• Uncategorized
  • 0

আজ শেক্সপিয়রের প্রয়াণ দিবসে আমার শ্রদ্ধা – লিখেছেন মৃদুল শ্রীমানী

শেক্সপিয়রের নাটককে বাঙালি আপন জেনেছে। 
১৫৯৪ তে শেক্সপিয়র লিখেছেন কমেডি অফ এররস। ১৫৯৭ তে রোমিও অ্যাণ্ড জুলিয়েট। ১৬০০ তে মার্চেন্ট অফ ভেনিস। ওই সময়েই হ‍্যামলেট। তার পরে পরে ওথেলো ১৬০৩, মিড সামার নাইটস ড্রিম ১৬০৫, ম‍্যাকবেথ আর কিং লিয়ার ১৬০৬, অ্যান্টনি অ্যাণ্ড ক্লিওপেট্রা ১৬০৭, ১৬১০- ১১ তে টেম্পেস্ট…. বাঙালি ভালবেসে আপন জেনেছে শেক্সপিয়রকে।
শেক্সপিয়রের জুলিয়েট বলেছে, হ্বোয়াটস ইন এ নেম? দ‍্যাট হুইচ উই কল এ রোজ বাই এনি আদার নেম উড স্মেল অ্যাজ় সুইট। বাঙালি বলেছে, গোলাপে যে নামে ডাকো, সুগন্ধি বিতরে।
হ‍্যামলেট বলছে, টু বি, অর নট টু বি, দ‍্যাট ইজ় দি কোশ্চেন। এ কথাটাও বাঙালি নিজের করে ফেলেছে। হ‍্যামলেট আরো বলে, দেয়ার আর মোর থিংস ইন হেভেন অ্যাণ্ড আর্থ, হোরেশিও, দ‍্যান আর ড্রিমট অফ ইট ইয়োর ফিলজফি।
এই সব কথা ব‍্যবহার করতে করতে, বলতে বলতে, বাঙালির নিজের হয়ে গিয়েছে। আজ শেক্সপিয়রের প্রয়াণ দিবসে তাঁর সৃষ্টি নিয়েই তাঁকে স্মরণ করি।
শেক্সপিয়রের সঙ্গে বাঙালির প্রাণের সম্পর্ক। একটি বাংলা ছবির কথা বলি। তারাশঙ্কর বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর কাহিনি অবলম্বনে অজয় করের পরিচালনায় সপ্তপদী। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন উত্তমকুমার। ১৬৩ মিনিটের ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬১ সালের ২০ অক্টোবর। না, উৎপল দত্ত অবশ‍্য এখানে রুপোলি পর্দায় জনসমক্ষে নেই। এখানে মঞ্চ কাঁপিয়েছেন উত্তম সুচিত্রা। ফিল্মে তাঁরা কৃষ্ণেন্দু ও রীণা ব্রাউন। কিন্তু কলেজের সোশ্যাল অনুষ্ঠানে ওথেলো নাটকের নির্বাচিত অংশে ওথেলোরূপী উত্তমকুমারের হয়ে ইংরেজি বাগ্ বিন‍্যাস করেছেন উৎপল দত্ত, ইংরেজি ভাষায় যাঁর প্রজ্ঞা সম্বন্ধে পরিচালক অজয় করের কোনো সন্দেহ ছিল না। সুচিত্রার হয়ে কণ্ঠদান করেছিলেন জেনিফার কাপুর। এই সময় উৎপল দত্ত সবে ত্রিশ পেরোনো যুবক। এই দৃশ‍্যটি যে বাঙালি কতবার দেখেছে কেজানে! নির্বাচিত অংশটি অভিনয়ের আগে সুচিত্রারূপী রীণা ব্রাউন পরিচালককে বলেছিল, ও যেন আমায় টাচ্ না করে। টাচ্ কথাটায় একটা অসম্ভব জোর দিয়ে বলা। কথা রাখে কৃষ্ণেন্দু। অভিনয় দেখলেই বোঝা যায় যে সে ত্বাচ্ সম্পর্কে অত‍্যন্ত পরিশীলিত। ডেসডিমোনা হয়ে শায়িতা সুন্দরী দ‍্যাখে কৃষ্ণেন্দুকে। তার চোখে খুঁজে পায় প্রেম, যে জিনিসের জন‍্যে সে জীবন দিয়ে দিতে পারে।
জন্মের কৌলীন‍্য নিয়ে ভাবে গৌরমোহন‌ও। সুচরিতাকে সে ভালবাসে। দারুণ টানে তাকে রক্ত মাংসের সুচরিতা। সুচরিতার সুগোল হাতটুকুও তার কত কাঙ্ক্ষিত‌ । তবুও গৌরমোহন সহজ হতে পারে না। সুচরিতা যে পরেশবাবু বরদাসুন্দরীর মেয়ে, আর তাঁরা যে ব্রাহ্ম।
শেষকালে গোরা জানতে পারে যে সে রক্ত সম্পর্কে বামুনের ছেলে নয়। তখন সে যেন খানিকটা স্বাভাবিক মানুষের মতো হয়। রীণা ব্রাউন‌ও যেন অমন। রীণা তার জন্মদাত্রী মাকে জানত না। শুধুমাত্র পিতৃপরিচয় জানত। যখন জানল পিতা তাকে গৃহপরিচারিকার গর্ভে জন্ম দিয়েছেন, তখন রীণার কী বিপুল আত্মসংকট। পুরোনো একটা পরিচয় ছেড়ে নতুনভাবে নিজেকে খুঁজে বেড়ানো।
সেকালে প্রাপ্তবয়স্ক নরনারীর প্রেম জিনিসটা লোকে পছন্দ করত না। মধুমাসে মোদের মিলন নিতান্তই এ সোজাসুজি। এই কথাটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেখাতে চেয়েও কি পেরেছেন! আমার ছোটবেলায় লাভ ম‍্যারেজ জিনিসটা সদ‍্য সদ‍্য ট‍্যাবু ট‍্যাগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে‌। একটা সমর্থ ছেলে সমযোগ‍্য আরেকটি মেয়েকে ভালবাসবে, এটা সমাজের কাছে স্বাভাবিক হতে সময় লেগেছে। বাড়ির ড্রাইভার যুবককে ভাল লেগেছে কত বড়ঘরের মেয়ের। আর তাই নিয়ে কত সিনেমা। যত সহজে সিনেমা দেখতে পেরেছে বাঙালি, তত সহজে সমাজকে নতুন প্রত‍্যয়ে গড়তে চায় নি‌ বাঙালি প্রতাপ শৈবলিনী পড়েছে, রমা রমেশ পড়েছে, অমিত লাবণ‍্য পড়েছে। তবুও বিয়ের পিঁড়িতে বসতে গিয়ে পণ চেয়েছে। বিয়ে করে বধূকে এনে পণের জন‍্য চাপ দিয়েছে। বিয়ের আগে যে ছেলে প্রেমের গানে বারান্দা ভরিয়েছে, বিয়ের পর স্ত্রীকে ভাবী সন্তানের মা ছাড়া আর কিছু ভাবতে চায়নি। বাঙালির মেয়েও ঘরের মানুষের চোখে প্রেম না পেয়ে রাজেশ খান্নার গাড়ি চলে গেলে সেই চাকার ধুলোকে সিঁদুর করে পরতে চেয়েছে। বাঙালির জীবনে প্রেম ভারি পিছল জিনিস।
তবু সাহিত্য বারে বারে বাঙালির মনে প্রেমের হাতছানি দিয়েছে। আর তার অন‍্যতম অবশ্যই শেক্সপিয়রের সাহিত্য। রোমিও জুলিয়েট, ওথেলো ডেসডিমোনা।
সনেট লিখেছেন শেক্সপিয়র। তার‌ও আগে সনেট লিখে বিশ্বখ‍্যাত পেত্রার্কা। দুজনের সনেটের ভাব দুরকম। ছোটবেলায় পড়লাম সনেট ওই দুজনের নামে দুরকম। সনেট লেখা খুব শক্ত। অষ্টক ষটক্। আট যোগ ছয় এই চতুর্দশপদী কবিতা। অষ্টকে যে ভাব যে আবর্তের বিন‍্যাসে থাকবে ষটকে তার বিপরীত আবর্ত থাকবে। অন্ত‍্যমিলের‌ও বহু কেতা। বাংলা ভাষায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখলেন চতুর্দশপদী কবিতাবলী। তার কতকগুলি ছোটবেলা থেকে কানে শুনে শুনে গভীরে ঢুকে গিয়েছে। দাঁড়াও পথিকবর  জন্ম যদি তব বঙ্গে তিষ্ঠ ক্ষণকাল… কিংবা সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে… বা, স্বপ্নে তবে কুললক্ষ্মী কয়ে দিলা…মাতৃভাষারূপ খনি পূর্ণ মণিজালে।
দেবেন্দ্রনাথ সেন সনেট লিখেছেন। সনেট নামে কবিতা লেখেন হুমায়ুন কবির। আর রূপসী বাংলায় জীবনানন্দ দাশ নিজের মতো করে গড়ে নেন সনেটকে‌। আবার আসিব ফিরে …চতুর্দশমাত্রা ছাড়িয়ে বাইশ মাত্রা। ওকে বলে মহাপয়ার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর চৈতালি আর নৈবেদ্য কাব‍্যগ্রন্থে চতুর্দশপদী লিখেছেন। কিন্তু তাতে তিনি সহজ অন্ত‍্যমিলের আশ্রয় নিয়েছেন। চৈতালির দিদি, বঙ্গমাতা, মানসী আর নৈবেদ্যর  ত্রাণ, দীক্ষা, প্রার্থনা, ন‍্যায়দণ্ড রবীন্দ্রপ্রেমীদের বুকের জিনিস। সনেটকে বাঙালি নিজের করে গড়ে পিটে নিয়েছে।
শাইলক আর শেক্সপিয়র যেন আলাদা করে ফেলতে পারিনি।শাইলকের নাম কোন্ ছোটবেলা থেকে জানতাম‌। জঘন‍্য সুদখোর, লোভী মানুষ আর শাইলক যেন সমার্থক। পরে লেখেছি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও লিখেছেন, সে যে শাইলকের বাড়া হ‌ইল। আমাদের বরানগর বাজারের খুব কাছে কাবুলিওয়ালা দের আড্ডা ছিল। কাবুলিওয়ালাদের বিশাল চেহারা গায়ে দারুণ জোর। আমি কিন্তু ততদিনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলিওয়ালা গল্পটা পড়ে নিয়েছি‌। কাবুলে জীবিকার্জনের খুব সহজ ব‍্যবস্থা ছিল না, তাই তারা সেকালের ইংরেজের রাজধানী শহরে এসে ব‍্যবসা করত। লক্ষ্য ছিল টাকা ধার দিয়ে সুদ নেওয়া। সুদ নেওয়াকে ধর্মে খারাপ বলে দেখানো হত। ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মমতে সুদগ্রহণ পাপ। অথচ, মানুষের হঠাৎ করে টাকা দরকার হত। কাবুলিওয়ালাদের কাছে ঋণ মিলত সহজে। পাবলিক সার্ভিস কমিশনে থাকাকালীন আমি বেতনের দিনে কাবুলিওয়ালাদের ঘুরঘুর করতে দেখতাম। অধমর্ণরা পালিয়ে বেড়াত।
সুদে টাকা খাটানোর আগে কলকাতা শহরে নবাগত কাবুলিওয়ালাকে মানুষ, পড়ুন বাঙালি, চিনতে হত। বাঙালির চরিত্র যে কত কুচুটে আর প‍্যাঁচোয়া হয়, তা যে কেউ বাঙালিকে ঋণ দিয়েছেন, তিনিই জানেন। বাঙালির চরিত্র বৈশিষ্ট্য ব‌ই পড়ে জানা যায় না। হাতেকলমে ট্রেনিং লাগে। তাই কাবুলিওয়ালাদের প্রথম প্রথম হিং, কিশমিশ বিক্রি করতে হত। ওটা কিচ্ছু না। প্রফেশনাল স্কিল তৈরির ট্রেনিং।
তো কাবুলিওয়ালা গল্পের রহমত ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু সে ঋণব‍্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারে নি। বাঙালি অধমর্ণটি তাকে সন্তানের মিথ‍্যা অসুস্থতার কথা বলে সহমর্মিতা উৎপাদন করে ঋণ নিয়েছিল।   কিন্তু রহমতের প্রয়োজনের সময়ে সেই টাকা সে ফিরিয়ে দেয়নি। বরং টাকা ফেরত চাইবার জন‍্য গালি দিয়েছিল।
গালি, থুতু, দুর্ব‍্যবহার ছিল শাইলকের নিয়মিত প্রাপ‍্য। শাইলক ছিল ইহুদি। ইহুদিদের প্রতি খ্রিস্টানদের জাতক্রোধ। রাজার হুকুমের বলে ইহুদিদের চাষবাসের অনুমতি ছিল না। গিল্ডে কারিগর বা শিল্পীশ্রমিক হবার সুযোগ ছিল না‌। একমাত্র সুযোগ ছিল ঋণব‍্যবসায়ী হ‌ওয়া। ১২৯০ সালে রাজা প্রথম এডোয়ার্ডের আদেশে ইহুদিদের ইংল‍্যাণ্ড থেকে দূর করে দেওয়া হয়।
মার্চেন্ট অফ ভেনিসে অ্যান্টোনিওকে টাকা ধার দিয়ে ওই যে বুকের থেকে এক পাউণ্ড মাংসের দাবি, ওটা কোনো ঋণব‍্যবসায়ীর দাবি হতেই পারে না। কেননা, যার বুকের থেকে এক পাউণ্ড মাংস কাটা হবে, তার কাছে ওই মাংসের যে মূল‍্য, প্রাপকের কাছে সেই তুলনায় কিছু মূল‍্য নেই। কেননা মানুষের মাংস সভ‍্যসমাজে কোনো পণ‍্য নয়, তার কিছুমাত্র বাজারমূল‍্য নেই। তাহলে শাইলক অমন চাইল কেন?
তার উত্তর মার্চেন্ট অফ ভেনিসে দিয়ে রেখেছেন শেক্সপিয়র। অ্যান্টোনিও আর তার মতো খ্রিস্টান ব‍্যক্তিরা শাইলকের মতো কুসীদজীবীদের উপর দিনের পর দিন দুর্ব‍্যবহার করতে, গায়ে থুতু দিতে অভ‍্যস্ত ছিল। হরহামেশা কুত্তা বলে গালি দিত।  সেই দুর্ব‍্যবহারের স্মৃতি শাইলককে দিয়ে অমন উদ্ভটভাবে খাতকের বুকের থেকে এক পাউণ্ড মাংসের দাবি তুলিয়েছে।
পোর্শিয়া মেয়েটি ওকালতি প‍্যাঁচে ফেলে দেয় শাইলককে। বলে ঠিক এক পাউণ্ড মাংস‌ই নেবে। এক ফোঁটা রক্ত যেন না পড়ে। অথচ বুকের থেকে অতটা মাংস কাটা হবে, আর একটুও রক্ত পড়বে না, তা তো হতে পারে না। তারপর আমরা দেখব, কি করে একতরফাভাবে শাইলকের সম্পত্তি কেড়ে নেওয়া হতে থাকে ধর্মাধিকরণে।
শাইলক ছিল ইহুদি। ইহুদিদের প্রতি চাপা ক্রোধ ছিল গোটা ইউরোপের বৈশিষ্ট্য। সেটাই হিটলারের আমলে ভীষণভাবে চাগিয়ে উঠল। কত ইহুদিকে যে তিনি নিষ্ঠুর ভাবে খুন করিয়েছেন, তার আর ইয়ত্তা নেই।
শাইলকের গল্প লিখে শেক্সপিয়র ভিতরে ভিতরে ইহুদিদের প্রতি সামাজিক অত‍্যাচারের ছবি তুলে ধরে তাদের প্রতি সহমর্মিতা গড়ে তুলতে সাহায্য করেছেন।
সেই ভ্রান্তিবিলাস পড়েছিলাম কোন্ ছোটবেলায়। তখন ভাবতেই পারিনি, এ লেখার মূলে শেক্সপিয়রের নাটক কমেডি অফ এররস (১৫৯৪)। নাটককে বিদ‍্যাসাগর ঢাললেন উপন‍্যাসের আদলে। সেটা ১৮৬৯ সাল। বিদ‍্যাসাগর ৪৯ বৎসরের অভিজ্ঞ, পোড় খাওয়া মানুষ। ভ্রান্তিবিলাস মা তাঁর বিয়েতে পেয়েছিলেন। মায়ের বিয়ে হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। আর ১৯৬৩ সালে বাংলা ফিল্ম ভ্রান্তিবিলাস এ উত্তম কুমার অভিনয় করলেন। বিদ‍্যাসাগর মশায়ের কলমে দুই চিরঞ্জীব আর দুই কিঙ্কর, দুইজোড়া যমজকে নিয়ে চমৎকার একটি গল্প। মূল গল্পে বণিক ইজিয়ন আর তস‍্য পত্নী এমিলিয়ার সন্তানদ্বয়ের নাম অ্যান্টিফোলুস, আর দরিদ্র রমণীর পুত্রদ্বয়ের নাম ড্রোমিও। দুই যমজ যুবকের সঙ্গে আদ্রিয়ানা আর লুসিয়ানার সম্পর্ক। উত্তমকুমারের অভিনয়ে ভ্রান্তিবিলাস ভারত মাতিয়েছিল। সেকালে ফিল্মকে ব‌ই বলত। আজও গাঁ গঞ্জে ব‌ই শব্দটা ফিল্মের প্রতিশব্দ হিসেবে পরিচিত। ফিল্মে উৎরে গেলে ছাপা ব‌ইটির কদর বাড়ত, বিক্রি হত। কিশোর কুমারও ভ্রান্তিবিলাস প্রভাবিত দু দুনি চার নামে ফিল্মে অভিনয় করেছেন। সেটা ১৯৬৮। বিদ‍্যাসাগর মশায়ের উপন‍্যাসের প্রকাশের শতবর্ষ সূচনা। বিদ‍্যাসাগর মশায়ের কলমে দুই চিরঞ্জীব আর দুই কিঙ্কর, দুইজোড়া যমজকে নিয়ে গল্পটা দর্শককে খুব টানত।  তাই দু দুনি চার গল্পটা লিখে ফেললেন গুলজার। দেবু সেন এর পরিচালনায় বিমল রায়ের প্রোডাকশন। মিউজিক করেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। সেকালে বিস্তর হিন্দি ছবি বাঙালি বানাত। দু দুনি চার এর সাফল‍্য মনে রেখে ১৯৮২তে গুলজার নিজেই পরিচালনা করলেন আঙ্গুর। অভিনয়ে সঞ্জীবকুমার। এছাড়া তামিল, তেলুগু, কন্নড়, ও পঞ্জাবি ভাষাতেও ভ্রান্তিবিলাস হয়েছে।
শেক্সপিয়রের কমেডি অফ এররস কিভাবে ভারতের কোণে কোণে আদর কেড়ে নিয়েছে, অবাক হয়ে ভাবি।
আজ শেক্সপিয়রের প্রয়াণদিবসে আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।