চারিদিকের পরিস্থিতি যেন আরও বেশি করে ঘনিয়ে আসছে। কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত। একের পর এক প্রিয়জন দের চলে যাওয়া এবং এই মৃত্যুমিছিলের ভিড়ে নিজেকে যেন বড্ড বেশিই অসহায় মনে হচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই যে আপনি বেঁচে আছেন, স্বাস নিতে পারছেন এই বা কম কি! প্রতিটা গভীর কালো অন্ধকার রাতের পর যেমন চারিদিক ফুটফুটে আলো নিয়ে সূর্য্য ওঠে বা এক তুমুল কালবৈশাখীর পর প্রকৃতি আবারও শান্ত হয়, ঠিক সেরকমই আমরাও কাটিয়ে উঠবো মহামারীর এই কালো ছায়া। প্রকৃতির এই অশান্ত রূপ ঠিক শান্ত হবেই। হয়তো বা সেই দিন, সেই ভোর খুব দূরে নয়।
ঝড় থেমে যাওয়ার আগমুহূর্তে কিন্তু শেষবারের মত বিশাল এক ফনা তোলে, আমারও হয়তো সেই শেষ মুহূর্তের বিশাল তান্ডব এর মধ্যে রয়েছে! কেই বা বলতে পারে…
প্রতি একশো বছরেই এসেছে এই মহামারীর কালো ছায়া। হয়তো বা আসতেই থাকবে। আগেও মানুষ প্রেত্যেকবার প্রতিহত করেছে মহামারী কে। তখনও হয়তো সয়ে সয়ে লোক মারা গেছে। কিন্তু তারপরেও বেঁচে রয়েছে যারা..
এখন দরকার একটু সাহস, একটু মনবল, একসাথে লড়াই করার দৃঢ়তা। ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী তারা তাদের সাধ্য মত নিরন্তর মানুষের সেবা করে চলেছে। আমরা শুধু একটু সাবধানতা অবলম্বন করে চলবো। হাতে হাত রেখে আমাদের এই মহামারী কে প্রতিহত করতেই হবে। আমরা পারবই।
আবার পৃথিবী একদিন শান্ত হবে, চারিদিকের মৃত্যুমিছিল থেমে যাবে। সেই দিন আর দূরে নয়…