দুঃখের বিষয় নাজীরা ১৯৩৩ সালে শিল্প সাহিত্যের উপর হস্তক্ষেপ করে। তারা একটা স্টাইল প্রবর্তন করে , নাম ‘রক্ত ও মাটি’das Blut und Boden (Blood and Soil) এবং কয়েক বছরের মধ্যে জার্মানীর শিল্পীদের ম্যাজিক রিয়ালিজম , সার রিয়ালিজম থেকে শুরু করে সকল শিল্প আন্দোলনকে ক্ষয়িষ্ণু শিল্প আখ্যা দিয়ে সব ছবি ভাস্কর্য, শিল্প কীর্তি পুড়িয়ে দেয় , ধ্বংস করে দেয়। বলে ডিজেনারেট আর্ট (Degenerate Art)। কিন্তু শিল্প সাহিত্য কোন রাজনৈতিক ভন্ড, মূর্খ স্তব্দ করতে পারেনা। সে নদীর প্রবাহের মত জোয়ার ভাটায় চলতেই থাকে। ভারতেও অনেক রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী ও ম্যুরাল পুলিশ আছে তারা মধ্যযুগকে আধুনিক যুগে তুলে আনতে চায়। তাদের ধিক্কার জানানো ও কড়া হাতে দমন করা দরকার। এছাড়া তারা বাক্স্বাধীনতা বা ফ্রীডম অব এক্সপ্রেসন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ভঙ্গ করছে ফলে তাদের জন্য কড়া শাস্তি দরকার। এমনিতেই ভারতের অর্ধেক রাজনৈতিক নেতা অর্ধশিক্ষিত, অপরাধী, অনেকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলে।
১৯৩৭ সালে, হিটলার মিউনিখের একটি প্রদর্শনীতে ছবি দেখতে যান। যখন তিনি ছবি দেখতে দেখতে তৎকালীন আধুনিক ছবির সামনে আসেন, শিল্প সমালোচকরা যেগুলি প্রশংসা করেছিল; কিন্তু হিটলার সেসব ছবি দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন। পা দিয়ে লাথি মেরে, হাতে টেনে ছিঁড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। বললেন জার্মান শিল্পীদের মধ্যে নস্টামি এসেছে তাদের শায়েস্তা করা দরকার। খবর কাগজে তার ক্ষয়িষ্ণু শিল্পের ভাষণ প্রচার করা হল,” Modernism in art, Herr Hitler said at Munich Yesterday was a decadent by-product of Bolshevist Jewish corruption. There were still artists in Germany who, after four years of National Socialism, persisted in following the cult of Modernism in their paintings. These artists, he declared, should be treated as dangerous lunatics and handed over to state for sterilisation.”
হিটলার আধুনিক শিল্প পছন্দ করতেননা কিন্তু নগ্নিকার ছবি তার পছন্দের ছিল।