• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে দেবদাস কুন্ডু (পর্ব – ২৯)

লড়াইয়ের মিছিল

পর্ব – ২৯

অনেকক্ষণ থম দিয়ে বসে থাকল সুদর্শন পাল। এবার সে কি করবে?দীঘা ছুটতে হবে তাকে?।তার নম্বর পেয়েছে পুলিশ রতনের ব্যাগে।দীঘা থানা থেকে ফোন আসে সুদর্শন সালের কাছে।
পুলিশ বলেছিল-স্যার আইডেন্টিফিকেশন করতে হবে তো।আপনি ওর বাড়ির লোককে খবর দিন।
রতন কখন মারা গেছে?
সাড়ে তিনটে হবে।
ছেলেটা কেন মারা গেল?
সম্ভবত মদ্যপান করে সমুদ্র স্নানে নেমেছিল।আজ জোয়ার ছিল।নিষেধ ছিল সমুদ্র চানে। ছেলেটা শোনেনি।
আচ্ছা।
আর একটা খবর আছে স্যার।
কি খবর?
ছেলেটার সংগে একটি মেয়ে ছিল।
মেয়ে?
হ্যাঁ স্যার। মেয়ে।মেয়েটি বেঁচে গেছে।
মেয়েটির কি নাম?
লতিকা।
সে কি বলছে?
বলছে রতন ওর বন্ধু।
বন্ধু?
চাপাচাপি করতে মেয়ে টি বলেছে সে টাকার জন্যে এখানে এসেছে।
তার মানে লাইনের মেয়ে?
সি ইজ পসটিটিউড।
বুঝেছি।
ফোন কেটে দিয়ে সে ভাবতে থাকল,মাস গেলে মোটা টাকা কমিশন পেত রতন।কাঁচা টাকা।বয়স অল্প।যৌনতার চাহিদা থাকবেই।তাবলে মেয়ে নিয়ে দীঘায় ফূর্তি করতে চলে যাবে?।মদ খেয়ে সমুদ্রে নামা। সত্যি এই বয়স তো তার ছিল।সে তো এসবের মধ্যে যায়নি।যৌন রিপু তো বিপদগামী করবেই।তাকে সংযম করতে হবে।ক জনে তা পারে?।এও তো যৌন রিপুর বিরুদ্ধে লড়াই।এই লড়াই নিজের সংগে নিজেকে লড়তে হয়।রতন সেটা পারে নি।রতন কেন? আচ্ছা আচ্ছা মানুষ পারে না।নারী শরীরের ওপর বেশির ভাগ মানুষের লোভ।এই লোভের আগুনে কতো সংসার পুড়ল।
এখন রতনের বৌটার কি হবে?কি করে ওর বৌকে এ খবর দেওয়া যায়?বৌটাকে কে নিয়ে যাবে এখন দীঘা?
সুদর্শন পাল ফোন করল সমীরকে।রতনের বন্ধু।সব শুনে সমীর বলে-কি বলছেন স্যার?রতন নেই?।
না নেই।দীঘা হাসপাতালে পড়ে আছে ওর বডি। তুমি ওর বৌকে নিয়ে দীঘা চলে আসতে পারবে না?
আমি? আমি কি করে ওর বৌকে এখবরটা দেই বলুন তো?
ওর বৌকে বলবে এ্যাকসিডেনট হয়েছে।
সেটা বলা যেতে পারে।
টাকা পয়সা লাগলে আমার কাছ থেকে নিয়ে যেতে পারো।
ওর বৌ কি জানে রতন দীঘা গেছিল?
তা আমি বলতে পারবো না।তুমি দূপুরের গাড়িতে চলে যাও।
ঠিক আছে স্যার।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।