গল্পবাজে পরিমলকান্তি মন্ডল

মুসলিম ভাইয়ের হিন্দু বোন

ঘোঁজাডাঙ্গা বর্ডার সংলগ্ন এলাকাতে বাড়ী রিয়াজুলের ।বিশুদ্ধ মুসলমান বললে কোনো ভুল হবে না তাকে।শুনেছি বর্ডার সংলগ্ন এলাকাতে বাড়ী যাদের হয় তাদের দুই নম্বুরে ইনকাম থাকে।কিন্ত রিয়াজুল তার ব্যতিক্রম।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম করে আর তার ছোট্ট দর্জির দোকান চালিয়ে দিব্যি চলে যায় তাদের।না বিয়ে সাদি করেনি সে।মা বাবা আর ছোটো একটা বোন।এই চার জোনের সংসার।বাবা এক মসজিদের ইমাম।
বোন ক্লাস এইটে পড়ে।রিয়াজুল বি.এ ফেল।অল্প কয়েক নাম্বারের জন্য ফেল করেছিল ।দ্বিতীয় বার আর পরীক্ষায় বসেনি সে।পাড়ায় যথেষ্ট বি এস এফ এর অত্যাচার আছে।বর্ডার এরিয়ায় এইটা নাকি স্বাভাবিক।রিয়াজুল সাতে পাঁচে থাকে না।এখন বাজার খুব খারাপ।লেডিস জেন্স সব ধরণের পোশাক বানাতে পারে রিয়াজুল।মাধ্যমিকের পরেই কাজ শিখেছিল সে।এখন সে এক দক্ষ কারিগর।বিএসএফ এর এক কর্নেল সাহেব তার স্ত্রীর জন্য সালোয়ার কামিজ বানিয়েছিল একবার।তারপর থেকে পূজা বা ঈদের সময় মেয়েদের খুব লাইন পড়ে তার দোকানে।শেষের দিকে ফিরিয়ে ও দিতে হয় কিছু কাস্টমার কে।গেল বছর পুজোর অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এই বছর জানুয়ারী মাস থেকে সে একটা লেডিস কারিগর রেখেছে তার দোকানে।মেয়েটি তাদের পাশের গ্রামেরই।হিন্দু এক গরিব পরিবারের মেয়ে।ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়ার পর এই কাজ তাকে বেছে নিতে হয়েছিল।কারন ওইটুকু বয়েসে বাবা মারা গিয়েছিল তার।মা টুক টাক সেলাইয়ের কাজ জানতো।বাড়িতে একটা সেলাই মেশিন ছিল।তখন ওই মেশিনটাই উপার্জনের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল তাদের কাছে।মা মেয়ের সংসার।নাম রেখা। বয়স এখন ষোলো।বেশ সুন্দরী ফর্সা গড়ন।তিন শত টাকা সাপ্তাহিক চুক্তিতে কাজে যুক্ত হয়েছে সে।অর্ডার পাতি যা ছিল অসুবিধা হচ্ছিল না রিয়াজুলের তাকে সপ্তা দিতে।এমনি করে তিন মাস বেশ চললো।কিন্তু হঠাৎ করে নেমে আসলো অন্ধকারের করাল
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।