দেখেছি প্রভাত বেলা তোমার দু-চোখ
যেখানে স্বপ্ন শুধু শিউলির মেলা,
এলোমেলো অগোছালো নামহীন ফুল
কতশত ফুটে আছে এই বারবেলা।
বুঝিবা ফুলের রাশি তোমাদের বাড়ি
স্বর্গীয় ফুল সেথা দক্ষিণে বামে,
আমার আঙিনা জুড়ে একটা গোলাপ,
আমার গোলাপ শুধু তোমারই নামে।
পৃথিবীর এ বাগিচা তামরসে ভরা
কাঁটার আঘাত শুধু মালিদের হাতে,
তবুও ফোটেনা হাসি তোমাদের মুখে
আমরা মালিরা হাসি রোজ দিবা-রাতে।
২| একটা আঙিনা হোক
একটা পৃথিবী জুড়ে বারুদের ঘ্রাণ
একটা পৃথিবী জুড়ে শোষণের গন্ধ,
একটা পৃথিবী জুড়ে জীবন্ত লাশ
অলি-গলি পাথরের গুহামুখ বন্ধ।
একটা আঙিনা জুড়ে ফুলেদের গাছ
একটা আঙিনা জুড়ে প্রজাপতি মেলা,
একটা আঙিনা জুড়ে শিশুদের হাসি
নিরন্ন মানুষের স্বপ্নের খেলা।
একটা পৃথিবী জুড়ে রক্তের অপচয়
অস্ত্রের কেনা-বেচা দিন-রাত চলে,
একটা আঙিনা জুড়ে শতশত মৃতপ্রায়
রক্তের বিনিময়ে পুন কথা বলে।
একটা পৃথিবী নিয়ে কি হবে জীবন
ঝরনার হাসি-খেলা যেখানে বিলীন,
একটা আঙিনা হোক তোমার-আমার
যেখানে জীবন দিয়ে বাঁচাবে জীবন।
৩| যেখানে ফুরিয়ে যায় পথ
ক্রমশ হারিয়ে যায় মুখ
স্মৃতিগুলো মনে পড়ে রোজ,
জীবন গোধূলি বেলা হারানো পথের বাঁক খোঁজে;
স্নেহ-সুধা ভরা চেনা গাছ,
অকালে বিবর্ণ হয়,ঝরে পড়ে সব ফুল-পাতা
আমরা ক্রমশ হাঁটি যেখানে ফুরিয়ে যায় পথ।
৪| ভোজ
অনন্ত পৃথিবীর অবারিত দ্বার
মৃত্যুর রূপ দেখি ক্ষণে-প্রতিক্ষণে;
জীবনের বাজি রাখি মৃত্যুর হাতে,প্রতিদিন প্রাতে।
এখন জীবন খুঁজি রোজ,
সূর্যের প্রতি কনা আলিঙ্গন করে, মৃত্তিকা পরে;
গহীন আঁধার রাতে মৃত্যুর সাথে খাই ভোজ।