প্রবন্ধে রতন বসাক
সংবাদ নির্ভিক ও নিরপেক্ষ হলেই সবার পক্ষে ভালো
আমরা সবাই জানি যে সংবাদ হলো গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তম্ভ। বিশ্ব, দেশ তথা সমাজের আয়নার মতো তুলে ধরে আসল রূপটা। সংবাদ কিংবা সাংবাদিকতা না থাকলে, আমরা ঘরে বসে অনেক কিছুই জানতে পারতাম না। পূর্বে আমরা রেডিও শুনে এবং নিউজ পেপার পড়ে সংবাদগুলো পেতাম। চাক্ষুস কিছুই তাঁর দেখতে পেতাম না।
বর্তমানে বিজ্ঞানের আবিষ্কার টেলিভিশন এর মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটা সংবাদ শুনতে পারি ও স্বচক্ষে দেখতে পারি। সংবাদগুলো যেন মনে হয় খুবই জীবন্ত। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেরই সংবাদের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং তাহা কেউই অস্বীকার করতে পারে না। আজকের যুগে সংবাদ ছাড়া আমরা নিশ্চল জীব হয়ে যাব।
এই সংবাদের মাধ্যমে আমরা পূর্বে ঘটনা এবং আগামীতে কী ঘটতে চলেছে তাও জানতে পারি খুব সহজেই। আমাদের প্রত্যেকের জীবনকে সচল ও আপডেট রাখার জন্য সংবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংবাদ মানুষকে আরো শিক্ষিত ও অগ্রগতির পথে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আজকের যুগে আমরা যদি একদিন সংবাদ না শুনে থাকি, তাহলে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে।
নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সংবাদ দেশ ও সমাজের পক্ষে শুভদায়ক। তবে আজকাল দেখতে পাচ্ছি কিছু-কিছু সংবাদ এজেন্সি কিংবা সাংবাদিক তাঁরা নিরপেক্ষ সংবাদ দিচ্ছেন না। সংবাদগুলো সাধারণ মানুষের কাছে আনার আগেই পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। বিশেষ করে দেশে শাসকদলের সহানুভূতি পাওয়ার জন্যই তাঁরা এই রকম করে থাকে।
তাঁরা শুধু শাসকদলের ভালো কর্মগুলোই প্রচার করে কিন্তু সেই শাসকদলের খারাপ কোনো কিছু প্রচার করে না সংবাদের মাধ্যমে। ফলে সাধারণ মানুষ আসল ছবিটা ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। আবার অনেক সময় দেখা গেছে প্রেশার কিংবা মৃত্যুভয় থাকার জন্যই এই রকম মিথ্যে সংবাদ প্রচার করতে বাধ্য হন সেই সব সাংবাদিকরা।
সংবাদ কিংবা সাংবাদিকতা একটি মহান ও সেবামূলক কাজ আমি মনে করি। অনেক ঘাত প্রতিঘাত, ভয় ও কষ্ট সহ্য করেই সংবাদ সংগ্রহ করে থাকেন এই সব সাংবাদিকরা। বলতে গেলে তাদের কাজের যথার্থ মূল্যায়ন করা যায় না। সংবাদ যদি ব্যবসায়িক ভিত্তিতে চলে তাহলেই দেশ ও সমাজের ক্ষতি। তাই সংবাদ নিরপেক্ষ ও নির্ভীক হোক এটাই আশা করব আগামীতে।