|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় দেবদাস কুন্ডু
by
·
Published
· Updated
শিফট
আজ সেকেন্ড এপ্রিল। তিতাসের জন্ম দিন।আমি দিলাম নুতুন জামাকাপড় আর মিষ্টি। তিতাস প্যাকেট নিয়ে পাশে রেখে দিল।খুলে দেখল না।
তিতাস তিনবছরের ছেলেকে লেখাছে এক দুই তিন।মিশন স্কুলে নার্সারিতে ভর্তি করবে ছেলেকে। মিশন স্কুলে ইংরেজিটা ভালো শেখায়।ঘরে তো নিজে সারাদিন পড়াছে।
এডমিশন টেষ্ট এর জন্য ভালো কোচিং কোথায় দেয় তার খোঁজ খবর নিচ্ছে এর তার কাছে।
ছেলে আশি লিখে বসে আছে।তিতাস বলল- একাশি লেখ।ছেলে লিখছে না।একটা কড়া ধমক দিল-সেই বারোটায় বসেছি ।দুটো বাজছে তুই একশো লিখে উঠতে পারলি না ।তুই কি করে ভর্তি হবি রে?
জামাই কারখানা থেকে ফিরলো সাড়ে তিনটে। সোফায় শুয়ে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ল।আমি বললাম-জয় কখন খাবে?
তিতাস বলল-ও ঠিক উঠে খেয়ে নেবে। তিতাস ছেলের খাতা নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে।
তিনবছর আগে তখনো ছেলে হয়নি একদিন পাঁচটায় এসে শুনি তিতাস খায়নি তখনো।কেন?জয় এখনো কারখানা থেকে আসেনি।খায় কি রে?
আমি যখন এইসব ভাবছি তিতাস বলল-বাবা ছেলে মিশন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে তো?