সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে দেবদাস কুন্ডু (পর্ব – ২৩)

লড়াইয়ের মিছিল

পর্ব – ২৩

তা ভালো করেছিস।চল আমার সংগে লাঞ্চ করবি।কাছেই আমার বাড়ি। গাড়িতে দশ মিনিট।
তোর বাড়ি যাবো তোর বউ আবার কি ভাববে।বলবে এই বুড়িকে আবার কোথা থেকে ধরে আনলে?
আমার বউ তেমন মেয়ে নয়।আর তুইও বুড়ি হোসনি।ও সাহিত্য ভালো বাসে।শোবার আগে ব ই পড়ে। পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ে।ওর কাছে ঘুমের ওষুধ ব ই।
তাই বুঝি?
ও যখন তোর পরিচয় পাবে তুই লেখক তখন দেখবি কতো খাতির করছে।
আচ্ছা তুই লেখক শব্দটা ব্যবহার করলি কেন?
লেখিকা হবে?
লোকে তাই বলে
আমি মনে করি লেখকদের কোন জেন্ডার হয় না
ঠিক বলেছিস।
তাহলে চল।
আজ না! আজ একটা কাজ আছে।
কোথায়?
কলেজ স্ট্রিট।
কেন?
এক প্রকাশকের কাছে যাবো।দেখি ব ই করে কিনা। আজকাল তো অনেক প্রকাশক টাকা নিয়ে ব ই ছাপে।তেমন হলে আমি নেই।
ঠিক আছে। লাঞ্চের পর আমি ডালৌসি যাবো।তোকে কলেজ স্ট্রিট নামিয়ে দেবো।
না না। আজ দেরি হয়ে গেছে।অন্য দিন তোর বাড়ি যাবো। কিছু মনে করিস না।
না।আজ চল। আবার কবে আসবি?
তোর কাছে আসতে হবে।
কেন?
বিজ্ঞাপনের জন্য।
বিজ্ঞাপন!কেন?
আমি একটা কাগজ বের করছি।
ওটার জন্য তোকে মিস্টার সিনহার সংগে কথা বলতে হবে।এখন উনি নর্থ বেঙ্গল গেছে।আগামী সপ্তাহে আয়।হয়ে যাবে।
চন্দ্রা ব্যাগ থেকে একটা ব ই বের করে নাম লিখলো। সুদর্শনকে দিল।বলল, ব উকে দিস।পারলে তুইও পড়িস।
ব ইযের নাম করোনার দিনগুলি।দারুন পছন্দ।বলল,কে এঁকেছেন?
আমি।
তুই!
অবাক হচছিস?
তুই আবার কবে থেকে আঁকা ধরলি?
ইয়াং বয়স থেকে।
তাই?
আর্ট কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে ছিলাম।বয়স বেশি ছিল হলো না।তখন ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজে এক বছরের একটা কোর্স করলাম।
এতো লড়াই করলি কবে?
এই এক জীবনে।তুই বা কম কিসের?
কি রকম?
মেশামশাই বের করে দেবার পর আজ যে জায়গায় পৌঁছে দিস,তার পিছনে বেশ বড় একটা লড়াই আছে।
তা আছে।
আসলে কি বলতো এই পূথিবীটা একটা রেসকোর্স।আমরা রেসকোর্সের ঘোড়া।ছুটছি।এই ছোটা তো আসলে লড়াই। তাই না?কি বলিস তুই?
ঠিক, একদম ঠিক। তুই দাঁড়িয়ে পড়লে মৃত্যু।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।