নাবন্ন হল উৎসব এক কৃষি হল যার প্রান
বাংলা যে তার মাতৃভূমি বাংলায় যার মান ।
বধূরা সকলে উপবাস করে
আলপনা দেয় দুয়ারে দুয়ারে
লক্ষীর পুজা প্রতি ঘরে ঘরে
অন্নকে সম্মান,
চাল গুড়ো আর নলেন গুড়েতে নবান্ন আয়োজন ।
পিতৃপুরুষে নবান্ন দিয়ে চাহিদা পুরন ক’রে
শাস্ত্র আচারে গৃহীরা সকলে পুন্য যে লাভ করে ।
কাকবলি আর বীরবাশ প্রথা
আজও কিছু গ্রামে পায় মান্যতা
পিতৃপুরুষ কাক ও দেবতা
স্মরণ করে যতনে,
পুজা শেষ হলে সকলেই মিলে স্বাদ নেয় নবান্নে ।
বহু জাতি আর বহু দেশ কালে উৎসব করে নতুন ফসলে
তেমনি বাঙালী রসে বশে মিলে মুগ্ধ আবেশে নবান্ন পালে ।
গুড় খই মোয়া পিঠে পুলি হাসে
ক্ষীর পায়েসের সুবাস বাতাসে
হরেক রকম ব্যঞ্জন পাতে
সেদিন রসনা পুরন,
আনন্দে গানে খুশী কলতানে উৎসব সমাপন ।
কোথা গেল হায় সেই সব দিন স্বপ্ন মাখানো চেতনা রঙিন
প্রথা ভুলে আজ নিয়ম পালন নবান্ন তাই হয়েছে মলিন ।
ঘরে ঘরে আজ হয় না তো আর
ভাসে না বাতাসে সুবাস জোয়ার
মেলা হীন থাকে মাঠ প্রান্তর
ভুলতে বসেছে মন,
হয়তো এভাবে মাহাকাল স্তুপে হারাবে এ পার্বণ।