রবিবারে রবি-বার – এ মৃদুল শ্রীমানী – ২

“পূজারিণী”

গত কয়দিন থেকেই রবীন্দ্রনাথের “পূজারিণী” কবিতাটি বার বার পড়ছি।
ধর্মের নাম করে মানুষের মুণ্ডু নামিয়ে দেবার সময়ে এটি পড়া দরকার বোধ করেছি। শ্রীমতী নামে সেই রাজবাড়ীর দাসীটির ‘বুদ্ধের দাসী’ হয়ে ওঠাটা নিয়ে ভাবছি।
শ্রীমতী নামে মেয়েটি। সে রাজপরিবারের দাসী। নারীকে যখন দাসী হিসেবে চেনানো হয়, তখন তার মানবিক মানমর্যাদা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র‍্য ইত্যাদিকে বাদ দিয়েই চেনানো হয়। তার নিজস্ব রুচিবোধ থাকতে নেই, নিজস্ব চিন্তা পদ্ধতি থাকতে নেই। দাসীর কাজ হল প্রশ্নহীন চিত্তে মালিকের হুকুম তামিল করা। দাসিত্ব জিনিসটাই তাই। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগেও স্বচ্ছল পরিবারে দাস দাসী থাকত। আর তাদের যে সামাজিক মানমর্যাদা কিছু দেওয়া হত, তা মনে করার কোনো কারণ নেই। গণতান্ত্রিক ধ্যান ধারণা, পদ্ধতি প্রকরণ তখন ভবিষ্যতের গর্ভে গুহাহিত হয়ে রয়েছে। তরবারির শাসন নিয়ন্ত্রণ করছে মানুষের মনন, চিন্তন ও চেতনার জগৎকে।
শ্রীমতী নামে মেয়েটি নৃপতি বিম্বিসারের রাজ পরিবারে দাসী ছিল। এই বিম্বিসার একজন উল্লেখযোগ্য রাজা ছিলেন। তিনি ভগবান বুদ্ধের ধর্মমত গ্রহণ করেন। শুধু বিম্বিসার নয়, বুদ্ধের মজঝিম পন্থা বহু শাসককেই আকৃষ্ট করে। রাজা যে ধর্মমত গ্রহণ করতেন, রাজার সাথে সম্পর্ক রাখার প্রয়োজন বোধ থেকে বহু রাজপুরুষ এবং ধনী, শ্রেষ্ঠী  এবং বণিক সেই ধর্মমতে চলা অভ্যাস করেন। অন্তরের কোনো দার্শনিক জিজ্ঞাসা থেকে নয়, আত্মিক শান্তি পাবার লক্ষ্যে নয়, স্রেফ কাজ চালানোর তাগিদেই রাজা যে পথে হাঁটেন, প্রজাদের এক উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশ্যে সেইপথে হাঁটেন।বস্তুতঃ শাসক যা পালন করেন, আচরণ করেন, তা করে ওঠাই ধনী ও প্রতিপত্তিশালী মহলে ফ্যাশন হয়ে ওঠে।
ক্রমে সেটা অবশ্য পালনীয় হয়ে ওঠে, অন্ততঃ শাসিতের প্রকাশ্য জীবনাচরণে। রাজার ধর্মটাই, রাজার মতটাই জনতাকে আত্মস্থ করে নিতে হয়। পড়ুন, টুকে নিতে হয়। নইলে শাসিতের পক্ষে একনায়কতান্ত্রিক ব্যবস্থায় টেঁকা শক্ত।
কাজেই বিম্বিসার বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করায় তাঁর রাজসভা ও রাজ পরিবারের সদস্যেরা বৌদ্ধ ধর্ম পালনে হয় আগ্রহী হবেন, নয়তো বাধ্য হবেন, এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ সমর্থন পাবার সুযোগে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় গোষ্ঠীর জাঁকজমক, প্রভাব প্রতিপত্তি, ভূ সম্পত্তি ও অর্থবল বাড়বে এ আর বেশি কথা কি! রাজধর্ম হয়ে ওঠার সুবাদে পণ্ডিত ও ইন্টেলেকচুয়ালগণ রাজনির্দিষ্ট ধর্মের উপর চর্চাভাবনা গবেষণা করবেন এবং রাশি রাশি থিসিস প্রকাশিত হবে, পুঁথি রচনা হবে, এটা একেবারে সোজা পাটিগণিতের বিষয়।
রাজার ধর্মমতের অনুসরণে নিজের ধর্মমত হাল নাগাদ করে নেওয়া তাই সাধারণের দায়। অবশ্য সাধারণের নিভৃত বিশ্বাসের জায়গায়, আচারের ভিতরে পরম্পরা ক্রমে লালিত নিজস্ব কৌম বিশ্বাস থেকেই যাবে। আর থেকে যাবে পেশি ও তরোয়ালের রাজনীতি। বিষপ্রয়োগ ও গুপ্তহত্যার অলাতচক্র । ক্ষমতার লড়াই, ভারসাম্য ও বিপর্যয়ের চক্রবৎ গতি। শুধু রাজার সাথে মানিয়ে নেবার খাতিরেই ওপরের ঠাট ঠমক বদলে নেবে লোকজন। কেউ ভয়ে, কেউ বা ভক্তিতে। কেউ হয়তো লোভে। বিপরীত বিশ্বাসের কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে তাদের উপর রাজার তরফে আক্রমণ জারি থাকবে। তাঁদের মঠ ও আশ্রমের উপর হামলা হবে। তাদের পুঁথিঘরে আগুন লাগবে।তাঁদের ও তাঁদের আপনজনদের নামে মিথ্যা মামলা হবে, কলঙ্ক রটানো হবে।
বিধর্মী, পাষণ্ড, ইত্যাদি নানা বিশেষণে তাঁদের হেয় করার চেষ্টা জারি থাকবে। আক্রমণের মোকাবিলায় বিপরীত পক্ষও নানাবিধ পথ নেবে। সর্বদা সে পথ সহজ সরল হবে না। আত্মগোপন, সাংকেতিক কথা আর রহস্যপূর্ণ কাজকর্ম ইত্যাদি নানাবিধ উপায়ে টিঁকে থাকবে বিপরীত বিশ্বাস গুলিও।ধর্মের একেবারে ভেতরকার সমুচ্চ জায়গাটা পালনে আগ্রহী থাকেন একেবারেই মুষ্টিমেয় সংখ্যক মানুষ। যে ধর্ম অহিংসা, সর্বজীবে করুণা, সত্যবাদিতা ও সৎপথে চলা শেখায়, তার জন্যও এক আধটি লোক চিরকালই থেকে যায়। তবে ওই এক আধটিই। তারা অন্ধকারের পরপারবর্তী আলোকে জানতে চায়। তারা দু বেলা মরার আগে মরে না। এরা প্রয়োজনে আত্মবিসর্জন করে আত্মাকে অক্ষয় বলে চেনবার ও চেনাবার স্পর্ধা রাখে। এরা এক ভয়হীন বিশ্বের নাগরিক।
বিম্বিসারের পর এলেন তাঁর পুত্র অজাতশত্রু। অজাতশত্রু শব্দটির আভিধানিক অর্থ যাই হোক না কেন, এই পুত্র পিতার ধর্মকে রক্ত স্রোতে ভাসালেন। আর বৌদ্ধ ধর্মের বিকল্পে বেদ, ব্রাহ্মণ ও রাজাকে পূজার আসনে বসাবার ফতোয়া জারি করলেন। অজাতশত্রু শুধু পিতার ধর্মের ধারক বাহকদের প্রাণহরণ করে ক্ষান্ত দিলেন না, তিনি ব্রাহ্মণকে দিয়ে বেদপ্রসিদ্ধ যজ্ঞ শুরু করালেন এবং সেই যজ্ঞের আগুনে বৌদ্ধ শাস্ত্রগ্রন্থগুলিও নষ্ট করা হল অজাতশত্রুর অভিপ্রায়ে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের রাজানুগ্রহের দিন ঘুচে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের সপক্ষে পরিবর্তনের বান ডাকল। শাসকের পরিকল্পিত আক্রমণ ওই রকমই হয়। সে শুধু গায়ে মারে না, মাথায়ও মারে। চিন্তার জায়গাটা যাতে বিকশিত না হতে পারে, তার মতলব ভাঁজে শাসকেরা। বই, পুঁথিপত্ৰ, গ্রন্থাগার নষ্ট করার মধ্য দিয়ে শাসকের আস্ফালন। বিম্বিসারের রাজ ঘরানার পরিবর্তন ঘটাতে অজাতশত্রুও বৌদ্ধধর্মের পুঁথিপত্রের উপর আঘাত হানলেন। মনে ছিল এই যে বৌদ্ধ ধর্মের সমস্ত অভিজ্ঞান জনজীবন থেকে বিলুপ্ত হোক। মতভেদ, মতবিরোধ এগুলো এক জিনিস। এক মতের সাথে অন্য মতের প্রভেদ থাকতেই পারে, আর সেই সূত্রে সুস্থ দ্বন্দ্ব আসলে নতুন নতুন চিন্তার জন্ম দিতে পারে। পুরোনো চিন্তার মধ্যে কোথাও কোনো রকম নতুন চিন্তার বীজ লুকিয়ে আছে কি না, সেটা দেখার পরিবেশও তাতে তৈরী হয়। কিন্তু আগুনের কুণ্ডে পুঁথিপত্ৰ ফেললে তা আসলে মানব সভ্যতাকে পিছিয়ে দেবার অপচেষ্টা। কেননা, বইপত্র মানুষের সভ্যতার ফসল। একনায়কদের আসল লড়াই ওই সভ্যতার বিরুদ্ধে। মনুষ্যত্বের টুঁটি টিপে ধরাই একনায়কদের মৌলিক বৈশিষ্ট্য। যে কোনো সৎ ও প্রজ্ঞাবান মানুষই একনায়কতন্ত্রের এই বৈশিষ্ট্যটি লক্ষ্য করেন। এই কুৎসিত প্রবণতার বিরুদ্ধে প্রজ্ঞাবান মানুষকে সংগ্রাম করে যেতে হয়।
বিম্বিসারের পর রাজা হয়ে অজাতশত্রু যে দমন পীড়নের কায়দাটা নিলেন, হুমকি আর ফতোয়ার যে কারসাজি চালালেন, তাতে রাজপরিবার আর রাজপ্রভাবিত মানুষ গুলির আনুগত্য আদায় করে নিলেন। বুঝিয়ে দেওয়া হল যে, আগের আমলের সমস্ত রকম কৃত্য একেবারে নিষিদ্ধ। সে সবে লিপ্ত হলে গর্দান যাবে।
শ্রীমতী রাজ অন্তঃপুরে একজন সামান্য দাসী হয়েও নাগরিকের অভ্যস্ত ধর্মবিশ্বাসের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের হুমকিটা খেয়াল করল। নিজের ধর্ম বিশ্বাস পালনের স্বাধীনতার সপক্ষে, অজাতশত্রুর এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে মাথা তোলার দায়বদ্ধতা অনুভব করল মেয়েটি। অহিংস পথে একটি প্রতিবাদী আইন অমান্য কর্মসূচি গড়ে তুলতে চাইল শ্রীমতী। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে একে একে প্রধানা রাজ অন্তঃপুরিকাদের কাছে গিয়ে সে নিকটবর্তী বৌদ্ধ স্তূপে গিয়ে প্রদীপ জ্বালাবার আবেদন রাখল। রাণী, রাজবধূ, ও রাজকন্যারা সকলেই শ্রীমতীকে ভালবাসত। তারা বারবার করে শ্রীমতীকে নতুন জমানার নতুন নিয়মের কথা মনে করিয়ে সাবধান বাক্য উচ্চারণ করল। চাইল তাকে এই বিপজ্জনক পদক্ষেপ থেকে নিবৃত্ত করতে। কিন্তু শ্রীমতীকে দমানো গেল না। অজাতশত্রুর আমলে বৌদ্ধস্তূপে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর সরলাৰ্থ যে মরণের পানে ছুটে চলা, তা রাজার মেয়ে বৌরা স্মরণ করানো সত্ত্বেও, শ্রীমতী ঘরে ঘরে গিয়ে মহিলাদের আহ্বান জানাচ্ছিল। তারা সকলেই সাবধানী। অজাতশত্রুর আদেশ অমান্য করার পরিণতি কি সেটা তারা ভালো রকম জানে। তাই কেউ শ্রীমতীর ডাকে সাড়া দিল না। শ্রীমতীর রাজদ্রোহী প্রচেষ্টা দেখে আর তার রক্তাক্ত পরিণাম কল্পনা করে ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। শ্রীমতীর অহিংস আইন অমান্যকে আবার একটা অশান্তি ঘনিয়ে তোলার চেষ্টা বিবেচনা করে কিছু কিছু লোকে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকেই তাকে গালি দিল। কেউ সমর্থন করল না দেখেও মেয়েটি নিজের কর্মসূচি বাতিল করল না। কোনো রকম দুর্ভাবনা ছাড়াই নিষ্কম্প চিত্তে শ্রীমতী একাকী বৌদ্ধস্তূপটিতে গেল, এবং প্রদীপ সাজিয়ে তার প্রাণের দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করল।
বৌদ্ধস্তূপে প্রদীপ জ্বলতে দেখে খোলা তরোয়াল হাতে কোতোয়াল ছুটে এল। জানতে চাইল তার পরিচয়। শ্রীমতীর কণ্ঠে এতটুকু ভয় ছিল না। বরং নিজের কর্তব্য সে নির্বিঘ্নে করতে পেরেছে, এমন একটা তৃপ্তিবোধ তার মনে কাজ করছিল। সে কোতোয়ালকে নিশ্চিন্তে নিজের নাম জানিয়ে, তার পরে সে যে বুদ্ধের দাসী, এ কথাটা জানাতে ভুলল না। ক্ষুব্ধ, ক্ষিপ্ত কোতোয়াল বিনা বাক্য ব্যয়ে শ্রীমতীর ধড় হতে মুণ্ড আলাদা করে দিল ওই বৌদ্ধ স্তূপেই।
রাজ অন্তঃপুরের দাসী থেকে “বুদ্ধের দাসী” হয়ে উঠতে চেয়ে ঘাতকের হাতে বিনা বিচারে প্রাণ দিল। একনায়কী ব্যবস্থায় ওই নিয়ম। যে অভিযোগকারী, সেই বিচারক।
শ্রীমতী কি এগুলি জানত না? রাজ অন্তঃপুরে থেকে সে কি জানে নি, রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজার আদেশ অলঙ্ঘনীয় এবং তার বৈধতা নিয়ে, যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো রকম প্রশ্ন তোলাই রাজদ্রোহ, যার শাস্তি ভয়াবহ।তাকে তো একে একে রাজমহিষী, রাজবধূ ও রাজকন্যা, সকলেই স্পষ্ট সোজাসাপটা ভাষায় সতর্ক করেছে, বুঝিয়ে বলেছে অজাতশত্রুর আমলে বৌদ্ধ রীতি নীতি প্রথা প্রকরণের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো কতদূর বিপজ্জনক। নাগরিকেরা শ্রীমতীর আহ্বান শুনে তাকে গালি পর্যন্ত দিয়েছে। শ্রীমতীর মতো সামান্য এক দাসী যদি পুণ্যলোভাতুর হয়ে রাজ অন্তঃপুরে নিজের কোটরখানির আড়ালে সংগোপনে কোনোভাবে বৌদ্ধ ধর্মাচরণ করতো, তা হলে হয়তো সেটা বিশেষ কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করত না। একটি সামান্য দাসী তার হাজার কাজের ফাঁকে, লোকের হাজার দরকার মেটানোর আড়ালে রাতে দু চোখের পাতা এক করার সময় নিভৃতে কার নাম স্মরণ করে, তা জানার কৌতূহল থাকার কথা নয় কারও। শ্রীমতী যদি শুধু একজন বুদ্ধ অনুগত ধার্মিক মেয়ে হত, যদি নিজের অভ্যস্ত ধর্মাচরণ ছাড়া তার আর কোনো বৃহত্তর দায় বোধ না থাকত, তাহলেও সে সবার চোখের আড়ালে নিজের সাম্প্রদায়িক আচার অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে পারত। রাজপুরীর দাসীমহলের কানাগলি গুলি তাকে সে সুযোগ দিত।
কিন্তু শ্রীমতী চেয়েছে একটা জোরালো প্রতিবাদ ধ্বনিত করতে। তাই রাজার ক্রোধ কি জিনিস তা সম্যক অবগত হবার পরেও সে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে সর্বসমক্ষে বৌদ্ধ আচার অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিল। মৃত্যু সমাসন্ন জেনেও রক্তচক্ষু খড়্গধারী কোতোয়ালের সামনে নিজের পরিচয় গোপনের চেষ্টাটুকু করলো না। শান্ত সংযত মনে মৃত্যুকে বরণ করল। বৌদ্ধস্তূপে এই অর্ঘ্য সাজানোর মধ্য দিয়ে শ্রীমতী বাস্তবে একনায়কী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটা প্রতিবাদ ধ্বনিত করে উঠল। অতি দুর্বল হয়েও প্রচণ্ড শক্তিমান অজাতশত্রুকে শ্রীমতী বার্তা দিল যে সকলেই শক্তের ভক্ত হয়ে জন্মায় না। মুষ্টিমেয় হলেও কারও কারও মধ্যে নিজের বিবেক ও রুচির নির্দেশ মেনে চলার মেরুদণ্ড থাকে। এই মাথা উঁচু করে চলতে গিয়ে তারা প্রাণ দিতেও দ্বিধা করে না। এই মুষ্টিমেয় মানুষ গুলিই ইতিহাস রচনা করে। শ্রীমতীও এই পথে আলো জ্বেলে রাজ অন্তঃপুরে সাধারণের দরকার মেটানো দাসী থেকে “বুদ্ধের দাসী” হয়ে ওঠে। সমাজবদলের লড়াইয়ের পথিকৃৎ হয়ে যায়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।