কবিতায় প্রজ্ঞাপারমিতা ভট্টাচার্য

শীলা হরিজন ও আন্তর্জাতিক…

আমার স্বজন, আমার বন্ধুগণ, আমার প্রতিবেশী ও প্রিয় কর্ম-সহচর,
দীর্ঘ তিনটি দশক ও আরও কিছুকাল
আমি ছবি তোলা ও সেগুলি সংরক্ষণে যত্নশীল।
দীর্ঘ তিন দশক ও আরও কিছুকাল
আমি আদর্শ যাপন ও আদর্শ সম্পর্ক সমন্ধীয়
উপন্যাস রচনায় নিষ্ঠা রেখে চলেছি।
দীর্ঘ তিন দশক ও আরও কিছুকাল
আমি নিরন্তর সম্মান প্রদানের পাঠ
এবং তার সুচারু প্রয়োগ শিক্ষা করছি।
দীর্ঘ তিন দশক ও আরও কিছুকাল
আমি পারস্পরিক আলোচনা কীভাবে
নিরেট বক্তব্য হয়ে যায়
এবং সেই গতি অটুট রাখার নির্দেশনামা চর্চা করছি।
বিগত এক দশক আমি আপনাদের জীবন-ছবিদের দেখিয়ে চলেছি
যখন আলগোছে আমার বাঁ হাত পিছনে রাখছি
আমি সত্য গোপন নয় সংরক্ষণ করছি।
সংরক্ষিত বস্তু মাত্রই ধ্বংস হওয়ার প্রাক মুহূর্ত
আমি আসন্ন ধ্বংস -ছবি-জীবন ‘মাস্ক’-এ আবৃত করেছি
আমি সমগ্রের খাতিরে স্বীয়কে হত্যা করেছি।
সমস্ত সাজানো- সম্পর্ক এ ,সমস্ত দমিয়ে রাখতে চাওয়ার পৌরুষে
একদলা থু থু ফেলে পোটো পাড়া বস্তির শীলা হরিজন
সামনে নিয়ে এলো অসংরক্ষিত বাঁহাত… ‘আন্তর্জাতিক টেনে মুখোস খোলো’ দিনটি ঐ মুহুর্তে ঘোষিত হয়ে গেলো।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।