পাক্ষিক প্রতিযোগিতা পর্ব – ১৭
বিষয় – প্রতিমা নয়, প্রতি মা’তেই দুর্গা
তারিখ – ২২/১০/২০২০
মানবী মা
কড়ায় গন্ডায় হিসেব লেখা,
প্রতি ঘরে আশার নাম মা।
সেই তো আমার জ্যান্ত প্রতিমা, জীবনভর করে যে সবার মঙ্গল সাধনা।
জননী,কন্যা, বোন,মাসি-পিসি যা ই বলি,
স্নেহ,আদর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা,সুখ-দুঃখে আছে দিবানিশি।
শব্দ ভান্ডারে নেই উপমা, সেই তো জন্মদাত্রী মা জননী,
নিঃস্বার্থ প্রেমের এমন মূরতি আর তো দেখি নি,
সংসারের জোয়াল কাঁধে কলুর বলদ তিনি,
নিত্যবেলায় সকলের মঙ্গল কামনায় জ্বালায় মঙ্গলবাতি।
যে হাতে মাটির প্রতিমার করে আবাহন,
সেই হাতে ঘরের লক্ষ্মীকে করে নির্যাতন।
হাজার হাজার টাকায় সাজে মাটির প্রতিমা,
বৃদ্ধা মার অশ্রুজলে রাস্তা ভেজে, খাবার পায় না।
যে হাতে মন্ডপেতে করজোড়ে ভক্তির তুফান,
সেই হাতে ধর্ষক করে ধর্ষণ,নাশে ফুলের মত জীবন।
পরম মমতায় সুনিপুণ দক্ষতায় রোগীর জীবন করে দান,
সেই নারী ঘরে-বাইরে নাস্তানাবুদ,সহ্য করে হাজারো অপমান।
রুটি রোজগারে যে এঁটো বাসন মাজে পরের দোরে,
সেও লাঞ্ছিতা লোলুপ নরখাদকের মদন বাণে,
কিংবা মাতাল স্বামীর কাছে নিগৃহীতা আপন ঘরে।
মুক্তমঞ্চে উদার যে কন্ঠে সুমধুর ভাষণে নারীর মুক্তির কথা,
উঁকি দিয়ে দেখুন তার ঘরে নারী পায় কতটুকু স্বাধীনতা!