গুচ্ছ কবিতায় চিরঞ্জীব হালদার

১|

তবুও নাছোড় কবি জন্মেছে জগতে।
মাটির স্নিগ্ধতায় না ভাসে সে স্রোতে।
না ভাসো রূপদর্শী মর্ষকামী ভোর
একে একে ভিজে ওঠা আটান্ন ভাদর।
আশ্রিত ও আশ্রয়ের মধ্যে মহাগুরু
গুগুল সাধুর কাছে পাঠ উড়ু উড়ু।
এ জন্ম নিষিদ্ধ তোর অক্ষর বাথান
কবচ কুন্ডল সব করে দাও দান।
কর্ন নও যুধিষ্ঠীর চরিত্রের দোষ
অসত্য অপ্রেমে করো কী আপোষ।
না পারো তো ভাঁড়মে যাও কবি কুলাঙ্গার
দিন যামিনী শেষ না পাঠক আমার।

২|

আমার একটি পা যে কবে থেকে নেই বুঝতে পারিনি।
লেংচে হাঁটাকে ঢাকা দেওয়া জন্য ধুতি পরিধান একটি উৎকৃষ্ট ভান।
এক পায়ে কবে থেকে আলতা লাগিয়ে রেখেছি মনে নেই।
অবশ্য আঙুল নেই তাই নরুন বা নেল কাটার এর প্রয়োজন ঘটেনি।
এরম আরো অনেক ব্যাপার আছে যা দিন দিন সাশ্রয় করেছি গোদার কিনবো বলে।
যদিও অপঠিত দস্তয়ভোস্কি থেকে উড়ে আসা ডুমো মাছির পাল জাঙিয়া পকেটে লুকিয়ে রাখি
যাতে জন প্রানী না টের পায়।
প্রায় ই গোটা এক কাঁঠাল নিয়ে বাড়ি ফেরার ভাবনা ধার করি।
যাতে আমার প্রিয় শত্রু আমার
মাছি গুলোকে হত্যা করতে না পারে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।