দিব্যি কাব্যিতে গৌতম তালুকদার

১| সারা রাত বৃষ্টি

কিছু ক্ষন আগেই বৃষ্টি হয়ে গেলো
আর তুমি ভেজালে আঁচল;
আমি সরা রাত জেগে বৃষ্টির গান আর
মেঘের ডাকা ডাকি শুনছিলাম।
কাক ভোরে মেঘেরা ডানা মেলে
উড়ে এসে যেই বসলো কদম ডালে
অমনি কদম ফুলের মিহি পাঁপড়ি গুলো
সাদা আর হলুদ আভারণ ছড়িয়ে
বিছিয়ে দিলো মখ্মলের চাদর।
তখন কদম পাতার শিরদাঁড়া বেয়ে বৃষ্টির ধারা তোমার চুলের গোড়া
বেয়ে আগায় নেমে তোমার কোমর স্পর্শ করলো
অমনি তুমি লজ্বাবতি পাতার মতোই
বুজিয়ে দিলে তোমার দু’চোখের পাতা।
আর আমি কৃষ্ণচুঁড়া মাথায় পরে
দাঁড়ালাম তোমার বাহু স্পর্শ করে;
বললাম-
চোখ খোল রাধা রানী
দেখ প্রভাতী গান গাইছে আলোর পাখিরা
রামধনু ভেজা আকাশে।

২| দীর্ঘ চেনার মাঝে

ওয়েটার কে বলি জল দাও ঐ টেবিলে
এত কি ভাবছে ,ওরা দু’টিতে,
গালে হাত কেনো ?
যত বার দেখেছি-
বোঝাতে চেয়েছি
চিতল হরিণী;
দামামা বাজিয়ে-
কাঁপিয়েছে প্রেমিক পুরুষ।
আজ কেনো একটির চোখের পাতায় ক্লান্তি অন্যটির তমসার চিবুক লাবণ্য।
বাক্য হীন ভাষা হীন
যদিও বন্ধু আমি নই,
বন্ধু হতে ক্ষতি কি ?
দীর্ঘ চেনার মাঝে অজানাকে জানার মনন।
অন্তর একাই জানে জানুক;
উপযাচক হওয়া দৃষ্টি কটু নয় কী?
একা একা বসে টেবিলে
ওরা কি কখনো ভেবেছে
ভাবে…!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।