• Uncategorized
  • 0

|| অণুগল্প ১-বৈশাখে || বিশেষ সংখ্যায় পূর্বা ঘোষ

পয়া

রুপমারী গাঁয়ের পয়া মানুষ অমূল্য। গাঁয়ের লোকজন তাই বিশ্বাস করে। গাঁ থেকে যখনই কোন মাছধরা নৌকা সমুদ্রে পাড়ি দেয় বা জঙ্গলের ভিতরে মধু সংগ্রহ করতে যায় তখনই অমূল্যকে একবার ঐ নৌকার গিয়ে বসতে হয়, অমূল্যর ছোঁয়া আর আশীর্বাদ নিয়েই তারা যাত্রা করে।
ছোটবেলায় অমূল্য একদিন সমুদ্রে মাছধরার এক নৌকায় উঠে খেলছিল তারপর সেই নৌকা যথারীতি সমুদ্রে পাড়ি দেয়।
সেবার সমুদ্রের ঝড়ে সব নৌকার ক্ষতি হলেও রুপমারী গ্রামের ঐ নৌকা একদম নিরাপদে ফিরে আসাতে গ্রামের সবার মনেহল অমূল্যের ছোঁয়ার পয়েই এরকম হয়েছে। তবে এটাও ঠিক গত চল্লিশ বছরে যারাই অমূল্যের ছোঁয়া নিয়ে জঙ্গলে বা সমুদ্রে গেছে তাদের না খেয়েছে বাঘ না কেটেছে সাপ বা ঝড়ে না হয়েছে কোন ক্ষতি।
মাছের আড়তে কাজ করা অমূল্যের মাছে অরুচি হওয়ায় সে সেদিন নদীতে গেল কাঁকড়া ধরতে। দক্ষিণরায়ের গর্জন শোনা গেল কাছাকাছিই, পয়া অমূল্যকে বাঘ সাপ আরও অন্য কিছুই যে কোন আচঁরটি কাটতে পারবেনা সে সেটা জানে।
নিশ্চিন্তমনে গ্রামে ঢোকার মুখে ভাঙা বাড়ীটার পাশ দিয়ে ফেরার সময় প্রচন্ড শব্দ হল, দেখা গেল বোমা বাঁধতে গিয়ে বোমা ফেটে কয়েকজনের সাথে অমূল্যের শরীরটাও ছিন্নভিন্ন হয়ে পরে আছে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।