• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় ইন্দ্রাণী সমাদ্দার

হাত

সকাল নটা। এস্কেলেটারে পা দিয়ে সর্বানী ভাবে, বড্ড দেরী হয়ে গেল। আজ স্কুলে আগে যাবে ভেবেছিল। রোজ বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে। মেট্রোর আওয়াজে ভাবনা দূরে সরে গিয়ে স্নায়ু সজাগ হয়। আশপাশের লোকজনকে কাটিয়ে এস্কেলেটার থেকে ছুটতে ছুটতে কখন যে মেট্রোর লেডিস সিটে এসে বসেছে সে নিজেও জানে না।
সর্বানী প্রচণ্ড হাঁপাচ্ছে। শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। কপালে বিন্দু বিন্ধু ঘাম। মাথার ভেতরটা অবশ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে সিট থেকে পড়ে যাবে। আজকাল মাঝরাতে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এতদিন এই নিয়ে ভাবেনি সে, কিন্তু আজ চিন্তায় পড়েছে। কেন এরকম হচ্ছে!
আজকাল বড্ড একা লাগে। একটা মানসিক অবলম্বনের জন্য মন হাঁকপাক করে। ব্যস্ততার মধ্যেও ‘মনের মানুষের’ বড্ড অভাববোধ হয়। অফিসিয়ালি ‘মনের মানুষ’ বলতে যদি স্বামীকে বোঝানো হয় তবে সেটি তাঁর আছে। সে তাঁর বরের কাছে জেনেছিল, বাড়ির লোক চেয়েছিল বলে সে নাকি সর্বানীকে বিয়ে করে। তাঁর বর এ বিয়েতে আগ্রহী ছিল না বলে তাদের সন্তান আসেনি। আজকাল একটা নির্ভরশীল হাতের তাঁর বড্ড দরকার।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।