T3 শেষের কবিতায় যুথিকা সাহা

একলা থাকার মানচিত্র

হেমন্তের শেষ বিকেলের সূর্যাস্তের আলো এসে পড়েছে দক্ষিণ বারান্দার ওই মাধবী গাছে …
উত্তরে হাওয়ার শিরশিরানি শরীরে ছোঁয়া দিয়ে যায় —মন যেন ভাবনার ভুলে আনমনে কোথা যায় চলে!
মন-সাগরে ডুব দিয়েছি তোমায় ভেবে ভেবে ,মনে হল তোমার হাতখানি রেখেছো আমারই হাতের পরে ।
মাধবীলতাও সলাজে হেসে মুখ লুকায় —সুখের ঘরে দীপ জ্বেলে ডালা সাজাই ,বরণমালা গাঁথি মনে মনে।
ঘরছাড়া মন আজ পেল বুঝি ঘর সাঁঝ -আকাশে তারাদের কোলে!
সুরের মালা বদল হবে তোমারই সনে ,মোহনায় নদী নিজেকে যেমন করে সমর্পন।
হঠাৎ যেন চমকে উঠি হৃদ-গগনে ব্যথার সুরের রোদন ওঠে দুলে‌!
চোখের জলেই ভিজলো আমার একলা মনের আকাশ —রাতশেষে কান্না দিয়েই এখন হারানো স্বপন ধুই।
তবুও মন বলেই চলে আজো ,”ভালোবাসি “…!—শূন্য মনের বৃথা চাওয়া সাঙ্গ হল নিশি যামের মাঝে।
বিদায় বেলায় এখন দেখি রাতের তারা সবই আছে, দিনের আলো গভীর—-উদাসীন পৃথিবীর বুকে সবার পিছে,সবার নীচে ,সব-হারাদের মাঝে একলা আমিই পড়ে আছি ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।