কবিতার দিকে আঙুল তুলছে কেউ
যার ছেলেটা লাশ হয়ে পড়ে আছে রথতলার খালে
কবিতার দিকে আঙুল তুলছে সে-
আঙুল ছুঁয়ে নাগাড়ে ঝরছে বৃষ্টি
ভিজে যেতে যেতে শাহবাগের ফ্ল্যাগমার্চ থেকে
কবিতার দিকে আঙুল তুলছে সকলে…
সন্ধ্যায় এসে দেখি অনাহারে মৃত যারা
তারা সকলের আঙুলহীন-
তারা কখনও অভিযোগ তোলেনি মালিকের চোখে
তারা নিভে যাবার আগের মুহূর্তে
বাড়াতেও চায়নি হ্যারিকেনের আলো-
ঠিক রাত্রে এসে আমি বুঝলাম
আসলে আঙুল আর কবিতার কোনও জন্মমুহূর্ত নেই…
রাস্তা
প্রতিটা অন্ধকার গলির একটা গন্তব্য থাকে
সেটা বুকে তুলে রাখা যায় সমস্ত বিপ্লবের সন্ধানে-
আলো জ্বালবার চিরকালই একটা ধরাবাঁধা নিয়ম ছিল
সেটা শরীরে গড়িয়ে পড়া নিয়নের দিকে হোক
অথবা জনশূন্য হ্যামলিনের বসন্তের বাগানে…
বাঁশির শব্দে ছুটে আসতো শরীরহীন অজস্র মানুষ
যারা নিয়মের মধ্যে থেকে চোখে দেয় নি সম্পর্কের ঠুলি
শেষ পর্যন্ত আমিও দিশাহীন
আমি অন্ধকার ঘরে আলো জ্বালবার আগে ঘুরে দেখি আয়নার কাচে-
যতবারই নাইট ল্যাম্পের আলোয় নিজেকে সাহসী মনে হয়
ততবারই মিশেলের জন্য তৈরি হয়ে যায় অনাড়ম্বর ঝুলন্ত উদ্যান।
বুকের মধ্যিখান দিয়ে আমিও হেঁটে পেরিয়ে গেছি উদ্যানের সমস্ত অন্ধকার কোণ
কথা দিচ্ছি
প্রতিবার বাঁশির সুরের সাথে সাথে
আমি খুঁজে দেখব না হারিয়ে ফেলা সেই নির্ভরতার রাস্তাটুকু।