সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে ইন্দ্রাণী ঘোষ (পর্ব – ১১)

আরশি কথা

রাত্রে ভালো ঘুম হয়েছিল ঝোরার. ঘুমটা ভাঙল ঠিক ব্রাহ্ম মূহুর্তে. রাতচরা পাখীটা ‘পিউ কাহা, পিউ কাহা’ ডাকতে ডাকতে উড়ে গেল. উঠে পড়ে ঝোরা এমন মূহুর্ত নষ্ট করবার কোন মানেই হয় না. পর্দা সরিয়ে দেয় ঝোরা.
ঘুমপাড়ানি মাসি, পিসি এ দেশ থেকে বিদায় নিয়ে এবার অন্য দেশে যাবেন. এ দেশে যখন রাত, ও দেশে তখন দিন. কেমন মজার ব্যাপার. আকাশে তখনো ছেড়া, ছেড়া মেঘ. গোলাপী আভায় সাদা পিরিচের মত চাঁদটা আবার দেখা যাচ্ছে. রূপো রঙ উঠে যাচ্ছে আস্তে আস্তে. সূর্য্যদয় হতে এল. দিনমণির সামনে শশধর চিরকাল ম্লান ও স্তিমিত. বিছানা গুছিয়ে চোখেমুখে জল দিয়ে ছাদে উঠে যায় ঝোরা. আশেপাশের বাড়ীগুলো অন্ধকারের প্রলেপ মেখে তখনো নিথর. ঠান্ডা হাওয়ার ঝাপটা আসে. আকাশটাকে এসময় বড় নিজের করে পায় ঝোরা. অনেক গল্প জমে আছে আকাশের সাথে. কথাই বলতে হয় না ঝোরাকে, আকাশ সব কথা বুঝে নিতে পারে. শুধু তাঁর দিকে মুখ তুলে চাইলেই হয়. ফিক করে যেন হাসে আকাশ. ঝোরা কপট রাগ দেখিয়ে বলে ‘কি ব্যাপার হাসি পাচ্ছে কেন?’. ‘হাসি পাবে না, মুখেচোখে তো ঘুম লেগে আছে, মামণি এসেছেন শোভা দেখতে.’ ঘুম পুরো না ভাঙাই ভালো, বেশ বোঝা যায় না, স্বপ্নের কোথায় শেষ আর সত্যি কোথায় শুরু. ‘

ফিচেল হাসি হাসে আকাশ

(চলবে)

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।