• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে জয়িতা ভট্টাচার্য (পর্ব – ১৪)

অন্তর্ধান

প্রত্যাশিত ফোন আসে।
__ ওদিকের খবর কী ম্যাডাম দেবলীনা
“স্যার, মোহিনীমোহন তো যথেষ্ট জটিল উর্ণনাভ।কলকাতা ও জেলা বাবদ দশটির মধ্যে ছ টি কম্পানি ফেক।প্রতি বছর লস দেখাচ্ছে কয়েক কোটি। যদিও সি বি আই পাঁচটি মামলা কেস করেছে।”
–আচ্ছা দেবলীনা তুমি কী “নাভ” বললে?
এইরে প্রথম শব্দেই আটকে গেছেন ভদ্রলোক।
— উর্ণনাভ স্যর।মাকড়সার জালের মত জাল বিছিয়েছে সে, মেয়ে পাচার থেকে
ড্রাগ পেডলিং …”
–‘হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক আছে ।ফাইল পাঠিয়েছ দেখে নিচ্ছি।
“স্যর খবর আছে আসাদুল আর অভিজিৎ দুজনেই কলকাতায় রয়েছে।প্রাইম সাসপেক্ট।”
— তুমি সিওর
হ্যাঁ স্যর ইনফর্মার পুরোনো ও পাকা লোক।
—আচ্ছা ঠিক আছে দেখছি।
“স্যর কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যুগ্মভাবে কাজটা করতে হবে। ইমিডিয়েট ওদের গ্রেফতার করা প্রয়োজন না হলে অন্য স্টেট এ চম্পট দিলে কঠিন হবে ধরা।”
–” দেবলীনা ”
“স্যর”
— সামনে নির্বাচন তুমি জানো।
এখন আসাদুল আর নেকবর কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া যাবে না।
ফ্র্যাঙ্কলি, রাখলেও ছেড়ে দিতে হবে নিজের থুথু নিজে গিলে।
— হুমম
তুমি এক কাজ করো কাল ভবানিভবন চলে এসো রজতকে নিয়ে।
“ওকে স্যর। এদিকে আমরা কেসটা প্রায় গুটিয়ে এনেছি।
তাছাড়া মিডিয়া পেছনে পড়ে আছে খ্যাপা ষাঁড়ের মত।”
__ মিডিয়া বুঝে নেব চিন্তা কোরো না।
কেসটা লোয়ার কোর্টে ঝুলে থাক।হিয়ারিং চলুক।
বাকি কথা কাল হবে।
ফোন স্তব্ধ। চুপ করে বসে থাকে দেবলীনা।
— রজত ফোর্স রেডি করো।
রজত বিস্ময় গেলে। ওকে স্যর।
যেটা মহোদয় কে বলিনি আসাদুল দুপুরে এসে পৌঁছেছে ছোটো নবাবগঞ্জ। সঙ্গে মালকড়ি আছে। বর্ডার এপ্রোচ করবে রাত একটার দিকে ।
তুমি? মানে আপনি?
মৃদু হাসে দেবলীনা। আমি থাকব কোথাও।
“কিন্তু …”
—-কিন্তু কিসের রজত।অফিসিয়াল রেকর্ডে নেকবরের জামিন পায়নি।অথচ সে মুক্ত। আসাদুল ফেরার কিন্তু সাধারন মানুষ থেকে পঞ্চায়েত দেখছে সে দিনাজপুর কখনো কলকাতা অথবা কাঁটাতারের এপারে ব্যবসা করছে বহাল তবিয়তে।
— বুঝেছি। কিন্তু লীনা তোমার জন্য চিন্তা হচ্ছে যে। বড়লাটের টিকিতে টান পড়বে আর তোমার …
—চলো রজত চটপট ডিনার করে
নাও।

ক্রমশ…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।