।। ত্রিতাপহারিণী ২০২০।। T3 শারদ সংখ্যায় মহম্মদ রাহিল খাঁন

শুভঙ্করের ডাইরি থেকে

আচ্ছা খুন কি শুধু এক ধরণেরই হয়? মানে কেউ এসে পেটে ছুরি চালিয়ে দিলে, বা রাস্তা পার হওয়ার সময় পরিকল্পনা করে গাড়ি চাপা দিয়ে, কোনো উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা দিয়ে নীচে ফেলে দিলে, আগুনে পুড়িয়ে মারলে অথবা জলে ডুবিয়ে মারলে?
খুন কি মানসিক ভাবে কাউকে করা হয়না? ডাক্তাররা ডেথ সার্টফিকেটে লেখে সেটাকেই মেনে নিই আমরা। সহজ ভাষায় যেটাকে আমরা বলে থাকি “Normal death due to cardiac arrest, hyper glycemic cardiac arrest, cardio respiratory failure.” কিন্তু আমরা কি কোনো সময় জানার চেষ্টা করেছি কেন হলো এই হৃদরোগ? সচরাচর শোনা যায় সুগারটা বড্ড বেড়েছে। কারণ জানতে চাইলে বলা হয় প্রচন্ড টেনশন, আজকাল তাই সুগারটা বেড়েছে। ঠিক তেমনি ঘটে ব্লাড প্রেসারের ক্ষেত্রেও।
আমি শুভঙ্কর, শুভঙ্কর ঘোষ। আমার একটি ছোট্ট পরিবার ছিল ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী ও আমি। এখন অবশ্য এসে ঠেকেছে মাত্র দুজনের সংসারে। ইচ্ছাপূর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কেরানি পদে কর্মরত ছিলাম। চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি গত ৩ বছর আগে। ইচ্ছাপূরের অন্তর্গত আনন্দমঠ এলাকায় আমার শান্তির নীড়। একা হাতে গোটা পরিবারকে সামলেছিল সুমনা, সুমনা ঘোষ, আমার স্ত্রী। সুস্বাদু রান্না করা, ঘর গোছানো, বিভিন্ন প্রজাতির ফুলগাছের শখ ছিল তার। শীতকালে বাড়ির সামনের বাগানটার পেছনে অনেকটা সময় ব্যয় করতে ভালোবাসতো সে। আর আমার? সুমনার গলায় গান শোনা, আর রোজ দিনের শেষে ডাইরিটা খুলে দিনের কিছু মুহূর্ত লিপিবদ্ধ করা ছিল আমার শখ। অভ্যাসও বলতে পারেন।
ছেলে এখন আমেরিকার এক মস্ত বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে ভালো মাইনের চাকরি করে। ছোট বেলা থেকেই ছেলের পড়াশোনাতে ছিল বিশেষ আগ্রহ। কষ্ট করে সুমনকে কাছাকাছি একটি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে ভর্তি করলাম। সুমন ঘোষ আমার ছেলে।
ছেলের পিঠাপিঠি একটি মেয়ে আছে আমার, বছর দুয়েক ছোট সুমনের থেকে, নাম সুপর্ণা ঘোষ। এখন সে সুপর্ণা ঘোষ ভার্মা।
তারা দুজনেই এখন বাইরে থাকে। বাবা মায়ের সাথে দেখা করার সময় হয়ে ওঠেনা ওদের এখন। দিনে ১টা করে ফোন বরাদ্দ আমাদের জন্য। নিজের নিজের সংসার নিয়ে বেশ ভালোই দিন কাটছে তাদের। সুমন এখন এক গোরা মেয়েকে বিয়ে করে আমেরিকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে উঠেছে। বাড়ি ফিরতে চায়না আর। অনেকবার ফোনে বলেছে আমাদের নাকি আমেরিকা ঘুরতে নিয়ে যাবে। কিন্তু সেই সুযোগ এখনও অবধি হয়ে ওঠেনি।
সুপর্ণা থাকে ব্যাঙ্গালোরে। মেয়ে ও জামাই একই অফিসে চাকরি করে। মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম ব্যাঙ্গালোরে, কিন্তু পড়া শেষ করে একেবারে জামাইকে নিয়ে বাড়ি ফিরবে বুঝতে পারিনি।
যাইহোক ছেলে মেয়ে দুজনেই আজ বড়োই সুখী। কিন্তু আমরা যে বড়োই দুখী। এখন মনে মনে ভাবি ছেলে মেয়েকে মূর্খ করে রাখলেই বোধহয় বেশি ভালো করতাম, এই বুড়ো বয়সে আমাদের পাশে থাকতো। লেখা পড়া শিখে যে এত দূরে চলে যাবে আমাদের ছেড়ে সেটা আগে আন্দাজ করতে পারিনি আমরা।
মাঝে মধ্যে মনে হয় পাশের বাড়ির কুমার পরিবারের কথা, দিব্বি আছে আনন্দে। না আছে চাহিদা, না আছে পিছুটান। ভগবান ভালোই করেছেন তাদের এই মৃত্যু যন্ত্রনা না দিয়ে। তারা অনেকবার আমাদের কাছে আফসোস করেছেন যে তাদের সন্তান সুখ দেয়নি ভগবান, কিন্তু আমি এখন মনে করি ভালোই করেছে না দিয়ে। ওনারা তো নিঃসন্তান। কিন্তু আমরা? আমরা তো সন্তান জন্ম দিয়েও আজ নিঃসন্তান। এত কষ্ট করে তাদের মানুষ করে কোনো লাভ হলো কি? এখন কুমার বাবুদের দেখে খুব হিংসে হয়।
এখন আমার দুজনের ওপর ভরসা। একজন, ডাক্তার রমেন বিশ্বাস, আর একজন গোলাম শেখ। ডাক্তার আমাদের প্রতিবেশী। বাড়ির কারোর কিছু হলেই তার কাছেই আগে দৌড়োনো হত। তখন থেকেই আমাদের পরিবারের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে। সুঠাম চেহারা, ৬ফুট লম্বা, মোটা একটা গোঁফ আছে। গায়ের রংটা চাপা, মাথা ভরা কাঁচা পাকা চুল। গড়গড় করে কথায় কথায় ইংরেজি কথা বেরোয়। গলার স্বরটা ভারী হলেও বেশ মিষ্টি বটে। গানের শখ রাখেন। কিন্তু কারোর বাড়ি রোগী দেখতে যেতে নারাজ তিনি।
এবার আসি গোলাম এর কথায়। কর্কশ গলার স্বর, পদবি শেখ তাও যেন কেমন রোগা প্যাংলা শরীরের গঠন। গালে একটা মস্ত বড় কাটা দাগ। বয়স খুব বেশি হলে ৩০, ঠিক আমার ছেলের মত। খুব বাধ্য ছেলে। ভালো নাম মুজফিকুর শেখ, তবে আমরা সকলেই তাকে গোলাম বলেই ডাকি। পাড়াতেই থাকে একটা এক কামরা ঘরে। পরিবার বলতে শুধু মা আছে। দিন রাত এর ওর ফাই ফরমাস খাটে কিছু টাকার বিনিময়ে। বেশিদূর পড়াশোনা করেনি সে। লোকের বিপদে আপদে তাকে ডেকেই সবার আগে পাওয়া যায়। মা অসুস্থ তাই লোকের চাকর গিরি করেই টাকা আয় করে। সেই থেকেই ওকে সবাই গোলাম নামে এক ডাকে চেনে।
(১) ৮ই জুলাই, ২০০৫, শুক্রবার
আজ ৮ই জুলাই, সুমনার শরীরটা একটু বেশিই খারাপ হয়ে যেতে লাগলো। ছেলে মেয়েকে দেখার জন্য খুব কষ্ট পাচ্ছিল সে। রমেন ডাক্তারকে অনেক অনুরোধ করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল গোলাম। ডাক্তার দেখে কিছু ওষুধ লিখে দিল সঙ্গে কিছু পরীক্ষাও করতে বললো। সুমনকে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না। তাই ভাবলাম সুপর্ণার সাথে কথা বলিয়ে যদি একটু শান্ত করা যায় সুমনাকে। সুপর্ণা কেও ফোনে পেলাম না সেদিন। অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে ঘুম পাড়ালাম সুমনাকে। আগামীকাল রোগনির্ণয়-কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে সেই ডাক্তাদের দেওয়া পরীক্ষাগুলো করতে।
(২) ৯ই জুলাই, ২০০৫, শনিবার
আজ ৯ই জুলাই, সুমনা আর আমি, গোলামকে সঙ্গে করে নিয়ে গেছিলাম সেই রোগনির্ণয় কেন্দ্রে। আগে থেকেই ফোনে সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম। ওখানে গিয়ে ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী সব পরীক্ষা গুলো সেরে নেওয়া হল। পরীক্ষক বললো “প্রেসারটা অনেক কম, ঠিক করে খাওয়া দাওয়া করাচ্ছেন না নাকি বাড়িতে?” উত্তরে আমি বললাম “স্যার কি করবো? কিছুই যে খেতে চায়না!” টেস্টগুলোর ফলাফল পাওয়া যাবে ১০ই জুলাই রাত ৮টা নাগাদ। বাড়ি ফেরার পথে আমাদের দুজনের ওষুধ কিনে নিলাম। আজ সন্ধের সময় আবার চেষ্টা করলাম দুজনকেই। কিন্তু যথারীতি কোনো উত্তর মিললো না। সুমনাকে রাতের খাবার খাওয়ার পর ওষুধ খেয়ে শুয়ে পড়তে বললাম। আজ সুমনাকে কষ্ট পেতে দেখতে ভালো লাগছিলো না। দূর থেকে নজর রাখছিলাম ওর ওপর। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছিলো বালিশে মুখ গুঁজে। বাঁধা দিলাম না, যদি কেঁদে একটু হালকা হয়।
(৩) ১০ই জুলাই, ২০০৫, রবিবার
আজ ১০ই জুলাই, সকালের সব কাজ কর্ম শেষ করে রমেন ডাক্তারের বাড়ি গেলাম। বলে আসলাম আজ রাত ৮টায় ফলাফলটা জানা যাবে। রমেন ডাক্তার আমাদের ব্যাপারে সবই জানে, তাকে আর নতুন করে কিছু বলার মতো নেই তবুও সুমন ও সুপর্ণার ব্যাপারে কিছু কথা হতে লাগলো। এক কথা দুই কথা হতে হতেই ১০টা বেজে গেল। ফিরে এলাম বাড়িতে। সুমনার সাথে বসে প্রাতরাশ খেতে খেতে বললাম “তুমি কেন এত ওদের নিয়ে ভাবো? ওরা কি তোমার কোনো খোঁজ খবর নিচ্ছে?” কিছু উত্তর পাইনি ওর থেকে। দিনের পর দিন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে দেখছি। রাত ৮টায় গোলামকে পাঠিয়েছিলাম ফলাফল জানতে। একটা খাম এনে দিল সে। খুলে পড়লাম পুরোটা। কিছু বুঝতে না পেরে আবার গুছিয়ে রেখে দিলাম আগামীকাল রমেন ডাক্তারকে দেখাবো বলে। ওষুধ খাইয়ে বিছানা ঠিক করে শুয়ে পড়তে বললাম সুমনাকে।
(৪) ১১ই জুলাই, ২০০৫, সোমবার
আজ ১১ই জলাই, রমেন ডাক্তারের কাছে গেলাম সকাল সকাল খামটা নিয়ে। ডাক্তার তো কাগজটা দেখে চমকে উঠলো। তাড়াতাড়ি করে তার ডাক্তারি প্যাডে খস্ খস্ করে কি সব লিখে দিল। আর আমায় বললো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুমনাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে। আমাকে কিছু বলার সুযোগই দিলেননা। গোলামকে ডেকে তাড়াতাড়ি ওষুধের দোকানে পাঠালেন ওই প্যাডের কাগজ আর কিছু টাকা হাতে গুঁজে দিয়ে। গোলাম ওষুধ গুলো কিনে আনার পর ডাক্তার আমাকে বুঝিয়ে দিলেন কিভাবে কখন কোনটা খাওয়াতে হবে। আমি বাড়ি ফিরে এলাম। ডাক্তার যা বললো সেই ভাবেই মেনে চলতে শুরু করলাম। দুপুরে খাওয়ার আগে ১টি ওষুধ এবং খেয়ে ২টি। সুপর্ণাকে ফোন লাগলাম, এবার পাওয়া গেছে তাকে। কথা বলতে বলতে আসার কথা বলে ফেললাম তাকে কিন্তু মুখের ওপর মানা করে দিলো, বললো “তোমার জামাইয়ের অফিসের মিটিংগুলো খুব দরকারি, আর আমার পক্ষে ওকে একা ফেলে যাওয়া সম্ভব হবে না।” মেয়ের কথাটা বুঝলাম কিন্তু ছেলে? সে কি একবারের জন্যও পারেনা তার মা এর খোঁজ নিতে? ফোন করলাম সুমনকে। ফোন ধরেই বললো “বাবা রাত্রে তোমায় ফোন করবো, এখন বড্ড ব্যস্ত।” রেখে দিল ফোনটা। সন্ধে পেরিয়ে রাত হতে চললো, এখনও তার ফোন এলোনা।
(৫) ১২ই জুলাই, ২০০৫, মঙ্গলবার
আজ ১২ই জুলাই, সুমনাকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করলাম। খবর দিলাম ছেলে মেয়ে দুজনের কাছেই। মেয়ে আজ খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তাই আজ সে ফোন ধরতে পারলো না কোনো কারণে। ছেলেকে জানালাম, বললো “এত মন খারাপের কি হল বাবা? অসুস্থ হয়েছে তাই হাসপাতালে নিয়ে গেছো, সেরে যাবে। কিছু টাকা পয়সার দরকার হলে জানিও আমি পাঠিয়ে দেব।” এই বলে সে ফোন রেখে দিল। তার মনে হলো আমি ওকে টাকার জন্য ফোন করেছি। সুমনার কষ্টটা ওরা কেউ বুঝলনা। টাকা পয়সা আয় করতে শুরু করে তারা ভাবছে আমরা হয়তো আমাদের পেছনে খরচ করার জন্য তাদের ফোন করি। আমার জমানো কিছু টাকা ছিল, তা দিয়েই সুমনার হাসপাতালের খরচ মেটালাম। হাসপাতালের খরচ বেশি বাড়তে দিলনা সুমনা। চলে গেল এই খারাপ পৃথিবী ছেড়ে এক বুক কষ্ট নিয়ে আমায় একা করে।
(৬) ১৩ই জুলাই, ২০০৫, বুধবার
আজ ১৩ই জুলাই, ভোর রাত্রে পরলোক গমন করলো সুমনা। ছেলে মেয়ে দুজনকেই খবর জানিয়েছিলাম। মা এর মারা যাওয়ার খবর শুনে মেয়ে এসেছিল প্লেনে করে তার জরুরি এক মিটিং ছেড়ে। এই কথাটাও শুনতে হয়েছিল যে আমি নাকি তাদের পরিবারের মধ্যে অশান্তি ডেকে আনছি। ভুল ভাবতাম আমি এতদিন, মেয়েরা নাকি ছেলেদের থেকে মা বাবাকে বেশি ভালোবাসে। জামাই ভালো ছেলে, অনাথ তাই হয়তো মা বাবার প্রতি কোনো টান ছিলোনা, কিন্তু আমার মেয়ে! সে যে মা বাবা থেকেও এরকম মানুষ হবে তা ভাবতে পারিনি কখনও।
সৎকারের পরের দিনই তাদের ফেরার ফ্লাইট। জামাই আমাকে তাদের সাথে নিয়ে যেতে চাইলেও আমার নিজের মেয়ে রাজি ছিলনা এই ভেবে যদি তাদের ওপর আমি বোঝা হয়ে দাঁড়াই। বুঝতে পেরে জামাইকে বলেছিলাম আমি এখানেই থেকে যেতে চাই। তারা ফিরে গেল। সুমনকে খবর জানবার সময়ই সে জানিয়ে দিয়েছিল এখন সে আসতে পারবেনা। আমিও জানতে চাইনি কেন আসতে পারবেনা। ভাবুনতো একবার, যেই ছেলে তার মা এর মৃত্যুর কথা জেনেও আসতে চায় না, তার ব্যাপারে কি কোনো কিছু জানতে ইচ্ছে করে কারোর? অভিমান হয়েছিল সবার ওপর আমার। খুব অভিমান। তারাও একদিন হাড়ে হাড়ে টের পাবে যেদিন এরকম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তাদের, আর আমি নিশ্চিত যে একদিন না একদিন ঠিকই তাদের এরকম পরিণতি হবেই।
একা একা দিন কাটতে লাগলো আমার। শরীর দিন দিন ভেঙে যেতে লাগলো। পেনশন আর এম. এই. এস. এর টাকাও কম পড়তে লাগলো। গোলামকে রেখেছিলাম ঠিকই আমার সব কাজ করে দেওয়ার জন্য কিছু টাকার বিনিময়ে কিন্তু দিনে দিনে তাকে পোষার মতো ক্ষমতা আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমায় সে ছেড়ে যায়নি, বিনা পয়সাতেও আমার সেবা করেছে। সুমনা মারা যাওয়ার সময় যাবতীয় কাজ সে করেছিল। একজন মুসলমান হয়েও এক হিন্দু মা এর সৎকার করতে সে পিছুপা হয়নি। মুখাগ্নি থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ সে সব হিন্দু নিয়ম মাফিক করেছে। পাড়ার একটা ছেলে যে আমার এত আপন হয়ে উঠবে তা বুঝতে পারিনি।
ছেলে মেয়েকে পেয়েও আমি,
আজ বড়ই নিঃস্ব;
পাড়ার ছেলেটাই হল আপন,
এ কেমন বিশ্ব!
আপনাদের সকলের কাছে প্রশ্ন থাকলো, সুমনার সাথে যা হল সেটা কি আদৌ সাধারণ মৃত্যু নাকি খুন? কে দায়ী এই খুনের জন্য?
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।