সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে দেবদাস কুন্ডু (পর্ব – ২০)

লড়াইয়ের মিছিল

পর্ব – ২০

দাদু তুমি কিন্তু কাজটা ঠিক করলে না।কৌনিশের কথা শুনে চমকে উঠলেন হরিদাস পাল। বললেন,কেন দাদুভাই আমি কি অন্যায় করলাম?
তুমি আমার পারমিশন নিয়েছো?
কি ব্যাপারে?
এই যে চলে যাচ্ছো।
না। পারমিশন তো নেওয়া হয় নি।
আমি এখন এ বাড়ির হেড। আমার পারমিশন ছাড়া যেতেপারো না।
তা পারমিশন টা দিয়ে দাও আমি যাই।
না। পারমিশন হবে না।
কেন দাদুভাই?
তুমি এখনো অ সুস্থ ।
কে বলেছে?আমি এখন সম্পূর্ণ ফিট।
ফিট সার্টিফিকেট দেখাও।
সবাই হেসে উঠলো।
দাদু ভাই তুমি এক কাজ করো । তোমার তো কাল থেকে গরমের ছুটি পডবে তুমি আমার সংগে চলো।
না আমি তোমার বাড়ি যাবো না।
ওটা তো তোমার বাড়ি।
লিখে দিয়েছো আমার নামে?
সে লিখে দিতে কতখন।
আগে লিখে দাও। তারপর চিন্তা করবো।
বেলারানি নাতিকে কোলে তুলে নিলেন।বললেন,বেশ বলেছিস।তুই পারবি দাদুকে জব্দ করতে।
নিচে অপেক্ষা করছিল উবের। হরিদাস পাল বসলেন।পাশে বেলারানি।
সুদর্শন বলল,মা তুমি দেখবে বাবা যেন ওষুধ ঠিক মতো খায়।
ও নিয়ে তোকে চিন্তা করতে হবে না।কৌনিশের কাশি হয়েছে।ওকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসিস।
আগামী মাসে চেক আপ আছে।আমি গিয়ে নিয়ে আসবো।
সে ঠিক আছে।
বাবা শরীরের ওপর যত্ন নিও কেমন।
সে তোকে ভাবতে হবে না।
বৌমা দাদুভাইকে নিয়ে আয়।কটা দিন ওখানে থেকে না হয় অফিস করবি।
সে যাবোখন।এখন অফিসে চাপ আছে।দিন দুই পরে অফিসের কাজে বোমবে যেতে হবে।ফিরে এসে যাবো।
তাই যাস।সত্যি দাদুভাইযের জন্য মনটা খারাপ লাগবে।
উবের হুশ করে বেরিয়ে গেল।যেন রেসের ঘোড় ছুটলো টারনিং পয়েন্ট ছু৺তে।
ঘরে ঢুকতে একটা বিরাট শূন্যতা সুদর্শনকে গ়াস করলো।এতো বড় ফ্ল্যাট টা মরুভূমির শূন্যতা নিয়ে তাকে জাপটে ধরলো।তার মনে হলো মানুষ না থাকলে ঘরবাড়ির কি মূল্য? ঘরবাড়ি তো ইট সিমেন্ট দিয়ে তৈরি। মানুষের বসবাসের তার হয়ে ওঠে জীবন্ত।
সোফায় বসে পড়লো সুদর্শন। বাইরে রোদ। গাড়ি ঘোড়ার ছোটাছুটির শব্দ। লোকজনের কথাবার্তা। ফেরিওয়ালার ডাক।তার মাঝে সুরদশনের বুকে নিঃশব্দে একটা শূন্যতা হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে তার পা৺জরের মাঝখানে ঝুলে থাকলো।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।