• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে জয়িতা ভট্টাচার্য (পর্ব – ৯)

অন্তর্ধান

নুন মরিচ মাথা ভর্তি চুলে হাত ঢুকিয়ে বসে দীর্ঘদেহী আনোয়ার। কালীগঞ্জ থেকে এসেছে। আনোয়ার খুন করতে ভালোবাসে। কিন্তু এখন দেখে মনে হচ্ছে কবি। চোখ উদাস।গভীর চিন্তা মগ্ন ,মুখের ভাঁজে ঠোঁটে অদ্ভুত মায়া এসেছ।
দেবলীনা মুহূর্তে অন্যমনস্ক হয়।ভদ্রলোকেরা বলে সাঁওতাল রমণীদের কাম বেশি। হয়ত রক্তের, নাহলে নিজস্ব পালিত নেশা দেবলীনা,___ পুরুষ নেশা।
কালীগঞ্জ থেকে আনোয়ার টানা এসেছে তার বুলেটে। আপাতত দেবলীনার যোগ্য রাঁধুনি তাকে রুটি মাংস মিষ্টি, চা সব দিয়ে তুষ্ট করেছে।
আনোয়ার কথা কম বলে।রজত সিগারেট ধরায়। সৌজন্য করে,
___” আনোয়ার কেমন আছ ।অনেকদিন পর দেখা হলো। ফতিমা আর ছেলেপুলে ভালো আছে ত।
দেবলীনা আর কালক্ষেপ করে না।
__কুশীগঞ্জ, কালীগঞ্জ এর আপাতত কেনা বেচা কেমন চলছে।
— এদের হাতে স্যর অনেক টাকা। বর্ডার থেকে রোজ লোক আসছে। ঝাড়খণ্ড, বিহার … লোকের ইমান খরিদ করছে। পার্টি অফিসেও লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে।
—বলোকি। এখনো তো বছরখানেক দেরি নির্বাচনের।
এখানে অনেক ঘেঁটে আছে স্যর। দু তিনটে দল নয় আরো কাজ করছে লুকিয়ে কিছু সাম্প্রদায়িক দল।ওরা কিনে নিচ্ছে সব দুষ্কৃতী।
পার্টি তেমন মোকাবিলা করতে পারছে না।
—” আমার জন্য কী খবর।”দেবলীনা অধৈর্য।
_ স্যর নেকবার, অভিজিৎ এরা এখন ওই গুপ্ত দলগুলোর হয়ে কাজ করছে ।কুশীগঞ্জ থানায় কোনো রেকর্ড হয়নি।ইতিমধ্যে দুটো খোলাখুলি রায়ট হয়ে গেছে।
__ শাসক দল কী করছে,রজত প্রশ্ন করে।
–ওখানে লাফরা আছে।সকলেই টিকিট পায়নি পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছিল অনেকেই।কুশীগঞ্জ এর রুলিং পার্টির অনিল নস্কর আর বিরোধী দলের জাফর ,ইকবাল এখন রাতে বন্ধু অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়।
— মোহিনীমোহনের শশুরবাড়ি র লোক কোন পার্টি।
-“স্যর ওটাই তো গণ্ডগোল। আপনি এই নবাবগঞ্জেও পাবেন ক্ষুদ্র অনেক রাজনৈতিক দল। দারভাঙা যাদের কাজ। চোরাচালানের ছক ,টাকা,ব্ল্যাকমেল … সাদা চোখে দুটি তিনটি দল কিন্তু কাজ করছে এইসব নিষিদ্ধ ক্ষুদ্র দল। অভিজিৎ, নেকবার এদের হাতে টাকা। ”
দল ভাঙার খেলা শুরু হবে তার প্রস্তুতি চলছে। আবার শুরু রাত বিরেতে ঘর থেকে বার করে নিয়ে গিয়ে লাশ করে দেওয়া।
দেবলীনার চোয়াল শক্ত। একবার মোহনগঞ্জের জয়ন্তকে ফোন করাহপ্রয়োজন। সার্কেল ইন্সপেক্টর। মোহিনী শালা র সঙ্গে অভিজিতের ঝামেলাটার উৎস কি নারী?
কালিয়াচক থানার দ্বায়িত্ব পেয়ে আজিজ উত্তেজিত হয়েছিল।কারন অনেক।কার আসাদুল্লা বিশ্বাস

ক্রমশ

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।