|| আ মরি বাংলা ভাষা || সংখ্যায় চিরঞ্জীব হালদার

১ রীতা মুখার্জি সেই কবে নিরুদ্দেশ হলেন

ভান্ডারী পাড়ার ডেঁপো হাওয়ার ছাঁইয়া
ছাঁইয়া মধুগানে সে কি হূলস্থূল।
আমাদের বর্ণমালার পাতায় পাতায় তখন মখমল জোয়ার।
গোষ্টপালের উপনিষদ পড়তে পড়তে তার জিভ চিরে
নেমে আসা ভয়ংঙ্কর সিটি গাছে গাছে বসন্ত নামিয়ে নিরুদ্দেশ।
সব অফসাইড গোলগুলো তালপাতার চাটাইয়ে
নিশিরাতের আইবুড়ো ভাত।
এখন কাঠের সিন্দুক থেকে বেরিয়ে আসা এজমালী যৌনতা মেঘ হয়ে উড়ে যাচ্ছে রীতা মুখে।
আহা আমদের হাভাতে পানুকাকা আর পাঠক। মাঝখানে রূপালী দ্বীপের ঈগলটা এখনও বাঁসা বুনে চলে।

২ ডার্ক ভাবনার কবিতা

ধরুন আপনি ডার্ক মোডে।
অসফল উড়ানের পর জামার সমস্ত বোতামের কাছে
কয়েক গুচ্ছ ক্রুর পতঙ্গে গুলতানি টের পাচ্ছেন ।
সোনাতনী সিঁদুরের পাঁচিল টপকে সুতানটী বিউটি পার্লার এর একটাও ঠিল
আমগাছে হানা দিতে পারে এমন প্রেডিকসান
কেহ করেছে কিনা ভেবে দেখতে হবে।
অথবা ধরুন আপনার হস্তাক্ষর জাল করে
প্রেমিকা হাতানোর মতলবে প্রেমিকা নিজেই
গোলাপী হাতের সাথে আপনাকেই বাজি রাখে।
কী আশ্চর্য মারাদোনা বাঁ হাতে গোল করার পর
কীভাবে কেশব নাগ আর বুদ্ধদেব গুহ সেম কম্পাঙ্কে
হুইসেল বাজাবেন।এটা ভাবা জাষ্ট ইমপন্সিবিল।
দোহাই আর যাই লিখুন প্রেম আর বাঁশে চড়ার কথা
নাগ বৌদি জানতে পারলে কিন্তু খবর আছে।
আপনি ভাবতেই থাকুন।
ডার্ক মোড আর মহাজাগতিক মোডের মধ্যে মক্কা গাছটা নির্বিকার মাথা দুলিয়ে
ঠোঁট কাটা পাখিটাকে ডেকেই চলেছে।

আমার জন্মের আগে সব নদীরা ছিল
হিংস্র ভালবাসার কাঙাল।
মাতামহকে আমি দেখিনি।
তেনার তাম্বুল প্রিয়তা নিয়ে কোন কথা হবেনা।
ভোম্বোল ডাকাত যেদিন সাধুত্ব গ্ৰহন করবেন
তার আগের আগের দিন মা প্রসব বেদনার কথা
একমাএ অর্জুন গাছকেই বলেছিলো।
হৃদ নিরাময়ে পটু অশোক চূড়া দেখা হলে বলে ওঠে
এখনও তোর মাতৃদোষ কাটলো কই।
সেদিন বয়স্ক পোশাকের সাথে সেকি হোই হোই।
তার নিষ্প্রভ পকেট বান্ধব বর্ণের গুনগান।
জিজ্ঞেস করলো মাত্রাহীন অক্ষরেরা তৃষ্ণার্ত হলে
এখনও অপেক্ষা করবে ভোলা ময়রার অনির্বাণ গামছা।
এই সেরেছে বাগদেবীর নিরুদ্দেশ হাঁসের ফিরে আসার সয়য় হলো।
ব্যাকরণ টা আর একটু ঝালিয়ে নিতে হবে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।