• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় বন্যা ব্যানার্জী

স্বাগতম্

ডোর বেল টা বাজতেই কুর্চি দরজা খুলে দিল।পাড়ার বিপিন কাকা,হাতে হালখাতার কার্ড।গলা শুনে মা হন্তদন্ত হয়ে এসেই কুর্চিকে আড়াল করে দাঁড়াল। হেসে কুর্চি
ঘরে চলে গেল।মায়ের অস্বয়াস্তির কারণ তার হাতের জ্বলন্ত সিগারেট।
কর্পোরেট অফিসের বড় একটি পদ সামলাতে হয় তাকে। তবু সমাজের চোখে একজন মেয়েমানুষ বই তো নয়। পাড়ার এইরকম বিপিন কাকা আনিতা পিসি রা তাই মশলা মুড়ি মাখানোর জন্য সময় নেন না বেশি। শুধু এরা কেন! এতো মিটিং, মিছিল, সমাজ কে বদলে দেবার শপথ নিয়ে যে ছেলেটার মুখে সেই কলেজ লাইফ থেকে আটকে থাকতো কুর্চির চোখ! সেই নীল ও তো একদিন বলেছিল -‌ “আমাকে ভালোবেসে ও কি তুই ছাড়তে পারিস না এসব অফিস পার্টি,ড্রিঙ্ক,ফসফস করে সিগারেট খাওয়া! আমাদের পরিবারের যে একটা ঐতিহ্য আছে রে!”
এ কথায় বড় অসম্মান ছিল।তাই আর….
আজ ওর প্রমোশন।।সকাল থেকে অভিনন্দন জানিয়ে চলেছে সবাই।হঠাৎ ফোনে একটা আন সেভ নম্বর থেকে ম্যাসেজ এল- “আজ ও কি আকাশের রং এ কেউ মিশে আছে?” বছর দুই আগে সমস্ত চুকেবুকে গেলেও নাম্বার টা মুখস্ত ই ছিল। কুর্চি রিপ্লাই করল ” মেঘ চিরে দেখলে এখনো বৃষ্টিই পাওয়া যাবে।”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।