বিশুদ্ধ শরীরের রাতে আমি তোর ফাঁক থেকে
মুখ বার ক’রে দেখি উপরে নিদন্তের চাঁদ
মেঘের হাতের মতো আকাশের বিলবোর্ডে দাগ
তার মধ্যেই ফের আঁকুপাঁকু নখরের লাল
আজ ফের কেটে দিলি কেন যা যা লিখেছিলি কাল?
পৃথিবী ছুটছে দেখ পৃথিবীর প’রে বড় টান
সেলোফেন ক্ষীণ এক জ্যোৎস্নার মিহিন চাদর
মুখে যে আঙুল দিলি খাঁজে খাঁজ ভাঁজে ভাঁজ আয়
মহাব্যোম জ্বালা ওম কে কার লাটিমখানা নিয়ে
কালো গহ্বর মাঝে মুখখানা হা হা খুলে থাকে
কে তাকে কাঁপায়? ওরে পাথরের নীচে লাভা স্রোত
কে কাকে ঠাপায়?
কে কাকে কাঁদায় বল, আরো চল, আসা যাওয়া লাগে
তোর নদীখাত বেয়ে আমার সাঁতার যাক আগে
চুলের কাছির কাছে বাঁধা থাকে জাহাজের আগা
বেপথু স্রোতের পথে ভাগা
আমাকে আঁজলা ক’রে খেতে খেতে নিংড়োস হাতে
রাত্রি একটু ক’রে পাশ ফেরে আকাশের গা’তে
জানলায় খোঁজ নেয় স্নান সেরে ভেজা ভেজা হাওয়া
এইবার বুকে দাঁড় বাওয়া
যে অসুখ সুখতারে বাঁধা
উপত্যকায় কোন ফুলের গন্ধ থেমে থাকে
সেইখানে মুখ রেখে কাঁদা
তোর ফাঁক থেকে আমি দেখি মুখ বার ক’রে নিয়ে
কে এক নিবিড় ফোঁড়ে ঘুমখানা সেলাই করেছে
তোমার আমার সুর দিয়ে