সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে ইন্দ্রাণী ঘোষ (পর্ব – ১৫)

আরশি কথা

একলা যাপন মন্দ কাটে না ঝোরার বরং ভালোই কাটে . বরং শুধু ধূ ধু দুপুরে যখন সাদা চোখো টুনটুনি, কাঠ ঠোকরা, ছাতারেরা, বুলবুলিরা ডাকপাখীরা মাটির পাত্রে রাখা জলে জল খেতে আসে. বাড়ীর মানুষগুলোর কথা মনে পড়ে. এই সময়টাতে মুঠোফোন খুলে ফোনগুলো সেরে নেয় ঝোরা. বাকি সময় আয়নার ভিতরের সাম্রাজ্যে উঁকি ঝুঁকি দিয়েই বয়ে যায় সময়ের সমুদ্র. সময়ের ঢেউ উথাল পাথাল আছড়ে পড়ে আয়নার সৈকতে. আয়নাটাই হয়ে ওঠে মহাসাগর. সময়ের ঢেউয়ে ফুটে ওঠে নক্সা. কিছু বা গল্পবোনা নক্সীকাথার আলাপন.
সেদিন আয়নার ভিতরের সমুদ্রে নামতে থাকে কচ্ছপ কুমুদরঞ্জন পিঠে ঝোরাকে আর স্বচ্ছতোয়াকে নিয়ে. নামতে নামতে প্রথমেই ধাক্কা খায় একটা বিশাল কালো পাহাড়ের সাথে. ওরে বাবা পাহাড়ের চূড়ায় একটা রামধনু যে. এটাই সেদিন দুপুরে স্বপ্নে দেখেছিল ঝোরা. কুমুদরঞ্জন ওই রামধনুকে লক্ষ্য করে উঠতে থাকে. তাঁর হুশ নেই কোনদিকে. ঝোরা কেমন টাল সামলাতে পারে না,প্রাণপণ আকড়ে ধরে কচ্ছপের খোলস. কুমুদরঞ্জন গলা ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে স্বছতোয়া. বাতাসের অভাববোধ করে ঝোরা. প্রাণপণে নি:স্বাস নিতে চেষ্টা করে ঝোরা. হঠাৎ কারা যেন স্বচ্ছতোয়াকে আর ঝোরাকে ওই কচ্ছপটার পিঠ থেকে নামিয়ে নিয়ে প্রাণপনে সাঁতার কাটতে থাকে উল্টোদিকে.

চলবে

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।