১৯৬৮ সালে কলকাতায় জন্ম। সাধারণ মধ্যবিত্ত সংসারে সাংস্কৃতিক ছোঁয়ায় বেড়ে ওঠা। নব নালন্দা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা, সেন্ট জেভিযার্স কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক। পরবর্তী উচ্চ শিক্ষা। বর্তমানে একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা স্কুলে থাকতে। প্রথম ছড়া প্রকাশিত দৈনিক আজকাল সংবাদ পত্রে। নাটক, আবৃত্তি ও গানের প্রতি আবেগ বেশী হলেও, পদ্য বা ছড়া তাকে আজও টানে। কর্মব্যস্ত চলার পথে তাই মাঝে মাঝে সৃষ্টি করার প্রয়াসে জন্ম নেয় তার কিছু পদ্য।
পুনর্জন্ম
সন্ধ্যার পথ বেয়ে আজও,
নিভে আসে রোদ্দূরের শেষ রেখা,
চলে যায় আজকের সব অবসান ঘিরে।
তুমি আর আমি, সেই সেদিনের মতো ফিরে চলি,
ঘর মুখি, অবচেতনায়।
শ্বেতবলাকার ডানা ঘিরে
ধীরে ধীরে ছেয়ে আসে রাত।
আকাঙ্খা অনেক বেশি ছিল,
তবু, রয়ে যাক শেষবেলার রোদ্দূর
আর আকাশে ঘুম থেকে জেগে ওঠা চাঁদ।
কালকে আবার দিন হবে,
ব্যস্ত পায়ে এসে নতুন করে ধুয়ে দেবে রাত,
স্বপ্নেরা আবার ভেঙে বাস্তবকে জড়িয়ে,
হাঁটবে সূর্যাস্তের দিকে।
নিঃশেষিত মূহুর্তেরা
থমকে দাড়িয়ে থাকবে জীবনের মোড়গুলো ঘুরে।
তারারা একে একে ফুটবে আকাশে।
আঙ্গুলের ডগায় থাক ঊষ্ণ পরশ,
আবেশ জড়ানো ঘ্রাণ,
আবার চলেছি বিপরীতে।
দূরত্ব বেড়ে যায় ফেলে যাওয়া
পদচিহ্ন গুনে।
আমি আজও কালিদাশ মানি, মেঘদূত মানি,
পরীদের দেশ আর গভীর কালো চোখ,
তাই জেনো পাইনি তোমায় তুমি করে;
বেলাশেষে, কোনদিন,
আবার হাঁটব, হাতে হাত রেখে,
গোধূলি বেলায়।