ক্যাফে কাব্যে অনিকেশ দাশগুপ্ত

১| পার

ঠিক কোন জন্মে কালো-সাদা ছাড়াও অন্য অনেক রঙের
মতো বিরল মিশে গেছি , জল ছিল,তুষারের পাপড়ি বহুকাল
নেমেছে ,যখন একা একা জানলা বন্ধ রেখে শার্সিতে
রেখেছি দুই চোখ,এ কী মায়া তুষার,প্রগলভ হিম,
উবু হয়ে ব’সে জলে দেখব অপস্রিয়মাণ পাহাড়
উদ্গিরণের পর সহস্রকাল দীর্ঘ শীত
যেন বিষণ্ণ আকারে অন্তত কিছু জ্যান্ত তরঙ্গ
কী ভীষণ রাতে দূর নক্ষত্রের ঘর খোলে,
এই ঝড়ের দর্পণ পেতেছি রঙিন ক’রে , কোনো বন্ধ নেই
খুব সহজ বৃত্তে তবু পোষা অলিন্দ, রৌদ্রখাম

২| বাদ্য

আর এই প্রচ্ছন্ন স্বর্গালাপ থেকে যাবে
নীল ফ্যাব্রিকে ঢেকে ফেলব হলুদ সূর্যালোক,
নিভৃতে চলো,গ্রীষ্মের অবাস্তব আলোয় ,
মমির নরম বুক খুলে
ঝাঁঝালো সমুদ্রে বৃশ্চিকাকার লাল ভেসে চলেছে আজও ,
লবণাক্ত বাতাসে বিধ্বস্ত মাস্তুল মুখ ঘুরিয়ে যায় ,
তৃষ্ণার্ত খুঁজে পেলাম নিজেকে বটতলার শান্ত সহজ
পাখির মত ঠোঁটে লাল সুতোয় বাঁধা চিঠি
বৃক্ষের সত্তার চেয়ে আগলে রাখা এই দিনমলাটে
এই প্রয়োগ চিরকালীন,প্রেতের নিয়তি প্রসবে
তবু দেখি নিস্তনী বুকে সহস্র ঘুঙুরধ্বনি

৩| পরিযান

লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ঝরতে থাকা
এক আগুনপাথর
শেষ অব্দি দিয়ে গেল রাত্রিঋণ,
মূর্ত দোদুল্যমান অজস্র পত্রচিহ্ন অব্দি ,
রৌদ্রের অযুত ফাঁকা ঘরে
সেই আলো ও রং মুহূর্তে মুছে গেলে
বিপন্ন বেড়ার ওপর
নরম তাঁত মেলেছ সারাদিন,
মৃত দু’হাতের প্রস্থান মেনে নিয়েছ
তবু রেণুভার
গভীর রাতের কান্না প্রসব করে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।