|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় চুমকি ভট্টাচার্য
by
·
Published
· Updated
মুক্তি
– হ্যালো, আমি মিনতি বলছি! তোমার বাড়ীতে আমায় একটু থাকতে দেবে বৌদি? সব কাজ করে দেব!
হঠাৎ মিনতির ফোন আসায় বিদিশা অবাক হয়ে বলে,
-থাকবি? কিন্তু তোর বর?
-একটাকাও আমদানি করার মুরোদ নেই অথচ রোজ আমার জমানো টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ছাইপাঁশ গিলে এসে আমায় বেদম পেটায়। এই নরক থেকে মুক্তি দাও বৌদি!
লকডাউনের আগে প্রায়ই কামাই করত মিনতি। ওর মেজাজের ভয়ে কিছু বলারও সাহস পায়নি বিদিশা। ওর সেই হঠাৎ ছুটি নেওয়ার মাশুল দিতে হতো বিদিশাকেই। ঝড়ের গতিতে সংসারের সব কাজ সামলে প্রায়ই না খেয়ে সে দৌড়াত স্কুলে।
অনির্বাণ প্রায়ই বলতো,
– তোমার স্কুলের টাকায় তো আর সংসার চলে না, মন দিয়ে সংসার কর…
বিদিশা কখনো বোঝাতে পারেনি, ওই ক্ষুদে পড়ুয়াদের মধ্যেই সে খুঁজে পায় প্রাণশক্তি, ক্ষণিকের মুক্তি।
বিদিশা ফিরে আসে বর্তমানে। মিনতিকে কিছু বলার আগেই শুনতে পায় অনির্বাণের চিৎকার,
– ফোনে কার সাথে এত রসের কথা হচ্ছে? এদিকে যে দু’পেগ শেষ হয়ে গেল, এখনও ফ্রাই দেওয়ার সময় হল না মহারাণীর!