সাহিত্য ভাষান্তরে বাসুদেব দাস

অদাহ্য

নিবেদন দাস পাটোয়ারী
মূল অসমিয়া থেকে বাংলা অনুবাদ

একটা মোমবাতি জ্বলছিল
ঘরটাতে অন্ধকার ছাড়া
অন্য কেউ থেকে থাকলেও
জানি না

অন্ধকার নাকি আলোর সমানুপাতিক
কথাটা বুঝতে পারলাম না
ঘরটাতে অন্ধকার জ্বলছিল
গলছিল
টোপ টোপ করে খসে পড়ছিল
অন্ধকারের মণি
জ্বলতে না জানা একটা রাত
বামাতে না পারার মতো কাঁধে
বাসা নিয়েছিল

চাঁদকেও লুকোতে পেরেছি
অন্ধকারকে পারিনি
অন্ধকারে ফুল ফুটে
রাতের না লেখা গল্প চেনে

দিনের অন্ধকার আমাকে আঘাত করে
আমার বোবা মুখ দিয়ে শব্দ বের হয় না
শেফালি ঝরে পড়া সময়ে
অন্ধকারের বকুল ফোটে
গন্ধ ঘিরে ধরে
জীর্ণ কুটিরের উঠোন

দোঘোরাত হলদে বৃষ্টি
পদুলির বাঁশের চাঙে
পূইশাঁকের গুটি

মনের কলং
শুকোয় ধীরে ধীরে
বাসার পায়রাগুলি কলরব করে না

মোমবাতিটা নিভে যায়
অন্ধকার নিভে যায় না

জ্বললেই
ছাই হয়ে যায় না
সবকিছু

টীকাঃ দোঘোরাত-দুটি ঘরের মাঝখানের সংকীর্ণ জায়গা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।