নিধু ময়রার দোকানে দীর্ঘ কুড়ি বছর কাজ করেছে সুবল।
নিধু ময়রা মারা যাবার পর তার ছেলের সঙ্গে বেইমানি করে চলে গিয়েছিল পাশের বলাই ময়রার দোকানে।
কতো সময় অসময়ে এই নিধু ময়রা সুবলকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মতোই সাহায্য করেছে।
নিজের মতো করে কাজ করতো সুবল।
নিধু ময়রার দোকানে এখন ভাটা পড়েছে।
সুবলের কাজও খুব ভালো।
কিন্তু যে সুখ সুবিধা নিধু ময়রার কাছে পেতো সে সব বলাইয়ের দোকানে নেই।
তাছাড়া বলাই কোন কারিগরকেই বিশ্বাস করেনা।
সুবলের ছেলের শরীরটা খারাপ হলে বলাই তাকে সাহায্য করেনা।
এই নিধু ময়রার ছেলেকে বললে সে সাহায্য করে।
অনেক দিনের পুরানো লোক তাই মানা করতে পারেনি।
কদিন পরেই পয়লা বৈশাখ হালখাতার অনেক অর্ডার।
বাবার অনেক পুরানো দোকান গুলো থেকেই এই অর্ডার।
কিন্তু মিষ্টির কারিগর কোথায়?
এমন সময় সুবল ফিরে এলো তার পুরানো দোকানে।
নতুন বছরের পয়লা বৈশাখ নিধু ময়রার দোকানে ভীড় ধরাতে পারলোনা।
সুবল নিজের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তৈরী করে পৌঁছে দিল দোকানে দোকানে।।