হয়তো কেউ আমাকে পাঠাচ্ছে ভেবে।কিন্তু সব হিসাবের গোলমাল করে দিল ঠাম্মা এসে।একদিন খুব আনন্দ করে ঠাম্মাকে যেই বললাম আজ খেলায় রাজামশাই আমাকে চেয়েছে, ঠাম্মা জানতে চাইল কোন খেলা খেলছিলে ভাই?
কেন এলাটিং বেলাটিং। আমি উত্তর দিলাম।
ঠাম্মা অনেকক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে গম্ভীর স্বরে বলল আর কখনো এ খেলা খেলবে না।এই খেলায় মেয়েদের অসম্মান করা হয়েছে।
খেলায় মেয়েদের অসম্মান কী করে হয় আর রাজামশাইয়ের কাছে যাওয়ার মধ্যে কি অসম্মান বা খারাপ লুকিয়ে বুঝতে পারার বয়স তখন নয়।তাই জিজ্ঞেস করলাম- তাহলে যুক্তি দিয়ে বোঝাও কিভাবে অসম্মান হল।
ঠাম্মা পান চিবোতে চিবোতে বলল-
আগে আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেই অর্থের বিনিময়ে মেয়ে কেনাবেচা চলত। রাজা বা জমিদাররা টাকা বা মুদ্রা বা কড়ি, কখনো কখনো ধান,শস্য প্রভৃতির বিনিময়ে নিজেদের ভোগের জন্য গরিব ঘরের মেয়েদের কিনতেন। দিল্লিতে এরকম মেয়ে কেনা-বেচার বাজার ছিল। সমাজের এক করুণ ঘটনা খেলাটির মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।  কাজেই এই খেলা আর খেলবে না।
মনে আছে পরদিন বন্ধুদের গিয়ে বলে এই খেলা আমরা চিরকালের জন্য আমাদের মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছিলাম।অবশ্য এ বিষয়ে সবসময় নেতৃত্ব দিত আমার মেজ বোন।
বোনের জনপ্রিয়তা পাড়ায় বরাবরই তুঙ্গে ছিল।তাকেই সবাই খেলার নেতৃ হিসাবে মানত।আমি বরাবর আমার থেকে একটু বড়দের সঙ্গে খেলতে যেতাম এবং বেশিরভাগ সময়ই তাদের মনোমত না হলেই আমাকে বাদ দিয়ে দিত।তখন আবার বোনের দলেই আমার ঠাঁই হত।
তবে বোনের নেতৃত্বে যেহেতু জেন্ডার ভাগ ছিল না,তাই ক্রিকেট, ব্যাটমিন্টন,ঘুড়ি ওড়ানো,পিত্তি, কিত কিত,কবাডি, কুমিড় তোর জলকে নেমেছি, দৌড়,লুকোচুরি, একসঙ্গে বসে রুমাল চোর, রিলে রেস এসব খেলাই বেশি হত।
এসবের মধ্যেও মাঝেমধ্যে, L o n d o n -লন্ডন কিম্বা প্লেন প্লেন প্লেন পাইলট প্লেন প্লেন থেকে নেমে এল সুচিত্রা সেন এসব খেলাও খেলতাম।
আর বাড়িতে আরেকটি খেলার চল ছিল।
আগডোম বাগডোম
ঘোড়াডোম সাজে।
ঢাক মৃদং ঝাঁঝর বাজে।।
বাজতে বাজতে চলল ঢুলি।
ঢুলি গেল সেই কমলাফুলি।।
কমলাফুলির টিয়েটা।
সুয্যিমামার বিয়েটা।।
আয় রঙ্গ হাটে যাই।
এক খিলি পান কিনে খাই।।
পানের ভিতর ফোঁপড়া।
মায়ে ঝিয়ে ঝগড়া।।
কচি কচি কুমড়োর ঝোল
ওরে খুকু গা তোল।।
জ্যোৎস্নাতে ফটিক ফোটে,
কদম তলায় কে রে।
আমি তো বটে নন্দ ঘোষ,
মাথায় কাপড় দে রে।।
হলুদ বনে কলুদ ফুল।
মামার নামে টগর ফুল॥
আর একটু বড় হয়ে যখন রবীন্দ্রনাথ পড়ছি তখন দেখলাম,তিনি তাঁর ‘ছেলেভুলোনোর ছড়া’ গ্রন্থে বলেছেন যে, এই ছড়াটির প্রথম কয়টি  ছত্রে বিবাহ যাত্রার বর্ণনা আছে। আগে অভিজাত পরিবারের বিবাহের শোভাযাত্রা ছিল যুদ্ধযাত্রারই পরিবর্তিত রূপ। কারণ একটা সময় জোর করে মেয়েদের তুলে আনা হত। বিজয়ী  গোষ্ঠীর লোক বিজিত গোষ্ঠীর মেয়েদের বিয়ে করবে, এমন প্রথা ছিল। কৃত্তিবাসী রামায়নেও এমন বীররসাত্মক বর্ণনায় বরযাত্রীদের শোভাযাত্রার কথা বলা আছে।  এমনকি তখনকার  দিনে বিয়েতেও জয়ঢাক যে বাজানো হত, তার উল্লেখ আছ ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’  গ্রন্থে।
এ প্রসঙ্গে বাবা একদিন বলেছিল, মূল ছড়ার প্রথম অংশ আসলে ‘ডোম চতুরঙ্গের’ বর্ণনা। সাতগাঁ বা সপ্তগ্রামের বাগদী রাজা, রূপারাজা যখন হরিবর্মার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন, তখন হুকুম দিলেন ‘‘সব বাগদী সাজ’’। রূপারাজার ছিল বাগদী ও ডোম সেনা। বাগদী সেনারা লড়াই করে, আর ডোম সেনারা রাস্তা তৈরি করে, শত্রুর উপর নজর রাখে। এই ডোম সেনারাই বাংলার পশ্চিম-সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী ছিল। বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের, রাজনগরের সামন্তরাজাদের ডোম সেনা ছিল। আগডোম মানে অগ্রবর্তী ডোম সৈন্যদল, ‘বাগডোম’ মানে বাগ বা পার্শ্বরক্ষী ডোমসেনা এবং ‘ঘোড়াডোম’ মানে অশ্বারোহী সৈন্যদল। যুদ্ধের দামামা বাজলেই এই ডোমসেনারা গিয়ে রাস্তা পর্যবেক্ষণ করতেন, রাস্তা বানাতেন আর ঘোড়ায় চেপে দেশের অবস্থা-পরিস্থিতির উপর নজর রাখা শুরু করতেন। এই ডোম জাতি রাঢ় অঞ্চলের সেই সমস্ত তথাকথিত অন্ত্যজ, অস্পৃশ্য জনগোষ্ঠীর শরিক, যারা একদিন নির্ভীক বীরের মতো যুদ্ধ করতেন সমাজের উঁচু তলার রাজা, মহারাজা ও সামন্তপ্রভুদের জন্য। তাঁদেরই বীরত্বের বলে প্রভুরা হতেন ‘অরি-বিমর্দন’, ‘সসাগরা ধরণিপতি’ আর থাকতেন নিরাপদে। এই সব প্রভুদের কথা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকলেও, ডোমসেনাদের বীরগাথা ঠাঁই পায়নি কোন ইতিহাস বই বা তাম্রশাসনে। এদের বীরগাথা লুকিয়ে আছে তোদের খেলার ছড়ায়, লোকসঙ্গীতে, লোকগাথা ও রাঢ় বাংলার মঙ্গলকাব্যে। এগুলো ইতিহাসে পাবি না।
এর পরেই বাবা বলত,হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর (কে এই হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তখন জানতাম না।কিন্তু জিজ্ঞেসও করিনি) ‘বেনের মেয়ে’ গ্রন্থে আমরা এই ছড়ার একটি অন্য রূপ আমরা পাই – “আগডোম, বাগডোম, ঘোড়াডোম সাজে।
ডাল মৃগল ঘাঘর বাজে,
বাজতে বাজতে পড়লো সাড়া
সাড়া গেল বামনপাড়া”।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যখন পড়লাম বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তখন আর খেলার বয়স ছিল না।
কিছু দিন একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।তাতে এক বিখ্যাত নায়িকা কলকি কোচি তার বাচ্চাকে ঘুম পাড়াচ্ছেন আমাদের ছোটোবেলার একটি জনপ্রিয় গান গেয়ে।জানি না আজ আর মায়েরা সেই গান করেন কিনা!তবে গানটা শুনে মনে পড়ল আমার ছোটো বোনকে আমি ঘুম পাড়াতাম এই গানটা গেয়েই,-
ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি
মোদের বাড়ি এসো,
খাট নাই পালং নাই
খোকার চোখে বসো।
বাটা ভরে পান দিবো
গাল ভরে খেয়ো,
খোকার চোখে ঘুম নাই
ঘুম দিয়ে যেয়ো।
আর সেই একই সময় আমার সেজকাকু বা মা আমাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করত-
ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এল দেশে,
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে খাজনা দেব কিসে?
ধান ফুরলো, পান ফুরলো, খাজনার উপায় কি?
আর কটা দিন সবুর কর রসুন বুনেছি।
এই গান গেয়ে।সম্ভবত বর্গীর ভয় দেখানোর মধ্যে দিয়ে তারা চাইত আমি ঘুমিয়ে যাব।কিন্তু ভয় জিনিসটা আমার জীবনে কখনোই প্রভাব বিস্তার করেনি।তাই সারা রাত আমি দায়িত্ব নিয়ে বোনকে ঘুম পাড়ালেও নিজে জেগেই থাকতাম।
তারপর যখন বইয়ের মধ্যে নিজের মুক্তি খুঁজে পেলাম তখন হঠাৎ করেই একদিন জানলাম এই ছড়ার ইতিহাস। মরাঠারাজ রঘুজি ভোঁসলের নেতৃত্বে ১৭৪১ সালের অগস্ট মাস থেকে ১৭৫১-র মে মাস পর্যন্ত মরাঠা বর্গীদের দ্বারা ছ’বার বাংলা আক্রমণের ইতিহাস। মরাঠা বর্গীদের এই আক্রমণে বাংলা ও বিহারে প্রায় চার লক্ষ প্রাণ গিয়েছিল এবং প্রভূত ধন-সম্পত্তি লুঠ হয়েছিল। মহিলাদের শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল। বাংলার নবাবের সঙ্গে চৌথ আদায়ের চুক্তিতে সন্ধি হলে আক্রমণ বন্ধ হয়। ছড়ার মধ্যে খাজনা আদায় সংক্রান্ত উদ্বেগও স্পষ্ট।
হয়তো সেই সময় প্রতিটি মা বর্গী আক্রমণের ভয়ে ভীত থাকতেন,তাই এমন ছড়া বাধা হয়েছিল।
আসলে প্রতিটি ছড়ার পিছনেই তো লুকিয়ে সমাজের বিভিন্ন বিন্যাস, ঘটনা,যা হয়তো ইতিহাসের পাতায় সেভাবে স্থান পাইনি,কিন্তু রয়ে গেছে এভাবেই ছড়ায় ছড়ায়।
বেদও তো এভাবেই তৈরি হয়েছিল।মুখে মুখে শুনে শুনে।তারপর একদিন সময়ের দাবীতে লেখা হল।ঠিক তেমনি ভাবেই হয়তো আগামী দিনের কোনো ঐতিহাসিক এই সব টুকরো টুকরো ছড়াকে ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করবে।গবেষণার বিষয় হয়ে উঠবে এগুলোই।এখন যেগুলো বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে, একক প্রচেষ্টায় তখন সেগুলোই হয়ে উঠবে সময়ের দলিল।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।