খাঁচায় বন্দী পাখিরে তুমি বল, “গান গাও ওগো পাখি
নীল-নীলিমায় উড়ে যাও তুমি, আমি চোখ ভরে দেখি”
পাখি বলে, “ওগো খাঁচা খুলে দাও, তবে তো গাইবো গান
আমার কণ্ঠে সুন্দর তান সে তো বিধাতারই দান।
তাঁহার উপরে চালাবে কলম? এতো দুরন্ত আশা
তোমার ইচ্ছা পূরণ করতে ভুলে যাই সব ভাষা
পাখি বলে আমি সুন্দর শুধু নীল আকাশের কোলে
তোমরা মানুষ শোভা দেখ আর ধরে রাখ ছলে বলে।
বন্যেরা যেমন বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃকোলে
তেমনি আমরা উড়ে খুশী হই, দোল খাই ডালে ডালে
বিহগ-বিহগী নিজ নীড়ে বসে কথা কই, ভালোবাসি
ওড়ায় মোদের জীবনের ব্রত, গান গাই আর হাসি।
খাঁচায় বন্দী করে রাখো আর নিজেদের ক্ষতি ডাকো
বিধাতার গড়া পৃথিবীটাকে কলুষিত করে রাখো
তাই তো বলি ছেড়ে দাও মোরে, উড়বো বিশ্বজুড়ে
সুন্দর গানে ভরাবো ভুবন, আমরা যে ভবঘুরে।
ভোরের পাখি তোমাদের বলি, উঠে পড়ো, বেলা হোলো
ঘুমিয়ে থাকলে পিছিয়ে পড়বে, এইবার আঁখি খোলো
ফুল আর পাখি বিধাতারই দান, কোরো না খাঁচায় বন্দী
ধরো না আমায়, আমার বিহনে এ পৃথিবী প্রতিবন্ধী।