সাপ্তাহিক ধারাবাহিক কথা সাগরে গৌর হরি মান্না (ভ্রমণ কাহিনী)
সাতকোশিয়ার সাতকাহন (তৃতীয় পর্ব)
পূর্ণিমার চাঁদ যেন তার রূপের ছটা নিয়ে ভেসে রয়েছে ওই অসীম আকাশের মাঝে। মোহময়ী জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে সাতকোশিয়ার হৃদয়।আর আমি প্রকৃতির এই রূপে হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছি অরণ্য নিবাসের বাগানে। ওই দূরে চোখ চলে যেতে দেখি জ্যোৎস্নার আলোয় মাখামাখি হয়ে আপন মনে কুল কুল করে বয়ে চলেছে শান্ত মহানদী। দূর থেকে ভেসে আসছে বন্য জন্তুর তীক্ষ্ম স্বর, হরিণ দের আর্তনাদ, হাতিদের হুঙ্কার আর নাম না জানা পাখির তীব্র ডাক। রাত নামার পড়েই বন বাংলোর চারিদিকের পরিবেশটা এতটাই মোহময় হয়ে উঠেছে যে মন যেন বড়ো উতলা হয়ে উঠছে। সান্ধ্য কালিন আহার সেরে বেড়িয়ে পড়লাম নাইট সাফারির উদ্দেশ্যে। এখানে বলে রাখা দরকার এই অরণ্যে রাতে সাফারি করার ব্যবস্থা আছে, শুধু পারমিশন টুকু কটেজ থেকে আপনাকে করে নিতে হবে। রাতের সাফারির রোমাঞ্চ আছে পরতে পরতে। সব সময় মনে হবে এই বুঝি কি হয় কি হয়। রাতের সাফারির রোমাঞ্চ আছে ঠিক কথা কিন্তু জন্ত জানোয়ার সেরকম চোখে পড়লোনা। বেশ কিছু হরিণ কয়েকটা খরগোশ ও কিছু সম্বরের দেখা পাওয়া গেলো। তবে রাতের সাফারিতে হাতিদের হুঙ্কার মনের মাঝে একটা আলাদা রোমাঞ্চ সৃষ্টি করছিলো। চাঁদনি রাত,মোহময় অরণ্য আর তার মাঝে জ্যোৎস্নার আলো মেখে তাবুতে রাত যাপন এ যেন এক অন্য অনুভূতি।