সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ২৮)

না মানুষের সংসদ

কান্তু হেসে বলল,
আবাদ করলে ফলত সোনা ।
শ্রোত্রিয় খেলার মাঠ থেকে ফেরার সময় দেখল অঙ্কের স্যার আসছেন । নন্দবাবু । একটা সাদা ফতুয়া ও ধুতি পরা । পায়ে খড়ম । শ্রোত্রিয় প্রণাম করলে মাস্টার মশাই খুশি হলেন ।
বললেন,
সোমবার তোদের পড়াব পরমানুর সংসার । ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ।
শ্রোত্রিয় বলল,
স্যার, আমি বই থেকে একটু পড়ে নিয়েছি ।
হাসলেন নন্দবাবু । লোকে বলে, পাগলা মাস্টার । কাঁধে ঝোলানো শান্তিনিকেতনের চটের ব্যাগ নকশা কাটা ।
হেসে বললেন,
জগতটা চালাচ্ছে এই পরমাণুরা । মানুষ আসবে, যাবে – তার জন্ম, মৃত্যু আছে । মানে একজন মানুষের জন্ম, মৃত্যু আছে – তাই বলে মানুষের আসা যাওয়া তো বন্ধ হয় না ।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে শ্রোত্রিয় । সে জানে স্যারের চটের ব্যাগের মধ্যে রং, তুলি রয়েছে ।
খুব ভালো আঁকেন স্যার ।
স্যার, এখন আপনি মাঠে বসে আঁকবেন !
অনেকটা দূর যাব বক্সিপুর পেরিয়ে ডাকাতিয়া মাঠ ।
বক্সিপুর শুনতেই শ্রোত্রিয়ের মন নেচে উঠল । পল্টনদা বলছিল ওখানে রয়েছে সন্ন্যাসী । সে ভাল গান করে । বাউল গান ।
শ্রোত্রিয় বলেই ফেললো –
স্যার, আপনি বক্সিপুরের সন্ন্যাসীকে চেনেন – ভালো গান করে ।
স্যার বললেন,
আমি তেমন কাউকে চিনি না তবে ডাকাতিয়া মাঠে অন্ধকারে জোনাকিদের হাট বসে । আমি হচ্ছি সেই হাটের হাটুরে ।
বুঝতে পারে না শ্রোত্রিয় । চুপ করে থাকে ।
স্যার আবার বলেন।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।