• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিক প্রাপ্তি সেনগুপ্ত

বৃষ্টি নামুক তবে

সকাল থেকে আকাশটা মেঘলা।ফেব্রুয়ারিতেও এখনো সোয়েটার আর চাদর দুটোই জড়াতে হচ্ছে!শীতকালে ঘুমোট আকাশ ভীষণ বাজে লাগে পাখির।বিচ্ছিরি মন খারাপি একটা ফিলিং।এরকম বহুকিছু আছে যদিও,যেগুলো একেবারে না-পসন্দ পাখির!না-পসন্দ মানে গোটা গোটা ভাবে না-পসন্দ।পোস্টার সাঁটিয়ে তাতে ‘বিরক্তিকর’ লিখে দেওয়ার মতো…
নিজেই মাঝে মাঝে একা একা ভাবে এমন কত কী আশেপাশে দেখলেই বিরক্ত লাগে তার!আসলে মনে মনে ‘আমি পৃথিবীতে এসে সবাইকে ধন্য করেছি’- গোছের একটা হাল্কা বিশ্বাস আছে পাখি ওরফে কাহিনী রায়চৌধুরী।
উত্তর কলকাতা থেকে মফস্বলের কলেজে পৌঁছনোর জন্য ট্রেনের লেডিস কামরায় উঠে কোথায় যাবেন,কোথায় যাবেন করতে হবে ভাবলেই রাগ হয় তার।জনে জনে জিজ্ঞেস কর,তারপর তাদের ট্যানট্রামস সহ্য কর!তবুও মুখে হাসি এনে এই জঘন্য কাজটা করতেই হবে তাকে।
দুপুরে কলেজ ক্যান্টিনের পাঁচ মেশালি ঝোল ঝোল তরকারি দিয়ে একটা রুটি,এককথায় অসহ্য…তবুও ঐ ফিগার মেনটেন করতে এই অখাদ্যটাই গিলতে হয় রোজ!
অফপিরিয়ডে স্টাফরুমে প্রতিদিন কফির কাপে চুমুক দিলেই মাথা গরম!দুধ বেশি,চিনি বেশি,কম কফি মেশানো বস্তুটা একেবারে অসহ্য লাগে তার।এমন কত শত ছোট ছোট বিরক্তি নিয়েই দিন কাটে পাখির।
সেই পাখিরই কী না শীতের মেঘলা সকাল দেখেও মুড একদম ফুরফুরে।রোজ ঘুম থেকে উঠেই বেডরুমে লাগোয়া গোল বারান্দায় দাঁড়াস সে।শীত,গ্রীষ্ম, বর্ষা,হেমন্ত,বসন্তে–প্রতিদিন।সাড়ে পাঁচটায় অ্যালার্ম দেওয়া থাকে সোম থেকে শুক্র।অ্যালার্ম বাজলেই সেটা বন্ধ করে দশ মিনিট ঝিমিয়েই উঠে সোজা বারান্দায়।মিনিট দশেক দাঁড়ানো…তারপর ঘরে এসে তিন্নিকে টেনে তোলা।
সোম থেকে শুক্র,একই রুটিন…গতে বাঁধা। আজও রুটিন একই,শুধু শীতের মেঘলা সকালেও মনে একটা আগোছালো ভালোলাগা!!!
(চলবে)
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।