মনে পরে ছোটবেলার কথা মনে পরে জন্মস্থানের কথা মনে পরে সেইসব রবীন্দ্রজয়ন্তীর কথা।।
আমাদের বাড়িতে রবীন্দ্রজয়ন্তী হতো প্রত্যেক বছর,আমরা যে যা পারতাম পারফর্ম করতাম।এরপর একটু পাল্টে গেল রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান গুলো।আমাদের কাকা ছিলেন তিনি আবার ছবি আঁকতেন নাটক করতেন তিনিই আমাদের অনুপ্রেরণা আর এলেন আমাদের স্কুলের মাষ্টারমশাইয়ের ছেলে।।তিনি প্রত্যেক বছর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্পের নাট্যরূপ দিতেন আমরা ছোট ছোটরা নাটক করতাম।তো এই কাকা আর সেই দাদার হাত ধরেই গান,আবৃত্তি ও নাটকের মাধ্যমে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতাম।।আমাদের এক বন্ধু আঁকতে পারতো ওর কালো বোর্ডে রবীঠাকুরকে আঁকা দিয়ে শুরু হতো অনুষ্ঠান।।একবছর হয়েছি কি আমাদের নাটক দেখে ভালো লাগায় আমাদের অন্য গ্রামে নাটক মঞ্চস্থ করার ডাক পরে।রোমাঞ্চিত আমরা যথারীতি নির্দিষ্ট দিনে নাটক করছি,নাটকের নাম আর এখন মনে নেই,সেই নাটকের এক দৃশ্য ছিলো এক হাবিলদার খৈনি খেতে মঞ্চে এসে একটা কথা বলবে তার এই একটাই দৃশ্য ছিলো তো হয়েছে কি মঞ্চে তখন আমি ও আরেক চরিত্র অভিনয় করছি এমন সময় হাবিলদার এলো খৈনি ডলতে ডলতে মুখে দিল খৈনি তারপর ও ঘুরে পরে গেল উইংগসে।আমরা দুজন আর ডায়ালগ কি বলবো হাসি চাপতে পারছি না,দুজনের সে কি হাসি।কোনরকমে নাটক শেষ করলাম কিন্তু এদিকে হাবিলদার মশাই তখনো গ্রীনরুমে শুয়ে।কি হয়েছে কি হয়েছে আমরা ব্যাতিব্যস্ত,মাথা ঘুরছে তা হঠাৎ মাথা ঘুরছে কেনোরে।। উত্তর শুনে আমরা থ।।নাটকে অরিজিনালিটি আনতে হাবিলদার সত্যি কারের খৈনি কোথা থেকে জোগাড় করে খেয়ে নিয়েছেন।।
যাক কথায় আছে না যার শেষ ভালো তো সব ভালো,আমাদের নাটক নাকি সবার ভালো লেগেছে।।আমরাই জানতাম সেদিন আমরা সত্যিই নাটক করেছিলাম।।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে আজ আমার পুরান কিছু স্মৃতি স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানালাম।।