Cafe কলামে – আত্মজ উপাধ্যায় (পর্ব – ৮)

পৃথিবীটা কার? আপনি বিচার করুন (2)

চলুন,আমরা একটু পৃথিবীটার দিকে তাকাই। আমাদের আগে কারা ছিল। নিশ্চয়ই যে আগে এসেছিল তার দাবি আমাদের চেয়ে বেশী হবে। সভ্যমানুষ সমাজের  সৃষ্ট যৌন সমস্যা, সমাধান করতে হলে, আপনাকে জানতে হবে, জীবজগতের বিবর্তন।
মানুষের বংশ লতিকার উৎস ও জীবজন্তুর ইতিহাস

পৃথিবীতে প্রাণের সময়রেখা, প্রাথমিক ভাবে ধরা হয়,পৃথিবীর বয়েস ৪৬০০,০০০,০০০ বা ৪৬০ কোটি বছর ইংরেজিতে 4600 million তখন এটি একটি জ্বলন্ত গ্রহ ছিল: ৪০০ কোটি বছর আগে সাধারণ কোষ হঠাৎ জন্ম নেয়; ৩০০কোটি বছর আগে শুরু হয় সালোকসংশ্লেষণ; ২০০কোটি বছর আগে জন্মাতে থাকে জটিল কোষ; ১০০কোটি বছর আগে বহুজীবী জীবন দেখা দেয়; ৬০ কোটি বছর আগে সাধারণ প্রাণী; ৫০ কোটি বছর আগে মাছ এবং প্রোটো-উভচরদের জন্ম; সাড়ে ৪৭ কোটী বছরআগে উদ্ভিদ জমি গাছপালা; ৪০ কোটি বছর আগে পোকামাকড় এবং বীজ;৩৬কোটি বছর আগে উভচর ; সরীসৃপের জন্ম ৩০ কোটি বছর আগে; ২০ কোটি বছর আগে স্তন্যপায়ী প্রাণীর; ১৫কোটি বছর আগে পাখি; ১০ কোটি বছর আগে ফুল; এবংসারে ৬ কোটি বছর আগে যে ডাইনোসররা উড়তে পারতনা, মারা গেছে। সূত্রঃ sciencedaily
সাড়ে ৫ কোটি বছর আগে বাঁদর প্রজাতিদের বিবর্তন। ৬০ লক্ষ বছর আগে অধূনা বিলুপ্ত বাঁদর ও মানুষের মধ্যবর্তী এক প্রজাতি দেখা দিয়েছিল।প্রায় ২০লক্ষ (২.০০০,০০০) বছর আগে আফ্রিকাতে প্রথম মানুষ আবির্ভূত হয়েছিল,২ লক্ষ বছর আগে বিজ্ঞ মানুষের(Homo sapiens ) রূপ আবির্ভাব হয়েছিল। নৃতত্ত্ববিদ্‌রা এখনো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেই বিজ্ঞ মানুষেরা কিভাবে একে অপরের সাথে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করত ও যৌনচারণা করত।
এই ইতিহাস আমরা মাধ্যমিক স্কুল স্তরে পাঠ্যবইয়ে একবার পড়ে এসেছি। কিন্তু ভুলে গেছি কথাগুলির অর্থ। কতদীর্ঘকাল ধরে আমাদের এই গ্রহের প্রাণের সৃষ্টির বিবর্তন চলেছে। আমাদের পূর্বপুরুষ একই জীব। অর্থাৎজীবজন্তু, পোকামাকর, পাখী উদ্ভিদ সবাই আমরা একে অপরের জ্ঞাতি। সবার দাবিই সমান।পৃথিবীর উপর অধিকার সবার সমান। আগে আসার ভিত্তিতে জীবজন্তু, পোকামাকরের অগ্রাধিকার থাকা উচিত। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখছি। জোর যার, ক্ষমতা যার, বুদ্ধি যার সেই সবাইকে নিয়ন্ত্রণ, শাসন শোষণ করছে ও আধিপত্য বজায় রাখছে। সে যেই হোক; পোকা মাকর, পাখী, উদ্ভিদ, জীবজন্তু বা মানুষ।সবারই তাদের মতো করে ক্ষমতা অর্জন করে রেখেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বনে জংগলে, হিংস্র মাংসাশী জন্তুরা, আর মানুষের সমাজে মাফিয়া ও রাজনৈতিক ক্ষমতাশালীরা।
সমান, সাম্য ইত্যাদি ভেক কথা। অলীক স্বপ্ন।ক্ষমতা দখল, বা অর্জন করা বা প্রতিপক্ষকে মেরে দেওয়া হল বাস্তব ও সত্য। এটা করতে পারলে সবাই নিজেকে নিরাপদ ভাবে।
একটা খরগোশকে একটা হিংস্র জন্তু মেরে ফেলতে পারে, আবার সেই জন্তুটাকে একটা মানুষ মেরে ফেলতে পারে। আব্র একটা মানুষকে একটা পোকা কামড়ে মেরে ফেলতে পারে। অর্থাৎ ক্ষমতা কার কেমন তা জীবজন্তুকে দেখে বোঝা যাবেনা।
প্রত্যেকটা জীবজন্তু অন্য আরেকটি জীবজন্তুকে খেয়ে, শিকার করে, অনর্থক মেরে,তার জীবন চালায়। এই মারাতে, জীবজন্তুর জগতে অপরাধ হয়না। কিন্তু মানুষের সমাজে নানা ভন্ডামী চলে। যার ক্ষমতা বেশী ও রাজনৈতিক অনুমোদন প্রাপ্ত তারা বিপজ্জনক সবচেয়ে বেশি। দেখা যায়, সারা পৃথিবীর সকল প্রাণীর উপর মানুষ শোষণ করে বেঁচে আছে। আর মানুষ সমাজে নরনারীর মধ্যে নারী পরজীবি হয়ে পুরুষ শোষণ করে বেঁচে আছে। কেননা, সে পুরুষের সুরক্ষা থেকে আরম্ভ করে খাবার, আশ্রয় সমস্ত কিছুতেই পুরুষ নির্ভর। এটা একদিনে, একবছরে, হাজার বছরে হয়নি।
ক্রো মগনন (cro magnon) বা হোমো ইরেক্টাস (Homo erectus) যারা সোজা হয়ে দাড়াতে পারত (meaning ‘upright man’) এর সময় থেকেও অনেক আগে- ধরা যেতে পারে লক্ষ লক্ষ বছর আগে মহিলা প্রজাতি যেভাবে বাঁচার যোগ্যতা চেয়েছে সেইভাবেই তারা আজ বেড়ে উঠেছে। সভ্য সমাজের বয়েস বেশি না যদি দশ হাজার বছর ধরি, সেই ১০ হাজার বছর ধরে নারীর জীবনযাত্রা, তার চাওয়া পাওয়া যোগ্যতা দায়ী আজকের ভাল মন্দ গুণের নারীর অস্তিত্বর জন্য।
নারী পুরুষ নির্ভর ও পুরুষ সহনীয় গুণ দেখা যায়, বাঁদর কুলের অনেক প্রজাতির মধ্যে।
আমি দূর থেকে যেমন অঙ্ক করে , সমীকরণ করে উত্তর খুঁজে, তেমন কিছু করছি। খুঁজছি বিবর্তনের  ধারা। প্রাইমেটদের জীবন।
যোনি থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা আক্রমনাত্মক যৌনাংগ কোথায় আইনী বেড়াজালে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। মনো বিজ্ঞান, শরীর বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান এগুলি উলটে পালটে দেখার ইচ্ছা।  গত কয়েকবছর বিস্তৃত তথ্য পড়াশুনা করে মনে হল পুরুষের জগত অনেক শক্ত। ১০ ইঞ্চি রাজদন্ড দিয়ে পুরুষ সারা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের অধিকারী। তার যোগ্যতা আছে। জন্তু জানোয়ার পোকা মাকর পাখী  সকলের শাসক পুরুষ। এ সত্য পৃথিবীর প্রাণের বিবর্তনের ইতিহাস সাক্ষী। ভূমিকা এখানেই ইতি টানছি।
বিবর্তনে মানুষ, ভিন্ন ভিন্ন কম করেও ২০টি প্রজাতির প্রাইমেট বা বাঁদর যোনি জন্ম পেরিয়ে এসেছে। শিম্পাঞ্জি , বনবো, বেবুন baboons, chimpanzees, and bonobos ইত্যাদি।

চুলকানি। এপ, প্রাইমেট বা বাঁদর শ্রেণী তাদের জননাঙ্গ চুলকে নিজেকে প্রকাশ করে। তাদের তো ভাষা নেই। তারা শারিরীক অংগভঙ্গী দিয়ে কথা বলে, ভাবপ্রকাশ করে। চুলকানি বা আংগুল দিয়ে ঘষা আদিম মানুষেরা করত, আপনি গরিলা, বনবো ওরাংওটাং  ইত্যাদি যারা মানুষ প্রজাতির ধারে কাছে সাদৃশ্য আছে তাদের মধ্যে দেখুন। না বুঝলে সেই বিশেষজ্ঞদের কাছে শুনুন।
বাঁদর প্রজাতির baboons, chimpanzees, and bonobos এরা বহুগামী যৌনকাঙ্খী।মানুষের মতোই, এরা যৌনসহবাসের জন্য লড়াই করে। মানুষের কাছের প্রজাতি, উদাহরণ স্বরূপ এরা। নেচুরাল সিলেকশানে Natural selection মানুষের সমাজ নয়। মানুষ পরিবেশ, পরিপ্রেক্ষিত ও সার্বিক বা ক্ষমতাশালীর ব্যক্তি রুচি বা স্বার্থ নিরিখে আইন প্রণয়ন করে বাস করে। তার সাথে ন্যাচুরাল সিলেকশান ধাক্কা খায়।
পুরুষ শিকার করতে পারে, পুরুষ শিকারি, পুরুষ ব্যবহৃত অনেক যন্ত্র বানাতে পারে, পুরুষ শিল্পী।
(These primates are so closely related to people that they share 98.7 percent of humans’ DNA.
Bonobos, who use sex to resolve conflict, have never been seen to kill each other. They share food. They are more cooperative than chimpanzees.

and in the wild, these individuals practiced g-g rubbing, genito-genito rubbing  where two female bonobos rub their clitorises together, penis fencing between males, and a myriad of other socio-sexual behavior.
Sex for fun in bonobos, and many other animals, plays a social function. There is stress-relief sex, make-up sex and random hook-up sex. Chimpanzees, humans’ more violent cousins, do not seem to use sex in this way. They occasionally torture each other, kill strangers and demonstrate other echoes of humanity’s dark side
Bonobo sex looks human.

Primates such as chimpanzees and bonobo monkeys, pictured, do not conform to a mating system and regularly engage in frequent sex with multiple partners.
পেঙ্গুইনের একটা শ্রেণি আছে প্রতি বছর নতুন সংগী নেয়। একজনের সাথে একবছর থাকে।
 গত ৫/৭ মিলিয়ন বছরে আমরা কম করেও ২০ জাতির প্রজাতির সাথে আমাদের মানব ধারার, পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা তাদের থেকে অনেক কিছু গ্রহন বর্জন করেছি। আমাদের পুরুষাঙ্গ অন্যান্য স্তন্যপায়ী বাঁদর শ্রেণী থেকে অনেক বড় হয়েছে।আর নারীর প্রজনন কেন্দ্র বা স্থানটি মিথুনের সময় প্রগাঢ দৃষ্টি থেকে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের মত বেড়ে উঠেছে।we alone have the cognitive capacity to take the rich psychological perspective of our sexual partners into account. or at least to empathize  সহানুভতি to the degree we do  আমরা। মানুষই পারে তার যৌনসঙ্গীর মানসিক স্তরটুকু মৈথুনের সময় উপলব্ধি করার। তার প্রতি সহানুভুতি দেখানো।  ফলে মানুষের মধ্যে  সামাজিক এই জ্ঞানের  ক্ষমতার জন্য অন্যান্য স্তন্যপায়ী বাঁদরের মতো , আমাদের যৌন ক্রীড়া দ্রুত ও নোংরা  পর্যায়ে নেমে গেছে।
As a consequence of this social cognitive capacity, sex in our species has become about more than quick-and-dirty copulation or sex play, as found in other primate species. মানুষের মধ্যে একেবারে আক্ষরিক অর্থে, যৌনসঙ্গম ও প্রেম নিবেদন For humans, it has evolved quite literally into “intercourse” and “lovemaking,” in which our own immediate sexual desires must be carefully balanced with the mental needs, desires and wellbeing of others. Sometimes our old primate brains overpower these more recently evolved social cognitive জ্ঞান বা উপলব্ধি factors; people may fail to inhibit themselves when intensely aroused and selfishly take advantage of others’ bodies without consideration of their unseen minds. And therein lies a vital conflict, or tension, for our species.Psychology, shame , sex, a comprehensive study
বাহুবল, একটা বড় বিষয়, যা পুরুষ পশু স্তর থেকেই, বাঁদর প্রজাতি স্তর থেকেই অর্জন করেছে। আপনি প্রাইমেটদের নিয়ে গবেষণার বইগুলি ঘেঁটে দেখবেন, শিম্পাঞ্জী, গরিলা, বনবো যারা অবিকল মানুষের মত, তাদের জীবন যাপন। তাদের মধ্যে নারী প্রকৃতি ও পুরুষ প্রকৃতি। পুরুষ সর্বকালেই গুন্ডা, বাহুবলে নারীকে অধিকার করে, নারীকে রক্ষাও পুরুষই করে। দাদা গরিলা এলে সকল নারী গরিলা কেমন চুপ হয়ে যায় বা পালিয়ে যায়। পুরুষের এই প্রকৃতি তাকে অধিক আবিষ্কার ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দিয়েছে।
একটা বিষয় আমার চোখে পড়েনি, বা শুনিনি পৃথিবীর তাবড় তাবড় পন্ডিত, মনোবিদ, সমাজবিদ, জীবন বিশেষজ্ঞ যারা এই টিভি চ্যানেলে দাঁত দেখাতে আসে, রাগেই হোক আর মজা করেই হোক বা শূন্য ঘিলুবাজদের অসৎ, টাকাই মূখ্য ধারণার মিডিয়াবাজরা আনে তাদের বলতে, যে পুরুষের যৌন চারণার মধ্যে বেশীরভাগই ক্ষতির ইচ্ছা, বা নারীর দৈহিক, মানসিক ক্ষতির ইচ্ছা নিয়ে তার কাছে গেছে। পুরুষ নারীর গর্ভে সন্তান দেবে, এই ভাবনাতেও যায়না। সে নারীকে নিয়ে খুব লাভবান হবে, এই ভাবনাতেও যায়না। যায় স্বাভাবিক জৈবিক ধর্মে।
আমরা ভগবান রজনীশ বা ওশো রজনীশের আধ্যাত্ম জীবন যেখানে পবিত্র মিলনে সবাই সমান । কেউ মনে করেনা তার শরীরে অন্য কেউ আক্রমন করছে। Rajneesh emphasized the importance of meditation, mindfulness, love, celebration, courage, creativity and humour—qualities that he viewed as being suppressed by adherence to static belief systems, religious tradition and socialisation. In advocating a more open attitude to human sexuality তার ভাবনা inhibition-free lifestyle that he advocated as a panacea for the ills plaguing the modern world কে তার ভক্তরা মেনে নিয়েছিল। আর তার ভক্ত মানে সমাজের সবচেয়ে মেধাবান নারী পুরুষ। আমার আপনার মত অশিক্ষিত, কুসংস্কারগ্রস্থ দীন ভিখারি কেউ ছিলনা। মুক্ত যৌনতাকে গ্রহন
freer acceptance of human sexuality ।

চলবে

 

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।