বরিশালের বানরীপাড়া আসতে পারো যে যার মতো
কিন্তু তিনি আর আসলেন কই?
ভিটের একমুঠো মাটি
সারাজীবন বুকের কাছে রেখে গন্ধচাঁপার ঘ্রাণ নিতেন যিনি
তাঁকে অসময়ে যেতে হলো ভিন্ন পথে!
কীর্তনখোলা, কীর্তিপাশা, সন্ধ্যানদী জলে
কবিতাগুলো এখনো সাঁতার কাটে
এই নদী অনেক আত্মীয় নদী, এর কোনো ভাঙন-উল্লাস নেই
কৈশোর থেকে একই স্থির তীরে জোয়ার-ভাটায় টলমলে স্মৃতি টানে-ছাড়ে!
পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ শুনি!
যদি যে যার মতো কেউ জানতে চায়- চিত্তপ্রিয় বাড়ি আছেন?
পিতা মণীন্দ্র কুমার ঘোষ কিংবা মাতা অমলা ঘোষ আঙুল তুলে দেখিয়ে দেবেন-
ঐতো- যে ঘাটে স্টিমার ভেড়ে তাঁর পাশে কোথাও!
ঐ নদীর সবটুকু জল কবিতা হয়ে আছে
এখানে যে যার মতো কবিতা যাপন করতে আসতে পারো!
কিন্তু তিনি আর আসলেন কই?
তাঁকে অসময়ে যেতে হলো ভিন্ন পথে!