জন্ম ১৯৭৮ সালে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার চম্পাহাটি তে। বাবা পরলোকগত বিশ্বনাথ পাল। মাতা অনিতা পাল। শিক্ষা - পদার্থবিদ্যায় সাম্মানিক স্নাতক, বি এড। পেশা - তাড়দহ হাইস্কুলের শিক্ষক। লেখা লেখি শুরু কলেজের দিনগুলোয় যদিও প্রকাশ অনেক পরে। স্থানীয় অনেক লিটল ম্যাগাজিন এ লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সুখবর, নিউজ বাংলা, উৎসব, অপদার্থের আদ্যক্ষর, শ্রমণ , বার্ণিক, অন্বেষা, অর্বাচীন, মুখ প্রভৃতি পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সাপলুডো নামে একটা পত্রিকার সম্পাদনা করেন। "তোর মত হলে অন্ধকারকেও ভালোবাসি", "জলরঙের ওড়না " ও "সমুদ্রে রেখেছি সময়" , "আমি এসেছিলাম" নামে চারটি কাব্যগ্রন্থ আছে।
সাপের খোলস
মুখোসের উপর মুখোস চড়িয়ে
লুকিয়ে পড়েছি সবাই
গভীর
ঘুরন্ত অন্ধকারে!
অন্ধকার কি শব্দহীন?
না, খিদের শব্দ এখানে
হিস-হিস…
অন্ধকার কি শর্তহীন ?
তাহলে তার পোষাক নেই কেন
লজ্জাস্থানে!
অন্ধকার কি লোভহীন ?
তবে এত মালা কেন গলায়
সর্বাঙ্গে!
আসলে আমরা সবাই বিবর্তনের শিকার
সাপের ছেড়ে ফেলা খোলসের মত পড়ে থাকি
চুপচাপ,
ফাঁপা শরীরের খিদে এঁকে রাখি
বেওয়ারিস খোলসের
ভিতরপিঠে…