লে ছক্কায় (নির্বাচিত কবিতা) রতন বসাক

১। পড়তে হবে

জ্ঞানের দীপ জ্বালতে হলে পড়তে হবে বই
সবার কাছে সময় আছে তবুও কেন নই ?
চলো সবাই বইটা খুলে পড়ায় মন দিই
সবার থেকে জ্ঞানটা নিজে আরো বাড়িয়ে নিই ।
বইয়ের মধ্যে লেখা আছে কত কিছু ভাই
জানার জন্যই প’ড়ে বোঝো মনটা দিয়ে তাই ।
লেখাপড়াটা জানা থাকলে অনেক ভালো হয়
কোনো কাজেই তখন দেখো লাগবে নাতো ভয় ।
গুরুজনেরা সবাই বলে বইটা নিয়ে পড়
সুখ শান্তিতে থাকতে হলে সত্য পথটা ধর ।
দেহের জন্য খাবার লাগে মনের জন্য জ্ঞান
জ্ঞানী গুণী মানুষ হলেই সবাই দেয় ধ্যান ।
কোনটা ঠিক কোনটা ভুল জানতে যদি চাও
বইটা পড়ে জ্ঞান বাড়ালে সঠিক ক’রে পাও ।
রোগ সারাতে ওষুধ খাও ডাক্তার যেটা কয়
মানব ব্যাধি কমার জন্য বই পড়তে হয় ।
বইটা যদি পড়তে থাকো বাড়ে মনের জোর
জীবন পথে কষ্ট করলে আসে নতুন ভোর ।
ন্যায় অন্যায় বুঝতে পারো সহজ ক’রে খুব
সেই কারণে জ্ঞান সাগরে দিতে লাগবে ডুব ।

২। বৃষ্টির দিনে

বর্ষা আসে গ্রীষ্ম গেলেই
নিয়ে অঢেল বৃষ্টি,
জলের ছোঁয়া পেয়ে ধরায়
সবুজ হবে সৃষ্টি ।
গগন ভ’রে মেঘের ভেলা
চলতে থাকে ভেসে,
মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চমকায়
মেঘে মেঘে ঘেঁষে ।
নদী নালা পুকুর সবই
ভর্তি হবে জলে,
জেলে ভায়া জালটি নিয়ে
মাছের খোঁজে চলে ।
পাখিগুলো ভিজছে দেখি
ব’সে বৃক্ষের ডালে,
ঝম-ঝমা-ঝম শব্দ শুনছি
ঘরে টিনের চালে ।
বৃষ্টির দিনে একলা থেকে
মন লাগে না কাজে,
সময় শুধুই দেখতে থাকি
কখন কটা বাজে ?

৩। ভালো লিখতে

ফেস বুকের ঐ ছন্দ মেলায়
ছন্দের করি চাষ,
লিখেই আমি কাব্য সভায়
হতে চাই যে খাস !
দুইটা লাইন ছন্দ দেখেই
চেষ্টা করি রোজ,
নতুন কিছু সৃষ্টির জন্যই
ক’রে থাকি খোঁজ ।
সঠিক ভাবে বুঝতে গিয়ে
পড়ি অনেকবার,
বোঝার পরে লিখতে বসি
খুলে মনের দ্বার ।
শব্দগুলো সাজাই আমি
যাতে সুন্দর হয়,
পাঠক যেন আমার ছড়া
প’ড়ে ভালো কয় ।
লেখার জন্য সনদ পেলে
খুশি লাগে ভাই,
আরো ভালো কাব্য রচার
প্রেরণা যে পাই ।

৪। ১০৮ গাছের গুণ

ভালো ভাবে বাঁচার জন্য
নিতে হলে শ্বাস,
একটি কাটো পাঁচটি রোপো
করো গাছের চাষ ।
গাছ লাগিয়ে সময় মতো
ঢালো তাতে জল,
বড় হয়ে দিতে থাকবে
ফুলের পরে ফল ।
ফলটা খেয়ে বীজটা তুমি
রোপো গিয়ে আজ,
ধরার জন্য এটাই হবে
একটা ভালো কাজ ।
বোঝাও গিয়ে অবুঝ জনে
গাছের কত গুণ,
কারণ ছাড়া কোনো বৃক্ষের
আর করো না খুন ।
মরা গাছও কাজে লাগে
বানাও কাঠের ঘর,
বৃক্ষ হলো এই জগতের
প্রভুর একটা বর ।

৫। ইচ্ছে করে

ইচ্ছে করে উড়তে থাকি
পাখির বেশে আমি,
অচেনা এক নতুন দেশে
দূরে কোথাও থামি ।
নিজের মতো থাকবো সেথা
মনের মতো ক’রে,
স্বাধীন হয়ে উড়বো আমি
নিয়ে যাবে না ধ’রে ।
আমায় আর সহজ ক’রে
কেউ পাবে না খুঁজে,
চেনা কেহই দেখলে পরে
মুখ রাখবো গুঁজে ।
খুঁজতে এলে ওদের দেখে
পালিয়ে যাবো দূরে,
লুকিয়ে থেকে দেখবো মজা
আসবো নাতো ঘুরে ।
খুঁজে মরুক জ্বলে মরুক
মানুষগুলো সব,
চুপটি ক’রে রইবো আমি
করবো নাতো রব ।

৬। অপেক্ষা করো

স্কুল কলেজ সব’ই বন্ধ
বন্ধ লেখাপড়া,
অদৃশ্য এক ভাইরাস হানায়
জর্জরিত ধরা ।
ক’মাস হলো বিশ্ব জুড়ে
সবাই আছি ঘরে,
বাইরে গেলে ছোঁয়া লেগে
রোগটা এখন ধরে ।
আমরা সবাই ভয়ে আছি
কি যে হবে আগে ?
ভবিষ্যতের কথা ভেবে
কষ্ট ভীষণ লাগে ।
প্রতিষেধক এলে পরেই
আমরা বাঁচতে পারি,
যতদিন না আসছে হাতে
থাকতে হবে বাড়ি ।
বেঁচে থাকলে লেখাপড়া
কর্ম সবই হবে,
অার কটা মাস হোক না নষ্ট
ধৈর্য ধরো সবে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।