সাপ্তাহিক গল্প নেই-তে কল্যাণ গঙ্গোপাধ্যায় – ২৪

গল্প নেই – ২৪

এখন এক বহুবর্ণ বিচিত্র রং বদলানো রোগের খপ্পরে পড়েছে গোটা পৃথিবীর মানুষ। এর ভয়াল হাত থেকে যে, কবে কিভাবে রেহাই মিলবে তা কারও জানা নেই। সঠিক হিসেব বা দিশা দিতে পারছেন না বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা। তবুও মন্দের ভালো আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমার দেশ ভারত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করতে পেরেছে টিকার বিষয়টি। এতে সম্পূর্ণ না হলেও খানিকটা যে রেহাই পাওয়া যাবে, একথা ভেবে কিছুটা নিশ্চিন্ত হতে পেরেছিল মানুষেরা।
বহুবছর ধরে যে রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে বাস করি যেখানে কেন্দ্র-রাজ্য মিলে একটা তরজা গানের আসর বসেই আছে। এই আসরের ম্যারাপ কবে খোলা হবে কেউ বলতে পারবে না। বিষয়টি এই, যে যার নিজের মতো করে নিজের কোলে ঝোল টানতে চায়। ফলে উচ্চনাদে সেই তরজার বোলবোলাও শুনে শুনে আমাদের দু’টি কান আর অক্ষত নেই।
আমাদের কানের ভিতরে মৌমাছির গুনগুন শব্দের গানের কলি বহুবছর ধরে বেজেই চলেছে, কেন্দ্র দিচ্ছে না, আর কেন্দ্র দিচ্ছে না।
সমস্যাটা হচ্ছে যেই আমাদের যা কিছুই দিক না কেন এখানে আমাদের রাজ্যে এসে তার লেভেল বদলে যায়। তারপরে শুরু হয় যুক্তি করে চুক্তি মতো পিঠে ভাগ। একবার এই টুকরো সে কামড়ে খায়, আর ওইটি অন্যজনে। এইভাবে মানুষের কাছে শেষ অবধি যেটা হাজির হয় তা হল ফক্কা।
এই ফক্কা খেলার খেলা দেখতে হচ্ছে টিকা নিয়েও। একজন বলছে দিচ্ছি তো। অন্যজন বলছে পাচ্ছি না যে। এদিকে পাওয়া আর না পাওয়ার প্রকৃত হিসেব নিয়ে বসতে একেবারেই রাজি নয়। তা যদি হত আমাদের কাছে সবটা পরিস্কার হয়ে যেত। কতটা দুধ আর কতটা জল। আমাদের মাথাটাও সাফ থাকত।
না পাওয়ার মধ্য দিয়েও টিভি খুললেই দেখি তাদের হেনস্থা যারা আগের দিন রাতে গিয়ে লাইন দিয়েছিল ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। তাদের আচমকা শুনতে হচ্ছে,আজ আর পাওয়া যাবে না। অর্থাৎ এরপরে আবার আরেকটি যন্ত্রণার দিন। আবার লাইনে দাঁড়াও, তারপর ঠেলা ঠেলি,ধাক্কা ধাক্কি। এইভাবে টিকা না পাওয়া যাক করোনা কিন্তু পাওয়া যাবে একদম ফ্রিতে।
তাহলে কেউ তো পাচ্ছে। সেই টিকা আসছে কোথা থেকে? হয় কেউ দিয়েছে নয়ত কিনতে হয়েছে। এখনও তো মনে আছে সেই প্রতিশ্রুতি, যা বন্যার মতো ধেয়ে এসে মানুষকে নিশ্চিন্ত করেছিল। তবে? সবাই কেন পাবে না?
খবরের কাগজে দেখছি টিকার কুপন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে বেশি দামে। হয়ত মিথ্যা রটনা। অথচ সবারই প্রতিশ্রুতি ছিল বিনা পয়সায় সবাইকে টিকা দেওয়ার। তাহলে নিশ্চিন্ত বন্দোবস্ত নেই কেন? কাকে প্রশ্ন করলে এর প্রকৃত উত্তর মিলবে? সঠিক উত্তরের বদলে চাই না প্রতি সন্ধ্যায় টিভিতে বসে যে কোনো বিষয় নিয়ে সবাই মিলে একসঙ্গে গলা ফাটানো। এক এক করে বললে আমাদের সুবিধা হয়। কে আপনাদের বলে দিয়েছে যারা টিভি দেখছে সবাই বোকা । কিছু বোঝে না! কেন সবকিছু গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে?
যখন প্রথম টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল তা নেওয়ার সময় অনেকের মনে হয়েছিল এতে শরীরে কোন অন্য প্রতিক্রিয়া হবে না তো!
এখন তো মহান টিকাকাণ্ডে এমন অবস্থা হল টিকা নেওয়ার সময় সেটা যেখান থেকেই নেওয়া হোক না কেন মনে হবে শরীরে যা ঢুকছে তা ঠিক আছে তো? না মানুষকে টিকা দিচ্ছি এমন বাহাদুরি বজায় রাখবার জন্য লোক ঠিক করে যা খুশি একটা শরীরে ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হবে, ‘যা ভাগ। তোদের জীবন ধন্য হয়ে গেল।’
আমাদের হাতে যা কিছুই আসুক তা ত্রাণের ত্রিপল, চাল থেকে শুরু করে ফসল বাঁচাবার জন্য মাজরা পোকা মারার বিষ এলেও আমরা তা নিয়ে ভেলকি দেখাতে ওস্তাদ। আমাদের যে কী ক্ষমতা! তা দেখবার ও দেখাবার মতো।
এইসব নিয়ে মামলা হবে। কাগজপত্র লোপাট হবে। বিচারের সময় কিছু খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোনো আধিকারিককে ধরলে বা তলব করলে তার সমর্থনে ধর্ণায় বসা হবে। এ ওকে বলবে, চোর। সে বলবে, না আমি চোর না। তুই চোর তোর বাবা চোর।
এদিকে মানুষের ঘর যে ভেসে যায়। পেটে খাবার ও জল থাকে না। ওদিকে মাথার উপরে রোদ ও বৃষ্টির যন্ত্রণা।
তা না হলে শ’য়ে শ’য়ে মানুষ টিকা নিয়ে যখন করোনাকে বলেছে, ‘দ্যাখ কেমন লাগে’ তখন খবরে প্রকাশ, যে টিকা তারা নিয়েছে সব ভুয়ো। সবাই প্রতারিত হয়েছে। নানাভাবে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। এতে হতবাক হলেও, এখন আর খুব একটা আশ্চর্য হয় না অনেকে।
বহুদিন আগে একজন মহান নেতা বলেছিলেন, সব অসাধু ব্যবসায়ীকে ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানো হবে। তা আর হয়ে ওঠেনি।
ফলে সবার মনে হয়েছে এদেশে ও বিভিন্ন রাজ্যে এসব কথা শুধু বলা হয়, কিছু করা হয় না। কাজেই লে হালুয়া।
তা না হলে কোনো নেতা তার সাগরেদদের ভোটের আগে বলতে পারে, এখন ছ’মাস খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। ভোটে জিততে পারলে তখন আবার যত খুশি খাও। সে কথা ভাবলে গর্বে আমাদের বুক ফুলে ওঠে। ভাবতে ভালো লাগে, দেখেছ কেমন উচ্চবংশ!
প্রতারকের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে সমাজের সব ঘ্যামা ঘ্যামা লোকজনদের। যাদের সঙ্গে দেখে আমাদের মতো হা-ঘরে লোকজনেরা অবাক বনে যাই।
আজ অবধি কোনো অসাধু লোককে ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানো হয়নি বলেই আমরা শুধু শুনি কয়লা, মাটি,বালি চুরির কথা। সোনা লুটের কথা শুনে গাইতে ইচ্ছে হয়, ও মেরে সোনা রে-সোনা রে-সো ও ও না না…।
আমরা দেখি আমাদের দেশে চোরেদের শাস্তি সহজে হয় না। অথচ দ্রুত শাস্তি হয় প্রতিবাদী মানুষের। যাঁরা প্রান্তিক মানুষের সার্বিক উন্নতির জন্য সত্যি কথা বলেন। তাঁরা জেলে থাকেন। আমরা আহা উঁহু করে কবিতা পাঠ করি,গান গাই তারপর মদ্যপানে বিভোর থেকে চোখে জল আনি।
এদিকে প্রতারকদের জন্য শুধু বিচারের প্রক্রিয়া চলতেই থাকে, আর চলতেই থাকে। আসলে একজন চিটফান্ডের মালিককে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখাটা যে কোনো বিচার নয়, এটা তো সহজে বোঝা যায়। প্রতারিত মানুষকে টাকা ফেরত দেওয়াটাই তো আসল বিচার। একথা কে বা বোঝাবে, আর কেই বা বুঝবে!
কোনো শাস্তি হয় না বলেই আবার নতুন খবর আসে। নতুন ধরনের প্রতারণার। প্রতারকের নতুন মুখ দেখতে পাই। এদের সঙ্গে ছবিতে দেখা গিয়েছিল সমাজের কিছু ঘ্যামা ঘ্যামা লোককে। যারা তৈরি হয়ে থাকে মানুষের মতামতের ভিত্তিতে। সে কথা আর কেই বা মনে রাখে।
প্রতারকদের মুখগুলি আজকাল টিভির দৌলতে দেখা যায়। যদিও অনেক সময় মুখ ঢাকা থাকে। চোখও।
আমাদের অনেকের কাছে কয়েকটা দিন খুব উত্তেজনায় কাটে। জানি কিছুই হবে না আবার বিচার বিচার খেলা চলবে। ঘ্যামা লোকেদের চোখ উলটে যাবে। তাদের শিশুসুলভ কথা শুনে আমাদের সেগুলিই বিশ্বাস করতে হবে। না বিশ্বাস করলে নিজেদের উপরই ঘেন্না ধরে যায়। কেননা ভোটের কালি যে অনেকদিন থেকে গিয়েছিল।
তাহলে! এইসব চলবে কিছুদিন। তারপর আবার অন্য উত্তেজনা। খবর আসবে কে কার সঙ্গে শুয়েছিল। তাই নিয়ে তখন বাজার গরম।
এই একটি দৃষ্টান্ত হয়ত ভ্যাকসিন নিয়ে। এমন যে একবারই হয় তা নয়। নানা বিষয় নিয়ে প্রতারণার খবর বছরের পর বছর ঘুরে ফিরে আসতেই থাকে বার বার।
এমন তো হতেই পারে। সেইজন্যই তো নানা দপ্তর খুলে রাখতে হয়েছে। এসব না হলে ওই দপ্তরগুলি তো বন্ধ করে দিতে হবে। অতএব দপ্তর চালু রাখার জন্য তৈরি হোক নানা কিসিমের প্রতারক।
আমরা কত বিষয়ে সাবধানে থাকব? সাবধান হওয়ার উপায় কি আছে? করোনার বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে এখন ভুলে গেছি সবজিতে রং মেশানোর কথা। একদিকে যেমন দাম বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে এগিয়ে চলেছে ভেজাল দেওয়া যত সামগ্রী। বিষ খেয়ে তাইই হজম করে যদ্দিন টিকে থাকা যায়।
আমরা সত্যিই অসহায়। শুধু বিষের টুকরো খেতে খেতে শুনতে হবে নানা গল্পকথা। সংবাদ বলবে আমরা ফিরে আসছি আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য নিয়ে। আমরা অপেক্ষার পর আবার হামলে পড়ে শুনব।
ঘরে বসে নড়বড়ে মাথা আর গুলিয়ে যাওয়া মন নিয়ে নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করব। এই করোনাকালে নিয়ম মেনে চললে এখন কারও সঙ্গে দেখা হওয়ার উপায় নেই। কাজেই ফোনে কথা বলে কাজ হারানো ও বেঁচে থাকার চেষ্টার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে করতে শুধু হায় হায় করব নিজেদের মধ্যে।
এতকিছু ভুয়ো? শেষ অবধি ভ্যাকসিনও? কত প্রিয়জনের মুখ মনে পড়ে। চিন্তা হয় তারা কেউ মস্ত ঘ্যামা লোকেদের সঙ্গে প্রতারকের ছবি দেখে নিজেদের বিপদের মুখে ফেলেনি তো!
যারা চিটফান্ডে টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছে তারা যেমন মোহিত হয়েছিল চিটফান্ড মালিকের শিল্পবোধ দেখে। তুমুল শিল্পবোধ না থাকলে ওই ছবি কেউ অত দাম দিয়ে কেনে? আমরা যা বুঝিনি ওই চিটফান্ডের মালিক তা অনায়াসে বুঝেছিলেন!
আমার পরিচিত মানুষেরা ঘ্যামা লোকেদের সঙ্গে ভ্যাকসিনপ্রতারকের ছবি দেখে মোহিত হয়ে ভুয়ো ভ্যাকসিন শরীরে নিয়ে নেয়নি তো?
কত প্রতারক ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে, দেশজুড়ে,রাজ্যজুড়ে ও আমার আপনার পাড়ায়। ঘরে এসেও হয়ত ঢুকে পড়ছে।
মনে পড়ছে তেমন দুই প্রতারকের কথা। এরা স্বামী স্ত্রী। তাপস রায় ও মালা রায়। এই দুজনের প্রতারণার অনেক ইতিহাস আছে। তার মধ্যে একটি হল পনেরো কুড়ি বছর আগে সরকারি আবাসন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা মানুষের কাছ থেকে হাতিয়েছিল তারা। আবাসন দপ্তরের কাগজ, সেই অফিসের যাবতীয় কিছু দেখিয়ে নানা কথার কারসাজিতে কলকাতার ও অন্যান্য জায়গা থেকে কবি,লেখক,গায়ক, সুরকার থেকে শুরু করে পুলিশ অফিসারের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছিল। মুখে সারাক্ষণ তৎকালীন নেতা-নেত্রীদের নাম। এমন কি বলেছে সেই সময়ের মুখ্যমন্ত্রীর কথাও। এমনভাবে বলেছে যেন কত দিনের পরিচিত। তখনকার যত ঘ্যামা লোকেরা সবাই যেন ওই প্রতারকদের ইয়ার-দোস্ত।
মাথার উপরে একটা ছাদ মানুষের স্বপ্ন। তা যদি সরকারি হয় তবে তো নিশ্চিন্ত। এই জন্যই ভরসা করেছিল মানুষ। এখন যেমন মানুষ কবে ভ্যাকসিন পাবে এই প্রত্যাশায় চাতক পাখির মতো হা-পিত্যেশ করে আছে।
শেষ অবধি একজনের চেষ্টায় পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই প্রতারক দু’জনকে। হাজতবাস করেছে। তবে কতটা শাস্তি হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে যারা প্রতারিত হয়েছে কেউই টাকা ফেরত পায়নি।
একজন আমাকে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে খবরের কাগজে সংবাদ করবার জন্য বেশকিছু নথিপত্র দিয়েছিল। সেগুলি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। আবার যদি প্রয়োজন হয় তখন কাজে লাগানো যাবে।
তখন টিভির বেশি চ্যানেল ছিল না। তবে কয়েকটি খবরের কাগজে দু’ই প্রতারককে নিয়ে খবর হয়েছিল। কাজেই আমাকে আর নতুন করে খবর করার জন্য চেষ্টা করতে হয়নি।
টিভিতেও দেখিয়েছিল প্রতারকের গ্রেপ্তার হওয়ার ছবি।
কিছুদিন আগেও তাপস রায় ও মালা রায় এই দুই প্রতারকদের দেখা যাচ্ছিল বাংলা অকাদেমি চত্বরে। বইমেলায়। যারা প্রতারিত হয়েছিলেন তাঁদের কারও মুখোমুখি হলেই তাপস রায় ও মালা রায় দ্রুত পালিয়ে যেত।
অনেক দিন ওই যুগলবন্দিকে দেখা যাচ্ছে না। করোনার মধ্যে তো দেখার কোনো প্রশ্নই নেই।তবু মনে আশঙ্কা হয় হয়ত নাম বদলে কলকাতা ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে নতুন ভাবে মানুষকে প্রতারণা করার ছক কষছে ওই স্বামী স্ত্রী দু’জনে।
আগে তেমন ছবি তোলার মতো উপায় ছিল না। ওই প্রতারকেরা যা বলেছে মুখেই আর সঙ্গে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসন দপ্তরের কাগজপত্র। এছাড়াও জুটিয়েছিল কিছু শংসাপত্র। বিচারপতির,সাংবাদিকের ও সমাজের আরও নামকরা মানুষের কাছ থেকে। কত লোককে বলেছে বই প্রকাশ করে দেবার কথা,সুন্দরী মেয়ে দেখলে সিনেমা সিরিয়ালে সুযোগ করে দেওয়ার কথা। আরও হরেকরকমের প্রলোভন।
এরা হয়ত এখনও প্রতারিত করছে মানুষকে। ইতিমধ্যে করেছেও হয়ত। এখনও ধরা পড়েনি। তাই আমরা জানতে পারছি না। আমরা শুনেছি আহত বাঘ নাকি ভয়ংকর হয়। এরা যখন একবার জেল খেটে এসেছে তখন সেটা তো ওই প্রতারকদের কাছে ট্যুরিস্ট স্পট হয়ে গেছে। কাজেই আর চিন্তা কী! জেল থেকে বেরিয়ে আবার তো বেহায়ার মতো ঘুরতে পারবে। কেননা ইতিমধ্যে তো চোখের চামড়াও লোপাট হয়ে গেছে।
এই যে সব কথা সেই কথার মধ্যে একটুও গল্প নেই। পুরোটাই সত্যি। বাস্তব।
তবে সম্প্রতি ভ্যাকসিন কাণ্ডে যে ধরা পড়েছে সে যে তাপস রায় নয় এটা বাঁচোয়া। সেই লোকটির স্ত্রীও মালা রায় নয়।
তবুও সাবধান। সাবধানে থাকতেই হবে। এই দু’ই প্রতারক বা আরও অনেকে আবার যে অন্য কোনো ভূমিকায় প্রতারিত করতে আসবে না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।