• Uncategorized
  • 0

|| মহাত্মা গান্ধির প্রথম অহিংস অসহযোগ ও সত‍্যাগ্রহ || লিখেছেন মৃদুল শ্রীমানী

জন্ম- ১৯৬৭, বরানগর। বর্তমানে দার্জিলিং জেলার মিরিক মহকুমার উপশাসক ও উপসমাহর্তা পদে আসীন। চাকরীসূত্রে ও দৈনন্দিন কাজের অভিজ্ঞতায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সমস্যা সমাধানে তাঁর লেখনী সোচ্চার।

১৮৯৩ সালের আজকের দিনটি। তরুণ ব‍্যারিস্টার মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধি তখন দক্ষিণ আফ্রিকার নাটাল শহরে আইনি পেশায় রয়েছেন। বছর পঁচিশ বয়স। পেশাদার আইনজীবী হিসেবে কাজ করবেন এই চুক্তিতে এক বৎসরের চুক্তিতে এক বছরের জন‍্য দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে রয়েছেন তরুণ ভারতীয় ব‍্যারিস্টার। ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাসে চড়ে কাজে যাচ্ছেন তিনি। সে সময় দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে প্রবল বর্ণবৈষম্যবাদের দাপট। শাদা চামড়ার মানুষেরা গাত্রবর্ণের অহমিকায় কালোদের মনুষ‍্যপদবাচ‍্য বলেই মনে করে না। শিক্ষিত ও মার্জিত হলেও গাত্রবর্ণের জন‍্য‌ই কালো মানুষকে বিস্তর অপমান আর বৈষম্যের শিকার হতে হয় সেখানে।
একজন ব‍্যারিস্টার হয়ে টিকিট কেটে ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাসে যেতে পেতেন না কালো চামড়ার মানুষ। বর্ণবৈষম্য এতটাই উৎকট রূপ নিয়েছিল সেখানে।
১৮৯৩ সালে আজকের দিনে ট্রেনের ফার্স্ট ক্লাসে চড়েছেন, এই অপরাধে ধাক্কা দিতে দিতে নামিয়ে দেওয়া হল তরুণ ভারতীয় ব‍্যারিস্টার এম কে গান্ধিকে। শ্বেতাঙ্গ পুলিশের সঙ্গে গায়ের জোরে তো পারলেন না তরুণটি। প্ল‍্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছেড়ে চলে যেতে থাকা ট্রেনটির দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে সিভিল ডিজ‌ওবিডিয়েন্স এর কথা ভাবলেন তিনি।
শুরু হল এক মনীষীর পথচলা, এক আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠার শুভসূচনা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।