• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় মহুয়া দাস

হর পার্বতী কথা

পুচকি উপযুক্ত বয়সে উপনীত হইয়া যাহাকে বিবাহ করিল তাহার নাম গাঁজা। নামটি লইয়া পুচকির মনে যতই দ্বন্দ্ব উপস্থিত হউক,বিবাহের ব্যাপারে গাঁজার সুতীব্র আগ্রহ সে উপেক্ষা করিতে পারিল না। বিবাহ হইয়া আসা ইস্তক পুচকি লক্ষ্য করিতেছে গাঁজার মেজাজের কোন পিতা মাতা নাই। এদিকে সেও কাহাকেও নাকে খত দিয়া আসে নাই, আজীবন শিষ্ট অন্তরে গাঁজার ভর্ৎসনাবাক্য সহ্য করিবে। ঘটনা একদিন বিপুল আকার লইল। গাঁজা শুষ্ক মৎস্যের কটু বাস সহ্য করিতে পারে না জানিয়াও , পুচকি তাহা রন্ধন করিয়া বসিয়া আছে। প্রচন্ড কলহ উপস্থিত। পুচকি বেচারির যুক্তি হইল, “আমি কি তবে শুধুমাত্র তোমার নিমিত্ত আজীবন বঞ্চিত রহিব ?”
কলহ আরও প্রচন্ড হইয়া বসন্তের আকাশ বাতাস ছিন্নভিন্ন করিতে লাগিল। অকস্মাৎ পুচকি ও গাঁজার অশান্ত তান্ডবের আওয়াজ অতিক্রম করিয়া কিসের যেন শোর শোনা যাইতে , পুচকি লম্ফ মারিয়া উঠানে উঁকি মারিল। এ কি! এ যে হর পার্বতী আসিয়াছেন তাহাদের দ্বারে। গাঁজাও পুচকির কেশপাশ মুষ্টিগত করিয়া দু ঘা দিবার তালে ছিল সেই মুহূর্তে। কিন্তু এমন দৃশ্যে তাহার রুদ্রমূর্তি একেবারে জল হইয়া গেল। বাতাসে ধ্বনিত হইতে লাগিল গাজনের গান । হর পার্বতী কথা। অকস্মাৎ তাহাদের নিমগাছের ডালে বসন্তবাতাসে কে যেন ডাকিয়া উঠিল “বউ কথা কও”।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।