হে প্রভু
তুমি বাজায়ে বাঁশি এ ভবে আসি
খেলিলে এ কোন খেলা ,
দিবা নিশি তাহে গাঁথিছে মানব
তব প্রেম নাম মালা ।
তব বিরহে জ্বলিছে বক্ষ
উঠিছে না কোনো ধোঁয়া ,
লাজে রাঙা তব ও বদন খানি
ধরায়েছে এ কোন মায়া ।
আঁখির জলেতে ভাসায়েছে বুক
শত কোটি নর-নারী ,
শুনিতে চাহে ও বাঁশির শব্দ
দিতে চাহে এ ভব পাড়ি ।
তবু তুমি ওগো দাওনা দেখা
আসনা ভবের মাঝে ,
নাহি শোনাও ও বাঁশির শব্দ
কভু দিবা নিশি সাঁঝে ।
হে ফুল
হে ফুল তুমি কার !
ওই বৃক্ষের নাকি মালির নাকি মালিকের
নাকি ওই দাম দিয়ে কেনা ক্রেতার ,
তুমি তো নিজেও জানো না ফুল
তোমা জীবনে মস্ত বড়ো ভুল
এ ধরনী বক্ষে ফুটে ওঠাটাই ,
জীবন যন্ত্রনা সয়ে বহু কষ্ট বুকে লয়ে ।
যে বৃক্ষ হতে পরিণত তুমি
মালির দিবা-রাত্রির পরিশ্রমের ফল ,
সু-সৌরভ ছড়ায়েছিলে এ বাগানে ,
আজ সেই তুমি অন্য কারো ঘর
বৃক্ষ আর মালিরে করে দিয়ে পর
দিবা নিশি আলো হয়ে জ্বলিছো ।